• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

তিস্তার পানি কমছে, বাড়ছে ভাঙন     

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২০  

দুই দফায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমা অতিক্রম করলেও তা কমতে শুরু করেছে। ফলে লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। তবে জেলার ৫টি উপজেলায় পানি কমে যাওয়ার কারণে তীব্র ভাঙন ঘরবাড়িসহ ফসলী ক্ষেত ইতোমধ্যেই নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে।


মঙ্গলবার(৩০জুন) বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। যা স্বাভাবিকের(৫২ দশমিক৬০ সেঃমিঃ) চেয়ে ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।


এর আগে গত শুক্রবার ভোর থেকে পানি প্রবাহ কয়েক দফায় বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিলো। দিনভর বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহের ফলে লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।


স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার(১৯ জুন) রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ হঠাৎ বাড়তে থাকে। পরদিন সকালে ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তিস্তার পানি প্রবাহ। ফলে তিস্তার চরাঞ্চল ও বামতীরের নিন্মাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়ে প্রায় ১০হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ডুবে যায় কৃষকের ফসল। ভেসে যায় পুকুরের মাছ। দিনভর বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সোমবার দুপুর থেকে পানি পুনরায় কমতে শুরু করে। মঙ্গলবার(৩০ জুন) দুপুর থেকে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয় তিস্তার পানি প্রবাহ।


তিস্তার পানি প্রবাহ বিপদ সীমার নিচে নেমে আসায় বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নতি ঘটেছে। কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। এ বন্যায় জেলার ৫টি উপজেলার প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল। তবে তিস্তার দুই তীরে নদীভাঙনে শত শত হেক্টর জমির বাদাম, ভুট্টা ও সবজি ক্ষেত নদীতে চলে যাচ্ছে।


এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় নদীভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে কয়েক হাজার পরিবার।


তিস্তা ব্যারাজের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দুপুরে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি প্রবাহ। ফলে বন্যা পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি ঘটেছে।