• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রংপুরে বাড়ছে আক্রান্ত, এক দিনে শনাক্ত ২৮

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২২  

রংপুর বিভাগে থেমে থেমে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যান। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে আরও ২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশে। যা এ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। যদিও এই সময়ে কোনো রোগী মারা যায়নি।

তবে এই অঞ্চলে করোনার সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আগের দিন বৃহস্পতিবার বিভাগের আট জেলায় ১৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছিল। ওই দিন শনাক্তের হার ছিল ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভাগে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫ হাজার ৯০৩ জন। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২৫২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৫৪ হাজার ২৭৮ জন।

এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের আট জেলার ২০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গাইবান্ধার ২, লালমনিরহাটের ৩, রংপুরের ৮ ও দিনাজপুরের ১৫ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ২৩ জন সুস্থ হয়েছেন।

রংপুর বিভাগের মধ্যে করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ‍ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুরে। এ জেলায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৯৫৪ এবং ৩৩২ জন মারা গেছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বিভাগীয় জেলা রংপুরে। এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৬২০ জনে।

এছাড়া জেলা হিসেবে সবচেয়ে কম ৬৩ জন মারা গেছে গাইবান্ধায়। এ জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৮৭৮ জনের। ঠাকুরগাঁওয়ে মৃত্যু ২৫৬ ও শনাক্ত ৭ হাজার ৭০৮ জন, নীলফামারীতে মৃত্যু ৮৯ ও শনাক্ত ৪ হাজার ৪৫৯ জন, পঞ্চগড়ে মৃত্যু ৮১ ও শনাক্ত ৩ হাজার ৮৩৮ জন, কুড়িগ্রামে মৃত্যু ৬৯ ও শনাক্ত ৪ হাজার ৬৫৩ জন এবং লালমনিরহাটে মৃত্যু ৬৯ ও আক্রান্ত ২ হাজার ৭৭৪ জন।

এখন পর্যন্ত বিভাগে মোট ৩ লাখ ৯ হাজার ৪৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৫ হাজার ৯০৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিভাগে সুস্থ হয়েছেন ৫৪ হাজার ২৭৮ জন।

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, গণটিকাসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষকে টিকার আওতায় আনার ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার আগের চেয়ে কমে আসছে। তবে বর্তমানে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন এবং করোনার ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতিতে যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে তা উদ্বেগজনক। 

একইসঙ্গে শীতকালে করোনার সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনা প্রতিরোধে জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করা জরুরি।