ব্যাটিং বিপর্যয় দিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ

প্রথম ইনিংসে উইন্ডিজকে ২৪৬ রানে অলআউট করে ৭৮ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাটিং নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ।

প্রথম ইনিংসে মুমিনুলের শতকের (১২০) উপর ভর করে ৩২৪ রানের ইনিংস গড়ে বাংলাদেশ। যেখানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ইমরুল কায়েসের। কিন্তু সে রানেও পেয়েছিলেন ২-৩বার জীবন। এতবার জীবন পেয়েও শতক হাঁকাতে না পারা টেস্ট ব্যাটসম্যানদের জন্য সমালোচনার বিষয়ই বটে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত ইমরুল যেন টেস্টে একেবারেই ফিকে হয়ে পড়েছেন।

চট্টগ্রাম টেস্ট যে স্পিনারদের হয়ে উঠবে তা এক প্রকার অনুমিতই। যে স্পিন বিষে নীল হয়ে উইন্ডিজ সেই পাতা ফাঁদেই পড়েছে বাংলাদেশও।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৮ রানের লিড নিয়ে ব্যাটিং নামে বাংলাদেশ। কিন্তু শুরুতেই ওয়ারিক্যানের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ইমরুল। ব্যক্তিগত সংগ্রহ এক রান। এর কিছু পর ফিরেছেন সৌম্য সরকারও। রান পাননি মুমিনুল-সাকিবও। চেজের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে ফিরেছেন মুমিনুল। অন্যদিকে ওয়ারিক্যানের কাছে পরাস্ত সাকিব আল হাসান। ফলে দ্রুত সময়েই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। দিনের শেষভাগে ফিরেছেন মিথুনও।

দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৫৫ রান। দলের ভিত্তি এখন নির্ভর করছে টাইগার ব্যাটিং স্তম্ভ মুশফিক-রিয়াদের উপরেই। মুশফিকুর রহিম ১১ ও মিরাজ ০ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিনের ব্যাটিং শুরু করবেন। বাংলাদেশের এই পর্যন্ত লিড ১৩৩ রানের। পিচে যেভাবে স্পিন ধরতে শুরু করেছে তাতে লিড ২৫০ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারলে লড়াই করার মতো সংগ্রহ দাঁড়াবে বাংলাদেশের জন্য।

উইন্ডিজের পক্ষে চেজ ও ওয়ারিক্যান ২ টি করে এবং বিশ্যু একটি উইকেট দখল করেন।

এর আগে সাকিব-নাঈমের স্পিন বিষে নীল হয়েছে সফরকারীরা। অভিষিক্ত নাঈম সবচেয়ে কম বয়সে পাঁচ উইকেট দখল করে বিশ্বরেকর্ডই গড়েছেন। একই সঙ্গে দেশীয় স্পিনারদের মধ্যে চতুর্থ ও সবমিলিয়ে অষ্টম বোলার হিসেবে অভিষেক টেস্টে পাঁচ উইকেট দখলও করেন তিনি। অন্যদিকে সাকিব নিয়েছেন তিন উইকেট।