বজ্রপাত এবং শিলা বৃষ্টি কেন হয়?
নীলফামারি বার্তা
প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০১৮
আপনি ছোট থেকেই একটি কথা বা উপদেশ বড়দের থেকে অবশ্যই শুনেছেন যে, বৃষ্টির সময় অথবা বিদ্যুৎ চমকানোর সময় খোলা স্থানে বা গাছের নিচে যেন না দাঁড়ানো হয়। কারণটা আমরা সবাই ভালো করেই জানি। বৃষ্টির সময় অথবা বিদ্যুৎ চমকানোর সময় বজ্রপাতের সম্ভাবনা খোলা মাঠ এবং গাছের নিচে সব থেকে বেশি থাকে। কিন্তু এমনটা কেন হয় ?
আর এছাড়াও আমরা বৃষ্টির সময় একটি ব্যাপার খেয়াল করি আর সেটা হচ্ছে শিলা বৃষ্টি। কেন হয় এ শিলা বৃষ্টি? আর কেনই বা হয় এই বজ্রপাত? যদি আপনি এটার উত্তর পেতে চান তাহলে আপনার জন্যই ডেইলি বাংলাদেশের আজকের এই আয়োজন। আজ আমরা শিলা বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
বজ্রপাত কেন হয় এটা সম্পর্কে জানার জন্য আপনাকে সবার আগে স্ট্রেটিক ইলেক্ট্রিসিটি সম্পর্কে জানতে হবে। যদি সহজ ভাষায় স্ট্রেটিক ইলেক্ট্রিসিটি সম্পর্কে বলা হয় তাহলে স্ট্রেটিক ইলেকট্রিসিটি হচ্ছে দুটি জিনিসের মধ্যে ফিকশন। অর্থাৎ এই ইলেক্ট্রিসিটি দুইটি বস্তুকে একে অপরের সাথে ঘর্ষণের ফলে উৎপন্ন হয়। আপনি এইটি বেলুন দ্বারা করা একটি এক্সপেরিমেন্ট থেকে সহজেই বুঝতে পারবেন। ধরুন এক ব্যক্তি একটি বেলুনকে একটি কাপর দ্বারা ঘসছে এবং একটি টেবিলে কিছু কাগজের টুকরো রেখেছেন। বেলুনটি ঘষার পরে টেবিলে রাখা কাগজের টুকরোর ওপরে নিয়ে যেতেই কাগজের টুকরোগুলো বেলুনের গায়ের সঙ্গে আটকে যেতে থাকে। এই প্রক্রিয়াটির পেছনের সাইন্স ছিল স্ট্রাটিক ইলেক্ট্রিসিটি। এ রকম হওয়ার মূল কারণ, যখনই বেলুনের শরীরকে কোনো কিছু দ্বারা ঘর্ষণ করা হয় তখনই বেলুনের ভিতরে কিছু নেগেটিভ চার্জ চলে আসে। আর এই কাগজের টুকরো যা নিউট্রাল হয়ে থাকে পসিটিভ চার্জকে আকর্ষণ করে আর এভাবে বেলুন কাগজের টুকর গুলোকে ম্যাগনেট এর মত তার শরীরে আটকে নেয়।
তাহলে, এবার আসুন আমরা আমাদের প্রশ্নে ফিরে আসি। বজ্রপাত কেন হয়? আমরা সবাই এটা জানি পানি বাস্প হয়ে উপরে গিয়ে ঠান্ডা হয়ে মেঘের সৃষ্টি করে। উপরের মেঘ এতটা ঠান্ডা হয়েছে সেগুলো ছোট ছোট বরফের আকার ধারণ করে। আর এই বরফের টুকরো গুলো একে অপরের সাথে ঘর্ষণের সৃষ্টি করে। যার ফলে একটি নেগেটিভ চার্জ উৎপন্ন হয় মেঘের নিচের দিকে আর পজেটিভ চার্জ হালকা হওয়ার কারণে মেঘের উপর দিকে চলে যায়। তখন মেঘের মধ্যে এই চার্জ ভাগাভাগি হয়ে যায়। আর যেমনটা আমি আপনাদের বলেছি স্ট্রটিক ইলেক্ট্রিসিটিতে কোন এক বস্তুতে স্ট্রেটিক নেগেটি চার্জ তৈরি হয়ে যায়। তবে এটা ঠিক মেঘের ভেতরের চার্জ আলাদা হওয়া প্রক্রিয়া নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে।
কারণ এটাই সব থেকে মাহাত্ম্যপূর্ণ প্রক্রিয়া বজ্রপাতের জন্য। বিদ্যুৎ চমকানোর তিন প্রকারের হয়ে থাকে। নাম্বার ওয়ান ইন্ট্রা ক্লাউড লাইটনিং এর মানে হচ্ছে একটি মেঘের মধ্যেই বিদ্যুৎ চমকানোর। এর মধ্যে মেঘের উপরের পসিটিভ চার্জ আর নিচের ভারী নেগেটিভ চার্জ যখন কাছাকাছি চলে আসে তখন একটি লাইকনিং ক্রিয়েট হয় যেটাকে আমরা বিদ্যুৎ চমকানো বলে থাকি। কিন্তু এই প্রক্রিয়াতে কোনো আওয়াজ হয় না।
নাম্বার টু ক্লাউড টূ ক্লাউড লাইটনিং এর মানে হল দুটি মেঘের মধ্যে বিদ্যুৎ চমকানোর। এর মধ্যে একটি মেঘের নেগেটিভ চার্জ যখন দ্বিতীয় মেঘের পসিটিভ চার্জের কাছে চলে আসে তখন একটি লাইটনিং ক্রিয়েট হয়। এই বিদ্যুৎ চমকানো দেখাও যেতে পারে আবার নাও দেখা যেতে পারে। নাম্বার থ্রি তে আছে ক্লাউড তো গ্রউন্ড লাইটনিং। এর মানে মেঘ থেকে ভূ-পৃষ্ঠ পর্যন্ত বিদ্যুৎ চমকানো। যেটাকে আমরা বজ্রপাত বলে থাকি। এখানে মেঘের নিচের অংশ যেটা নেগেটিভ চার্জে ভরা থাকে আর ভূমিতে থাকা কোন পসিটিভ চার্জের সাথে আট্রাক্ট হয়ে লাইটনিং ক্রিয়েট করে। এটা সাধারন খোলা মাঠ আর গাছের মধ্যে হয়ে থাকে। এর জন্য বৃষ্টির সময় খোলা মাঠে এবং গাছের নিচে কখনোই থাকবেন না। ভূমিতে আঘাত করা এই বজ্রপাত প্রায় ২৭০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গরম হয়ে থাকে। এই লাইটনিং অনেক জোরে শব্দ করে থাকে। এই লাইটনিং আশেপাশে হাওয়াকে ভীষণ গরম করে দেয়।
তাহলে আশা করছি আপনারা বুঝতে পারলেন বজ্রপাত কেন হয় এবং সেই সঙ্গে বজ্রপাতের সময় এত জোরে শব্দ কেন হয়ে থাকে।
আসুন এবার জেনে নেই শিলা বৃষ্টি সম্পর্কে। আকাশে যখন মেঘের পরিমাণ অনেক বেশি বা ভারী হয় তখনই বৃষ্টির সময় আকাশ থেকে বরফের টুকরো বা মেঘের কণা পরে যাকে আমরা শিলা বৃষ্টি বলে থাকি। আমরা যাকে বৃষ্টি বলি তা কিন্তু আকাশ থেকে বিশাল বড় আকারে একটি মেঘের কণা। আকাশে মেঘ জমতে জমতে অনেক ভারী হয়ে গেলে যদি ওই আকাশ ধরে রাখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে তখন আকাশ থেকে মেঘের কণাগুলোর আলাদা আলাদা হয়ে ভূ-পৃষ্ঠে পতিত হওয়ার সময় মেঘের কণাগুলো একে অপরের সাথে ঘর্ষণের ফলে সেই কণাগুলো এত ছোট ছোট হয়েছে যে তা ভূপৃষ্ঠে আমরা বৃষ্টির আকারে দেখতে পাই। আর সে সময় মেঘর কণা গুলো যখন অনেক বেশি আকারে আকাশ থেকে ঝরে তখন একে অন্যের সাথে অতি ঘর্ষণের ফলেও ঐ কথাগুলো চূর্ণ বিচূর্ণ হতে পারে না কিংবা হওয়ার পূর্বেই ভূ-পৃষ্ঠে পতিত হয় আর এ কারণেই বৃষ্টির সময় আকাশ থেকে বরফের টুকরো পরে। আশা করি আমাদের আজকের আলোচনা থেকে আপনারা শিলা বৃষ্টি সম্পর্কেও জানতে পারলেন।
- চাঁদা তুলে খেলতে আসা দলই গড়ল ইতিহাস
- মিল্টন সমাদ্দারের অপকর্ম তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি
- জুমার নামাজের ফরজ ও হারাম
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু, পরীক্ষার্থী ৩৩৮০০০
- তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে ১৫৫ জনের মৃত্যু
- ‘পুষ্পা: দ্য রুল’ সিনেমা মুক্তির আগেই ১০০০ কোটির ব্যবসা!
- ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও
- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- নীলফামারীতে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনা
- ডিমলায় জুয়া খেলার অপরাধে আটক-২
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক
- রাতেই যেসব অঞ্চলে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি
- জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের
- ফারিণের ‘নিকষ’ অন্ধকার!
- অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি, ৫ যুগ্ম-সচিবের বদলি
- ‘সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে ভূমিসেবায় দুর্নীতি প্রতিরোধ করা হবে’
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- অবৈধ দখলে থাকা খাস জমি চিহ্নিত করতে বললেন ভূমিমন্ত্রী
- মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- চিকিৎসা ব্যবস্থা যেকোনো মূল্যে সহজলভ্য করবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- মানুষের জীবন সহনীয় করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
- জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করা হবে: শিল্প সচিব
- রোহিঙ্গা সমাধানে নিউজিল্যান্ডকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান
- তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে এরদোগান বিরোধীদের জয়
- ঈদে সৈয়দপুর-ঢাকা আকাশপথে বাড়তি ফ্লাইট
- রংপুরে সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যরিস্টার আনিকা তাসনিয়া
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- আইপিএলের মাঝপথে হঠাৎ দেশে ফিরলেন মুস্তাফিজ