• বুধবার ১৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩১ ১৪৩১

  • || ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ইউপি নির্বাচনের পর বিএনপিতে আতঙ্ক   

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২১  

সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের পর অজানা এক আতঙ্ক বিরাজ করছে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে। সুষ্ঠু নির্বাচন মেনে নিতে পারছেন না দলটির নেতাকর্মীরা। কেননা লন্ডন থেকে তাদের নেতার নির্দেশ ছিল, যেকোনো মূল্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এ নির্বাচন বানচাল বা প্রশ্নবিদ্ধ করা।

গত ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৮৪৮ আসনে ইউপি নির্বাচনের সবগুলোতেই ভোটারদের সরব উপস্থিতি ছিল। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেনি। তাই বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে এখন অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কেবল মাত্র জিয়া পরিবারের লোকজন ছাড়া যেকোনো মুহূর্তেই যেকোনো নেতাই বহিষ্কার হতে পারেন এমন শঙ্কা ভর করেছে দলটির ভেতর। 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, দলটির সৃষ্টিলগ্ন থেকে বিগত তিন বছরে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন কিংবা বিএনপি ছেড়ে অন্য দলে গিয়েছেন এমন নেতাকর্মীর সংখ্যা দেড় লাখের উপরে। 

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, একটি দলের সাংগঠনিক শক্তিই হচ্ছে বড় শক্তি। অথচ বিএনপি যাকে তাকে যখন তখন দল থেকে বের করে দেয়। এছাড়া যোগ্য ব্যক্তিকে পর্যাপ্ত মূল্যায়ন করে না, যার কারণে খানিকটা বাধ্য হয়েই দল ছেড়ে অন্য দলে চলে যায় বিএনপির নেতারা।

এদিকে গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় দলের সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা স্বীকার করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা অত্যন্ত কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এগুচ্ছি। আশা করি, শক্তিশালী সংগঠনের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা এখন আর বক্তব্যের মধ্যে থাকতে চাই না। কিছু কাজ করতে চাই। সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করে ডাইনামিক সংগঠনে পরিণত করতে হবে। কারণ এই সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই আমরা বারবার ধরা খাচ্ছি। বলতে দ্বিধা নেই, দলের মধ্যে সবাই নিজেদেরকে যার যার অবস্থান থেকে প্রধান নেতা মনে করেন। এমন ধারণা বাদ দিয়ে সবাইকে আনুগত্য স্বীকার করে দলের প্রতি নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করতে হবে।

এ সময় সভায় উপস্থিত বিএনপির এক কর্মী পেছন থেকে বলে ওঠেন, কীভাবে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করবেন? যেখানে দলে টিকে থাকার নিশ্চয়তা নেই, যেখানে যেকোনো মুহূর্তেই যে কাউকে আপনারা দল থেকে বের করে দেন।

বিএনপি কর্মীর করা প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, দলের মহাসচিব হওয়া সত্ত্বেও দলের সব সিদ্ধান্ত আমি নেই না। আমি বহিষ্কার নীতিতে বিশ্বাসী নই। কিন্তু উপর থেকে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হলে, সে ক্ষেত্রে আমার আর কিছুই করার থাকে না।

মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যে সভায় উপস্থিত অনেকে বলতে থাকেন, এমন চলতে থাকলে বিএনপির ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ থাকবে না।