• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পবিত্র শবে বরাত আজ: শবে বরাতের নামাজের নিয়ম

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২১  

পবিত্র শবে বরাত (লাইলাতুল বরাত) আজ, সোমবার। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় আজ রাতে মহান আল্লাহর রহমত কামনায় নফল ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে পবিত্র শবে বরাত উদযাপন করবেন। 

মুসলমানরা হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে থাকেন। মহিমান্বিত এ রাতে মহান রাব্বুল আলামিন তাঁর বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজগারসহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগি করে থাকেন। 

এদিকে, শবে বরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী প্রদান করেছেন। 

অপরদিকে পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় (বাদ মাগরিব) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ‘শবে বরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। রোববার এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়। 

তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, ওয়াজ মাহফিল শেষে বাদ এশা দোয়া ও মোনাজাত করা হবে। মোনাজাত পরিচালনা করবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় জসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। 
শবে বরাতের নফল নামাজ ও ইবাদত

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন শাবানের মধ্য দিবস আসবে, তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদত করবে ও দিনে রোজা পালন করবে। (ইবনে মাজাহ)। ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নামাজ; সুতরাং নফল ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নফল নামাজ। প্রতিটি নফল ইবাদতের জন্য তাজা অজু বা নতুন অজু করা মোস্তাহাব। বিশেষ ইবাদতের জন্য গোসল করাও মোস্তাহাব। ইবাদতের জন্য দিন অপেক্ষা রাত শ্রেয়তর।

হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ১৪ শাবান দিবাগত রাত যখন আসে, তখন তোমরা এ রাতটি ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং দিনের বেলায় রোজা রাখো; কেননা, এদিন সূর্যাস্তের পর আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন এবং আহ্বান করেন; কোনো ক্ষমাপ্রার্থী আছ কি? আমি ক্ষমা করব; কোনো রিজিকপ্রার্থী আছ কি? আমি রিজিক দেব; আছ কি কোনো বিপদগ্রস্ত? আমি উদ্ধার করব। এভাবে ভোর পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে আহ্বান করতে থাকেন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৩৮৪)।

শবে বরাতের নামাজের নিয়ত

নাওয়াইতুআন্ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তাআ-লা- রাকআতাই ছালা-তি লাইলাতিল বারা-তিন্ -নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লা-হু আকবার।

শবেবরাতের বরকত, ফজিলত ও মর্যাদা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহতায়ালা মধ্য শাবানের রাতে তার সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টিপাত করেন এবং মুশরেক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন।
শবে বরাত নিয়েও আমাদের সমাজ বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়িতে লিপ্ত। সমাজের এক শ্রেণীর মানুষ পূণ্যময় রজনীকে এমনভাবে উদযাপন করে, যা সম্পূর্ণ ইসলাম বহির্ভূত। তারা এই পবিত্র রাতে এমনসব কাজ-কর্ম করে যা সুস্পষ্ট বিদআাত ও নাজায়েজ। অনেকে এ রাতের ফজিলতকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন প্রচার করেন। যার মাধ্যমে নফল ইবাদত থেকে মানুষকে দূরে রাখার চেষ্টায় থাকেন। এই বাড়াবাড়ি ইসলাম সমর্থন করে না।

এছাড়াও আরও যেসব কাজ করা উচিত নয়-

* আতশবাজি ও পটকা ফোটানো

* ইবাদত-বন্দেগি বাদ দিয়ে বেহুদা ঘোরাফেরা করা

* অনাকাঙ্ক্ষিত আনন্দ-উল্লাস করা

* অযথা কথাবার্তা ও বেপরোয়া আচরণ করা

* অন্য কারও ইবাদতের বা ঘুমের বিঘ্ন ঘটানো

* হালুয়া-রুটি বা খাওয়া-দাওয়ার পেছনে বেশি সময় নষ্ট করে ইবাদত থেকে গাফিল থাকা।