• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বিএনপির ‘এক নেতা এক পদ’ নীতি কার্যকর হয়নি অর্ধযুগেও

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২২  

বিএনপির ‘এক নেতা এক পদ’ নীতি কার্যকর হয়নি অর্ধযুগেও                  
অর্ধযুগেও কার্যকর হয়নি বিএনপির গঠনতন্ত্রের ‘এক নেতা এক পদ’ নীতি। ২০১৬ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে দলটির গঠনতন্ত্রের ১৫ ধারায় বিশেষ এই নীতি যুক্ত করা হয়। এই নীতিতে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি একই সঙ্গে দলের কোনো পর্যায়ের কমিটির শীর্ষ দুই পদে থাকতে পারবেন না।

নতুন নেতৃত্বকে জায়গা দিতে দীর্ঘদিন ধরে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই নীতি কার্যকরের চেষ্টা করছিল। এই লক্ষ্যে দলের নীতি নির্ধারণী কমিটির বৈঠকেও গঠনতন্ত্রের এই ধারা কার্যকর করার সিদ্ধান্ত হয়। যা এখন পর্যন্ত কার্যকর হয়নি।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, একাধিক পদে আছেন-এমন নেতাদের একটি খসড়া তালিকাও তৈরি করা হয়েছিল। একই সঙ্গে দ্বৈত পদধারী ৫৫ নেতার কাছ থেকে পদত্যাগ পত্রও সংগ্রহ করা হয়েছিল। কিন্তু তা কার্যকর করা হয়নি। ফলে অনেক নেতা একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ও জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল আছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে সম্প্রতি আবার নরসিংদী জেলার আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খানকে টাঙ্গাইল জেলার আহ্বায়ক, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দীন চৌধুরীকে লক্ষ্মীপুর জেলার আহ্বায়ক, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুকে লালমনিরহাট জেলার সভাপতি করা হয়েছে। এছাড়া আমানউল্লাহ আমান ও আবদুস সালাম ছাড়াও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের অন্তত আট সদস্য একই সঙ্গে দুই পদে রয়েছেন।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যোগ্য নেতাদের হাতে দলের দায়িত্ব দিতে চান। বিএনপিতে নেতার সংখ্যা বেশি। এ অবস্থায় একজন নেতা একাধিক পদ আঁকড়ে থাকলে অন্য যোগ্য নেতাদের পদ দেওয়া যাচ্ছে না। অনেক ত্যাগী নেতা পদে না থাকলে ধরে নেন দল তাকে চায় না। এটি এখন আর হবে না। নেতাকর্মীদের এমন মনোভাব দূর করতেই ‘এক নেতা এক পদ’ নীতি কার্যকর করা হবে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এক নেতা এক পদ নীতি কার্যকর হচ্ছে। এরই মধ্যে অনেকে একটি পদ ছেড়ে দিয়েছেন। বাকিরাও ছাড়বেন।