• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন হাকিমপুরের মৃৎশিল্পীরা       

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১  

আগামী মাসেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উত্সব শারদীয় দূর্গাপুজা। আর তাই তো প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার মৃিশল্পীরা। হঠাত্ করেই কাজের চাপ বেড়ে গেছে কারিগরদের। রাতদিন পরিশ্রম করে নিপুণ হাতে তৈরি করছেন দেবী দুর্গাকে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে যেন স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত না হয় সে ব্যাপারে প্রস্তুতি নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরাও।

কনক চন্দ্র মহন্ত গত ১৫ বছর ধরে প্রতিমা তৈরি করে আসছেন। তিনি এবার সাতটি মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ হাতে নিয়েছেন। ইতিমধ্যে চারটিতে মাটি লাগানোর কাজ শেষ করেছে। পূজা শুরুর ১৩-১৪ দিন আগে রঙের কাজ শুরু করবে। তখন রং-তুলির আঁচরে প্রতিমাগুলোকে জীবন্ত রূপে ফুটিয়ে তোলা হবে বলে জানান তিনি।

এক একটি মন্দিরে কাজ করে ৩০ হাজার টাকা নিচ্ছেন কনক। গতবারের তুলনায় তার দলে লোকবল বাড়াতে হয়েছে। বাজারে প্রতিমা তৈরির সব উপকরণের দাম বেড়েছে। তারপরও সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে সেরা কাজ উপহার দিতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কনক।

শিল্পী সুজন কুমার পাল। ছোটবেলা থেকেই দাদা-বাবাদের কাছে কাজে তার হাতেখড়ি। রাত দিন পরিশ্রম করে প্রতিমা তৈরি করে যাচ্ছেন সুজন ও তার লোকজন। এবারে তিনি পাঁচটি মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ হাতে নিয়েছেন। প্রতিটি মন্দিরে প্রতিমা তৈরিতে ৪০ হাজার টাকা নিচ্ছেন সুজন।

সরেজমিনে হাকিমপুর (হিলি) পৌর শহরের চণ্ডিপুর মন্দির, পালপাড়া মন্দির, গোহাড়া মন্দির, উপজেলার সাদুড়িয়া গ্রামের রাজ নারায়ণশাহ সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, দক্ষিণ সাহাজাদপুর সার্বজনীন দুর্গা মন্দির এবং জাংগই সার্বজনীন দুর্গা মন্দির ঘুরে দেখা যায়, মনের মাধুরী মিশিয়ে কারিগররা নিখুঁতভাবে তৈরি করছেন দুর্গা দেবীর প্রতিমাকে। পাশাপাশি চলছে লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ ও কার্তিক, অসুর, সিংহ, মহাদেবসহ অন্যান্য প্রতিমা তৈরির কাজ। কোনো মণ্ডপে কাঠামো তৈরি হচ্ছে, কোথাও বা করা হচ্ছে মাটির কাজ। লকডাউন শিথিল হওয়ায় এবার কাজের চাপও বেশি।

জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের দেওয়া তথ্য মতে—এ বছর দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলায় ১ হাজার ২৮৬টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা। আগামী ১১ অক্টোবর ষষ্টীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।

হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দীপংকর শাহা (রিপন) বলেন, এবারে আমাদের উপজেলায় ২১টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। মন্দিরে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুর্গোত্সব পালনের জন্য সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। হাকিমপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দুর্গাপূজায় সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী (পুলিশ) প্রস্তুত রয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপনের জন্য পুলিশ সব ধরনের সহযোগিতা করবে।