• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন, সামনে আরও বাড়বে

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০১৯  

বর্ষাকাল চলছে, আষাঢ়ের আজ ১১ তারিখ হলেও দেখা নেই কাঙ্খিত বৃষ্টির। উপরন্তু গত কয়েকদিন ধরে সারাদেশ পুড়ছে তীব্র গরমে, নানারকম রোগবালাই আর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো যশোরে ৩৮ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সবার প্রশ্ন, এই অবস্থার অবসান কবে হবে? কবে নামবে বৃষ্টি?

এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অফিস বলছে: জুন মাসের আগামী ২৮ অথবা ২৯ তারিখ থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হলেও গরমের তীব্রতা সেভাবে কমবে না। বৃষ্টি হলেও অস্বস্তি থেকেই যাবে, বাড়বে গরম।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন: গরমের তীব্রতা কিছুটা কমে জুন ২৮ তারিখ থেকে টানা বৃষ্টিপাত শুরু হলেও বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় অস্বস্তি থেকেই যাবে। তাই স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপমাত্রা অনুভূত হবে।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন: তাপমাত্রা সেসময় ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও অনুভূত হবে ৩৪ অথবা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ বিরাজমান তাপমাত্রার চেয়ে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি অনুভূত হবে।

ভরা বর্ষায় এই তীব্র গরমের কারণ কী? এমন প্রশ্নের জবাবে এই আবহাওয়াবিদ বলেন: বৃষ্টিপাত মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তার উপর নির্ভর করে। বাংলাদেশের উপর মৌসুমী বায়ু কম সক্রিয় থাকায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে না।

এছাড়া লঘুচাপের বর্ধিতাংশ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করায় বৃষ্টিপাত না হবার কারণ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

গত কয়েকদিন ধরে দিন ও রাতের তাপমাত্রার তারতম্য তুলনামূলক কম উল্লেখ করে এই আবহাওয়াবিদ বলেন: দিনের বেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে, ঠিক তেমনই রাতেও এখন সর্বোচ্চ তামপাত্রা পড়ছে। এ কারণে রাত ও দিনের তাপমাত্রার মধ্যে তেমন পার্থক্য অনুভূত হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত ঠিক বলা যাচ্ছে না কতদিন পর্যন্ত এমন গরম থাকবে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে: রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এছাড়া রংপুর, দিনাজপুর, সৈয়দপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও নােয়াখালী অঞ্চলসহ রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস ।

সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো যশোরে ৩৮ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে রাজশাহীতে ৩৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে ২৬ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।