• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জমজমের পানি কেন বৈজ্ঞানিকভাবে পৃথিবীর বিশুদ্ধতম পানি?

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০১৯  

মুসলিমদের অনেকেই রোগ মুক্তির জন্য বা ধর্মীয় কাজে জমজম কূপের পানি পান করে থাকেন। সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত এই জমজম কূপের পানি আরোগ্য লাভে বেশ কার্যকরী। হজে যাওয়া লাখ লাখ হাজীরা এই পানি নিজেরা পান করেন। সঙ্গে বোতলে করে নিজ নিজ দেশে নিয়ে যান।

জাপানী বিজ্ঞানী মাসারু ইমোতো ন্যানো প্রযুক্তি (Nano technology) ব্যবহার করে, জমজমের পানির উপর করা পরীক্ষা করেন। কেন জমজমের পানি বৈজ্ঞানিকভাবে পৃথিবীর বিশুদ্ধতম পানি?

১) এক ফোঁটা জমজমের পানিতে যে পরিমাণ আকরিক পদার্থ থাকে তা পৃথিবীর অন্য কোনো পানিতে থাকেনা।

২) জমজমের পানির গুণগত মান কখনও পরিবর্তিত হয় না।

৩) সাধারণ কূপের পানিতে জলজ উদ্ভিদ জন্মালেও জমজম কূপের পানিতে কোনো জলজ উদ্ভিদ বা অন্যান্য উদ্ভিদজাত অণুজীব জন্মায় না।

৪) জমজমের পানিতে যেসব আকরিক পদার্থ পাওয়া গেছে, তার মধ্যে ক্যালসিয়াম, ফ্লোরাইড, সোডিয়াম, ক্লোরাইড, সালফেট, নাইট্রেট, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম উল্লেখযোগ্য। ফ্লোরাইড ছাড়া বাকি মিনারেলগুলোর মাত্রা অন্যসব স্বাভাবিক খাবার পানিতে পাওয়া মাত্রা থেকে বেশি ছিল।

৫) জমজমের পানিতে এন্টিমনি, বেরিলিয়াম, ব্রোমাইন, কোবাল্ট, বিসমাথ, আয়োডিন আর মলিবডেনাম এর মত পদার্থগুলোর মাত্রা ছিল ০.০১ ppm থেকেও কম। ক্রোমিয়াম, ম্যাংগানিজ আর টাইটানিয়াম এর মাত্রা ছিল একেবারেই নগণ্য। যে কারণে এটিকে পৃথিবীর নিরপদতম পানি বলা যায়।

৬) জাপানী বিজ্ঞানীর পরীক্ষা অনুযায়ী জমজমের পানির pH হচ্ছে ৭ দশমিক ৮। যেটি সামান্য ক্ষারজাতীয়। বিজ্ঞানী তার পরীক্ষায় আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম, সীসা এবং সেলেনিয়াম এর মত ক্ষতিকর পদার্থগুলো ঝুঁকিমুক্ত মাত্রায় পেয়েছেন। যে মাত্রাগুলোতে মানুষের কোনো ক্ষতি হয়না।

৭) গবেষক মাসারু তার পরীক্ষায় জমজমের পানির এমন এক ব্যতিক্রমধর্মী মৌলিক আকার পেয়েছেন যেটি খুবই চমকপ্রদ এবং অন্য কোন জায়গার পানির অণুতে এই বৈশিষ্ট্য নেই।