• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

খরগোশের গোশত হালাল নাকি হারাম?

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

খরগোশের গোশত হালাল নাকি হারাম? এই প্রশ্ন এখন অনেকেই করে থাকেন। কারণ, ইদানীং কিছু কিছু রেস্তোরাঁয় খরগোশের গোশতের বিভিন্ন খাবার পাওয়া যায়। কেউ কেউ এই প্রাণীটির গোশতের কাবাব খেতেই বেশি পছন্দ করেন।

ইসলামি শরিয়তে খরগোশের গোশত হালাল। সহিহ বুখারি ও মুসলিমে বর্ণিত রয়েছে আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন-

مَرَرْنَا فَاسْتَنْفَجْنَا أَرْنَبًا بِمَرِّ الظَّهْرَانِ فَسَعَوْا عَلَيْهِ فَلَغَبُوا ‏.‏ قَالَ فَسَعَيْتُ حَتَّى أَدْرَكْتُهَا فَأَتَيْتُ بِهَا أَبَا طَلْحَةَ فَذَبَحَهَا فَبَعَثَ بِوَرِكِهَا وَفَخِذَيْهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَتَيْتُ بِهَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَبِلَهُ

‘মক্কার মাররুজ জাহরান এলাকায় একটি খরগোশকে ধাওয়া করলাম। আমার সঙ্গে আরো অনেকেই সেটির পেছনে ছুটছিল। এক পর্যায়ে সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়ল। আমি হাল না ছেড়ে ছুটতে থাকলাম এবং শেষ পর্যন্ত খরগোশটিকে ধরে ফেললাম। খরগোশটিকে আবু তালহার কাছে নিয়ে গেলে তিনি সেটিকে জবাই করেন এবং এর পেছনের অংশ ও উভয় রান রাসূল (সা.) এর কাছে পাঠান। আমি সেগুলো রাসূল (সা.) এর কাছে নিয়ে গেলে তিনি তা গ্রহণ করেন’। (সহিহ বোখারি, সহিহ মুসলিম)

তবে এতে আলেমদের দ্বিমত আছে। একদল ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, খরগোশে নখ আছে। তাই এর হিংস্রতার কারণে এটি খাওয়া জায়েজ নেই বা মাখরুহ। কিন্তু খরগোশের অনেক জাত আছে, যে খরগোশগুলো পালন করা হয়, সেগুলো একেবারেই নিরীহ হিংস্র নয়, তাদের নখ বলতে কিছুই নেই, এগুলো খাওয়া জায়েজ, হারাম নয়।

ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেঈ ও ইমাম আহমদ (রা.)-সহ অধিকাংশ ফকিহর মতে খরগোশ খাওয়া হালাল।