• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বিএনপিকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান সরকারি দলের    

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারি ২০২৩  

বিএনপিকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান সরকারি দলের               
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও আওয়ামী লীগ সরকারের কোন বিকল্প নেই। জনগণ আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশবাসী আওয়ামী লীগকে বিপুলভাবে নির্বাচিত করে চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আনবেন বলে তারা প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

তারা বলেন, বিএনপি জামায়াত জোট ও স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠী দেশের সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করে খুব একটা সুবিধা করতে না পেরে বিদেশে বসে ষড়যন্ত্রসহ লবিস্ট নিয়োগ করেছে। তারা দেশে ও বিদেশে বসে সরকার বিরোধী কাজ করে চলেছে। তারা এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়-যা এখন যাদুঘরে। এ সময় তারা সংবিধান অনুযায়ী বিএনপিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন  সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা। 
আলোচনায় আরো অংশ নেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, সাবেক মন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার, শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন, মীর মোস্তাক আহমদ রবি, শরিফুল ইসলাম শিমুল, তামান্না নূসরাত বুবলী, শামীমা আক্তার খানম, নেছার আহমেদ, মো: ইকবাল হোসেন।

সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, বিশ্বব্যাংক ভুয়া দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পদ্মাসেতু নির্মাণের ঋণ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য শাপে ভর হয়েছে। আর নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন করে, যারা পদ্মা সেতু নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে ও বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে মত্ত ছিল, তাদের মুখে ঝামা ঘসে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

তিনি বিএনপিসহ তথাকতিথ সুশিল ব্যক্তিদের রটানো গুজব সম্পর্কে বলেন, তারা বলেছিল বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো হয়ে যাবে, অর্থনীতি ধ্বসে পড়বে-তারা এমন সব কথাবার্তা বলে দেশের মানুষকে ভুল পধে ধাবিত করার চেষ্টা করেছিল। যদিও প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ দেশ পরিচালনা ও সময়োচিত পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়নি, হবেও না। 

তিনি আরো বলেন, এখন বিএনপি গুম খুনের অভিযোগ করে। অথচ তারাই ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা কর ইনডেমিনিটটি দিয়ে খুনীদের বিচার বন্ধ করে ছিল। তারাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল। দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা করেছিল। ভোট বন্ধ করার জন্য তারা আগুণ সন্ত্রাস করে বহু মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। এমনকি সার চাওয়ার দায়ে ১৬ জন কৃষককে তারা গুলি করে হত্যা করে। তারাই এখন গুম অভিযোগ করছে। এটা তাদের মুখে মানায় না। 

তিনি আরো বলেন, বিএনপি এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়-যা এখন যাদুঘরে। এ সময় তিনি সংবিধান অনুযায়ী বিএনপিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের আহ্বান জানান।

রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তিন তিনবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ফলে দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। বিএনপি জামায়াতসহ স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠী দেশের উন্নয়ন দেখতে পারে না। তারা বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা করেন এবং বিদেশীদের ধারস্ত হচ্ছেন। কিন্তু আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশবাসী আওয়ামী লীগকে বিপুলভাবে নির্বাচিত করে চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আনবেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়বেন।

মীর মোস্তাক আহমদ রবি বলেন, বিএনপি জামায়াত জোট ও স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠী দেশের সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করে খুব একটা সুবিধা করতে না পেরে বিদেশে বসে ষড়যন্ত্রসহ লবিস্ট নিয়োগ করেছে। তারা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তারা এবং তাদের প্রেত্মাতারা দেশে ও বিদেশে বসে সরকার বিরোধী কাজ করে চলেছে। এরা রাষ্ট্রদ্রোহী। এসময় তিনি জানতে চান, এদের বিরুদ্ধে কেন রাষ্ট্র বিরোধী মামলা হবে না? ভিপি নুর ও মান্নারা যত সব অবান্তর ও অবস্তব কথা বলে চলেছে। যা সরকারকে বিভ্রতকর অবস্থায় ফেরতে পারে। এদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা করা যেতে পারে। এদের কথাবার্তা ও চালচলনের দিকে নজর না দিলে আমাদের এই নির্বাচনের বছরে সমুহ ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, এক শ্রেণীর ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধর্মের নামে নোংরা রাজনীতি করতে চায়। সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টি করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষন্ন করতে চায়। এসব ধর্ম ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে। তা না হলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনা যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, তা বাধা প্রাপ্ত হবে।

শরিফুল ইসলাম শিমুল বলেন, বিএনপির অনেক বড় বড় নেতা, এমনিক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ইদানিং স্বাধীনতা বিরোধী অসাংবিধানিক কথা বার্তা বলে চলেছেন। তারা দেশ সংস্কারের কথা বলছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহীদ ও ৩ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনমিয়ে যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি, সে দেশকে তিনি অসম্মান করছেন। মির্জা ফখরুলকে তিনি পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন।

শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, দেশে আজ উন্নয়নের জোয়ার বইছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ দেশ পরিচালনায় আমরা অচিরেই উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবো।