• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সরকারের কূটনৈতিক সফলতায় মিয়ানমারের বিচার হচ্ছে- তথ্যমন্ত্রী

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২০  

বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতার কারণেই ওআইসি’র পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিচার হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, সরকার যুদ্ধ বিগ্রহের মাধ্যমে নয়, কূটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক মহল থেকে চাপ এবং আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করতে চায়। আমরা সেই পথেই হাঁটছি। এতে এরইমধ্যে অনেক সফলতা এসেছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরের সিআরবি শিরীষ তলায় সামাজিক সংগঠন ‘তিলোত্তমা চট্টগ্রাম’ আয়োজিত মুজিববর্ষ উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৯১ ও ১৯৯২ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন বাংলাদেশে যেসব রোহিঙ্গারা এসেছিলো তাদের অনেকেই কিন্তু এখনো আছে। মিয়ানমারে ফেরত যায়নি।  

‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলবো ১৯৯১ সালের পর বিএনপি দু’দফায় ১০ বছর ক্ষমতায় ছিলো। তাদের সময়ে যে রোহিঙ্গারা এসেছিলো তাদেরকেও কিন্তু তারা ফেরত পাঠাতে পারেননি। ’ 

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন। সেখানে যেই বর্বরতা চলছিল সেই বর্বরতার হাত থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা রক্ষা পেয়েছে।  

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এতে সমগ্র পৃথিবী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও গণমাধ্যম প্রধানমন্ত্রীকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। যেখানে সমগ্র পৃথিবী প্রশংসা করছে সেখানে বিএনপি প্রশংসা করতে পারেনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতার কারণেই আন্তর্জাতিক আদালত থেকে মিয়ানমারকে সমন দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি কিছু নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।  

তিনি আরো বলেন, অনেককে বিচারের আওতায় আনতে বলা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক আদালত থেকে তিরস্কারের মতোই করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশেরই কূটনৈতিক তৎপরতার সফলতা।