মুক্তি, স্বাধীনতা ও ইসলাম
– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২১
ইসলাম সমাজ ও জীবনমুখী এমন এক ব্যবস্থা, যা সামাজিকভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। রসুল (স) মক্কার সামন্তবাদী নেতৃত্বের বেড়াজালে আটকা মানুষের মুক্তির পথ খুঁজতেই ধ্যানমগ্ন থাকতেন। এ ধ্যান ছিল মানুষের মুক্তির জন্য, একই রক্ত-মাংসের মানুষের বেড়াজালে আবদ্ধ ও শৃঙ্খলিত জিঞ্জির ভেঙে ফেলার, বুদ্ধি ও সমাজ মুক্তির আন্দোলনের চূড়ান্ত সফলতায় মানুষ পেল আশরাফুল মাখলুকাতের মর্যাদা। মক্কাবাসী অহংকার করেছিল, তাদের পতন হতে বেশি দিন লাগেনি। মানুষের প্রতি অত্যাচারের মাত্রা এত বেশি পরিমাণ ছিল যে তা বহন করতে মক্কাবাসী অপারগ হয়ে উঠেছিল। রসুল (স) যারপর নাই চেষ্টারত ছিলেন এসব অত্যাচারিত মানুষকে মুক্ত করার জন্যে। আবিসিনিয়া ও মক্কা হতে মদিনায় হিজরতের মূল কারণ ছিল মুক্তির নেশা।
মানুষ একমাত্র তার রবের কাছেই দায়বদ্ধ আর কারো কাছে নয়। এ বিষয়টি মানুষ ভুলতে বসেছিল। ইসলাম প্রভুত্বের সকল জাল ছিন্ন করে ঘোষণা করে, ‘আমি তাকে (ভাল-মন্দ) দুটো পথ দেখিয়েছি। কিন্তু সে ঢালু গিরিপথে প্রবৃত্ত হয়নি (যা তাকে সহজে সাফল্যে পৌঁছে দিত)। তুকি কি জান ঢালু গিরিপথ কি? একটি ঘাড় (একজন দাস) মুক্ত করে দেওয়া অথবা দুর্ভিক্ষের দিন খাওয়ানো, নিকট সম্পর্কের ইয়াতিমকে কিংবা অভাবগ্রস্ত মিসকিনকে (বালাদ-১১-১৬)।’ রসুল (স)-এর নেতৃত্বে দাসত্ববাদী মক্কায় এই যে দাস মুক্তির আন্দোলন শুরু হলো-এর সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন রসুল (স) নিজেই। রসুল (স) জন্মের পূর্ব থেকে পিতা-মাতার আনিত দাসী বারাকাহকে রসুল (স) ছোট সময়েই মুক্ত করে দিয়েছিলেন। কিন্তু রসুল মাতা আমেনাকে কথা দেওয়ার কারণে তিনি রসুল মুহাম্মদকে (স) ছেড়ে যাননি। এমনকি তিনি এক পর্যায়ে তাকে উম্মী বা ‘আমার মা’ বলে সম্বোধন করতেন। তাকে বিবাহ দেওয়ার পর তার একটি ছেলেসন্তান হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এ সন্তানের নামে উম্মে আইমান হিসেবে তিনি প্রসিদ্ধি লাভ করেন। রসুল (স) শুধু দাসদের মুক্ত করেই ক্ষান্ত হননি; তিনি দাসকে সন্তান বানিয়েছেন, তিনি ক্রীতদাসকে ভাইয়ের মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছেন, তিনি গোলামকে সেনা অধিনায়ক বানিয়েছেন। বংশানুক্রমিক দাসানুদাস কৃষ্ণবর্ণ হাবশি বিলাল (রা)-কে মসজিদে নববির প্রধান মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব অর্পণ করে দেখিয়েছেন ইসলামে মানুষের স্বাধীনতাই মূখ্য। এখানে সাদা-কালো আর ধনী-দরিদ্রের কোনো বিভাজন নেই। রসুল (স) বলেন,‘ সাদার উপর কালো, আরবের ওপর অনারবের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই। শ্রেষ্ঠত্ব কেবল তাদের যারা খোদাভীরু।’ দাসত্বের শৃঙ্খল ভাঙার এ জয়গান যুগে যুগে মানুষকে দিয়েছে ভালোভাবে বেঁচে থাকার প্রেরণা। এক রাব্বুল ইজ্জতের দাসত্বই মানুষকে হাজারো দাসত্ব থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাওহিদের এ ইস্পাতঢালা বাণীর অনুসারী রসুলের সাহাবিরা ছিল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ।
পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তান তথা আজকের বাংলাদেশকে দাসত্বের দাসখতে আবদ্ধ করতে চেয়েছে। এ কাজ করতে গিয়ে পবিত্র ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করেছে। কিন্তু বাংলার মানুষ শৃঙ্খলিত হবার নয়। এরূপ অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ইসলাম স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছে। মজলুম জনতার কাতারে এসে কাজ করার জন্য সকলকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মদিনার সনদের মাধ্যমে বৈষম্যহীন সমাজের যে চিত্র রসুল (স) আমাদের সামনে উপহার দিয়ে গেছেন এর সঠিক বাস্তবায়ন হলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা আল্লাহর ওপর ভরসা করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আজকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান এসব মহান মুক্তিযুদ্ধার জন্য রইল আমাদের প্রাণখোলা দোয়া। আল্লাহ যেন তাদেরকে শহিদ হিসেবে কবুল করেন। যারা বেঁচে আছেন তাদের উত্তম জীবন দিন। পরিশেষে বলব, যে নীতি ও সামাজিক ন্যয়িবিচারের কথা বলে পাকিস্তানি নিষ্পেষণের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল, কেবল এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার মনজিলে পৌঁছতে পারবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
লেখক :ড. মুহাম্মদ ইকবাল হোছাইন
অধ্যাপক, দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ,
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া ও ইন্টারফেইথ স্পেশালিস্ট
- গোল্ডেন বুট জিতলেন হালান্ড
- জটিল রোগে আক্রান্ত হজযাত্রীদের জন্য সৌদির নতুন নির্দেশনা
- বেরোবিতে গাইবান্ধা জেলা সমিতির নেতৃত্বে মোশফিকুর-শাকিল
- আজ থেকে ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা নিষেধ
- ‘প্রবাসী কর্মীদের জন্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে’
- প্রধানমন্ত্রীর লড়াইয়ের গল্প তুলে ধরাই হোক অঙ্গীকার
- ইউসেপ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করছে: প্রতিমন্ত্রী
- দ্বিতীয় ধাপে ভোটের মাঠে থাকছে ২ লাখ আনসার
- ঢাকার বাসগুলো দেখলে খুব লজ্জা লাগে: সেতুমন্ত্রী
- হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত: ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিসহ সব আরোহীর মৃত্যু
- ভাতা প্রাপ্তিতে দুর্নীতির সুযোগ নেই: সমাজকল্যাণমন্ত্রী
- ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার
- পুলিশ জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে: আইজিপি
- সারাদেশে বজ্রপাতে চারজনের প্রাণহানি
- ডিজিটালাইজেশন হলেও যে কারণে সুফল পাচ্ছে না এনবিআর
- উপজেলা নির্বাচন: মাঠে নেমেছে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি
- ‘ভোট বর্জনের আহ্বান বিএনপির রাজনৈতিক অধিকার’
- মেট্রোরেলে ভ্যাট বসানোয় সুনাম নষ্ট হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
- কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর হতাহতের খবর মেলেনি: মন্ত্রণালয়
- ‘উদ্যোক্তা হতে সরকারের সুবিধা ছেলে-মেয়েদেরকে নিতে হবে’
- যুক্তরাষ্ট্রের কারণেই আরো চীনমুখী হচ্ছে বাংলাদেশ: পর্যবেক্ষণ
- রূপপুর প্রকল্প: ঋণচুক্তির মেয়াদ বাড়াতে মস্কোকে ঢাকার চিঠি
- উপজেলা নির্বাচন: অভিযোগ জানানো যাবে ৯৯৯-এ
- কখন আঘাত হানবে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় রোমাল, জানা গেল
- ভাঙ্গা থেকে যশোর নতুন রেললাইন চালু অক্টোবরে: রেলমন্ত্রী
- গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা, নিহত অন্তত ১৭
- ‘একটি জাল ভোট পড়লেও কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে’
- সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই: পাটমন্ত্রী
- টেকসই নগরায়ণে সরকার বদ্ধপরিকর: এলজিআরডিমন্ত্রী
- ঢাকা আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- শিরোপা জেতানোর দুদিন পরই বরখাস্ত হলেন কোচ
- এসএসসির ফলপ্রকাশ: ডোমারে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২শত ৫৭ জন
- জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের
- দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেলের অবৈধ প্রদর্শন বন্ধে কার্যক্রম শুরু
- মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- বড় দুঃসংবাদ নিয়ে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ
- নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করাই বর্তমান কমিশনের মূল লক্ষ্য: ইসি রাশেদা
- আজ স্বজনদের চোখের পানিতে বরণ হবে বাংলাদেশের ২৩ নাবিক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- গোল্ডেন না পাওয়ায় পৃথিবীকে বিদায় জানাল রাফসান
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ২ কর্মীকে জরিমানা
- বিভিন্ন যানবাহনে অবৈধ স্টিকার ব্যবহার
- শ্রম আইন সংশোধনে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- তীব্র দাবদাহে হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
- দেশজুড়ে আরো ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
- ‘টেকসই অনুশীলনে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধির হটস্পট হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে’
- কিশোরগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু