• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পীরগাছায় ভাবির লাঠির আঘাতে দেবরের মৃত্যু

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ অক্টোবর ২০২২  

পীরগাছায় ভাবির লাঠির আঘাতে দেবরের মৃত্যু                          
রংপুরের পীরগাছায় ভগ্নিপতির সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় ভাবির লাঠির আঘাতে রওশন আলম (৩০) নামের এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় বড়ভাই রতন মিয়া ও তার স্ত্রী আরেফা খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার কৈকুড়ি ইউনিয়নের মিরাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রওশন আলম ওই এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রওশন আলমের বড়ভাই রতন মিয়ার স্ত্রী আরেফা খাতুনের সঙ্গে তার ভগ্নিপতির পরকীয়া চলছিল। গত এক সপ্তাহ আগে বড়ভাই বাড়িতে না থাকার সুযোগে ভাবির সঙ্গে ভগ্নিপতিকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে রওশন। পরে বিষয়টি বড়ভাইসহ পরিবারের লোকজনকে জানায়। এদিকে বিষয়টি ভিন্নখাতে নিতে দেবর রওশনের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অপবাদ দেয় ভাবি।

এতে ক্ষোভে ও অভিমানে গত মঙ্গলবার বিষপান করে রওশন আলম। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পরে আরেফা খাতুন তার বিরুদ্ধে অপবাদ দেওয়ার অভিযোগে স্বামী রতন মিয়াকে তার ভাই রওশকে শায়েস্তা করার দাবি জানায়। পরে শনিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রওশনকে বাড়িতে নিয়ে আসে তার বড়ভাই ও বাবা।

এসময় ভ্যান থেকে রওশনকে নামিয়ে স্ত্রীর হাতে লাঠি তুলে দেয় বড় ভাই রতন মিয়া। লাঠি হাতে পেয়ে দেবর রওশনকে এলোপাতাড়ি মারপিট করেন আরেফা খাতুন। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঘটনাস্থলেই রওশন আলমের মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে পীরগাছা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় ভাবি আরিফা খাতুন ও ভাই রতন মিয়াকে আটক করা হয়।

পীরগাছা থানার এসআই আব্দুল মালেক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের ভাই রতন মিয়া ও তার স্ত্রী আরেফা থাতুনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।