গ্রামীণ শিল্প ঝিনুকের চুন
– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯
বিয়ে বা যে কোনো মেহমানদারীতে পান-সুপারি একটি অপরিহার্য উপাদান। আর এই পান-সুপারিকে মুখরোচক করতে যে উপাদানটি কার্যকর ভূমিকা রাখে তা হচ্ছে চুন। চুন ছাড়া পান খাওয়ার কথা ভাবাই যায় না। আর পানখেকোদের কাছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে ঝিনুকের চুন বা যুগির চুন।
খাল, বিল, নদী থেকে ঝিনুক কুড়িয়ে, নানা পদ্ধতিতে যারা চুন তৈরি করে তারা হলো যুগি সম্প্রদায় বা চুনারু নামে আখ্যায়িত। এ কারণে পান খাওয়ার এই ঝিনুকের চুনকে যুগির চুনও বলা হয়।
এখনো গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু যুগি পরিবার দেখা যায়। তারা তাদের আদি পেশাকে আঁকড়েই জীবিকা নির্বাহ করছেন। আর সরবরাহ করছেন ঝিনুকের চুন।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্যাপুর ও সদর উপজেলার ঝিনুক থেকে চুন উৎপাদনকারী প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার এখনো নানান সংকট নিরসন করে পৈত্রিক পেশাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। কিন্তু নদ-নদী ও খাল-বিলে ঝিনুকের সংখ্যা কমে যাওয়া, চুনাপাথর থেকে তৈরি চুনের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় যুগির চুনের চাহিদা হ্রাস পেয়েছে। এছাড়াও ঝিনুকের চুনের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি, আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে পেশাদার যুগিরা জীবন জীবিকার তাগিদে পৈত্রিক পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউপির বালুয়া বাজাড়ের কাছে জলেরমোড়ের যুগিপাড়া গ্রামটি এই ঝিনুকের চুনের কারিগরদের কারণে এরইমধ্যে চুনের গ্রাম নামেই সর্বাধিক পরিচিতি অর্জন করেছে। এই যুগিপাড়াসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে স্বাধীনতার আগে প্রায় ১৩০টি পরিবারের বসতি ছিল। যারা ঝিনুকের চুন তৈরি করে খুব স্বচ্ছল জীবন যাপন করতো।
সে সময় নদীবেষ্টিত এ জেলায় ঝিনুক পাওয়া যেত অনেক বেশি। সে জন্য চুন উৎপাদনের পরিমাণও ছিল বেশি। এছাড়া পাথরের চুনের ব্যবহারের প্রচলন তখনো শুরু হয়নি। উৎপাদিত চুন পার্শ্ববর্তী জেলায় পাঠানো হতো। ফলে দাম বেশি পাওয়ায় তখন চুনের কারবার ছিল রমরমা। কিন্তু এখন সে অবস্থা আর নেই।
রামচন্দ্রপুরের যুগিপাড়ায় এখন মাত্র ১৫টি পরিবার তাদের এই চুন তৈরির পেশাকে আঁকড়ে রেখেছে। এসব পরিবারের নারী-পুরুষ উভয়েই চুন তৈরি করেন। যুগিরা ব্রহ্মপুত্র তীরবর্তী বালাসীঘাট, কামারজানি, করতোয়া নদীর বড়দহ ঘাটসহ বিভিন্ন এলাকার জেলেদের কাছ থেকে নদীর ঝিনুক কেনে। মাছ ধরার সময় জালে যে ঝিনুক ওঠে, স্থানীয় ভাষায় সেগুলোকে বলা হয় ‘সিপি’ বা ‘টোকরাই’। জেলেরা এসব যুগিদের জন্যই তা জমা করে রাখে। প্রতি মণ ঝিনুক যুগিরা কেনে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে।
ঝিনুকগুলো গরম পানিতে সিদ্ধ করা হয়। এতে সহজেই খোলসটি খুলে যায়। এরপর যুুুুগি পরিবারের মেয়েরা প্রতিটি ঝিনুক থেকে ভেতরের নরম অংশগুলো বের করে নেয়। যা হাঁস-মুরগির জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং প্রিয় খাবার হিসেবে হাঁস-মুরগির খামারীদের কাছে বিক্রি হয়।
পরে ঝিনুকের খোলসগুলো পানিতে ধুয়ে রোদে শুকানো হয়। সবশেষে চুনের ভাটিতে আগুনে পুড়িয়ে তা ছাঁই করা হয়। ভাটিতে আগুনের উত্তাপ বৃদ্ধির জন্য সাইকেলের চাকায় তৈরি একটি বিশেষ হাঁপর চালিয়ে ভাটিতে বাতাস দেয়া হয়। ঝিনুক বা টোকরাইয়ের এই ছাঁইগুলো বড় মাটির পাত্রে রেখে তাতে পানি মিশিয়ে বাঁশের লাকড়ি দিয়ে ঘুটিয়ে তৈরি করা হয় পান খাওয়ার চুন।
গাইবান্ধার রামচন্দ্রপুর ইউপির জলের মোড় যুগিপাড়ার যুগি গোপী লাল বলেন, এক মণ ঝিনুক থেকে দুই মণ চুন হয়। এক মণ ঝিনুকের চুন তৈরি করতে সময় লাগে তিনদিন। এই চুন প্লাস্টিকের ক্যানে করে পানের দোকানে বিক্রি করে প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করা হয়।
একই গ্রামের একাধিক যুগি জানান, ঝিনুকের কোমলাংশ এবং চুন বিক্রি করে খরচ বাদে লাভ হয় ৫৮০ থেকে ৬৫০ টাকা। যা দিয়ে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতায় খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ায় স্থানীয় নদী-নালা-খাল-বিল থেকে এখন আর সহজেই ঝিনুক পাওয়া যায় না। ফলে জেলার বাইরে থেকেও বেশি দামে ঝিনুক কিনে আনতে হয়। এতে চুনের উৎপাদন খরচ পড়ে অনেক বেশি।
তবে পার্শ্ববর্তী বগুড়াসহ অন্যান্য জেলায় সামুদ্রিক শঙ্খ এবং সাদা রংয়ের ঝিনুক থেকেও চুন তৈরি হচ্ছে। সেখানে শঙ্খ এবং সাদা ঝিনুকও কিনতে পাওয়া যায়। সামুদ্রিক শঙ্খ এবং সাদা ঝিনুক থেকে যে চুন হয় তার রং এমনিতে সাদা। এছাড়াও চুনে এসিড মিশিয়েও সাদা করা হচ্ছে। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
কিন্তু যুগিদের চুনে কোন কেমিকেল মেশানো হয় না বলে তার রং একটু কালচে হয়। ফলে এই সাদা শঙ্খের চুনের দাম বেশি হলেও প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না যুগিদের বানানো ঝিনুকের চুন।
জলেরমোড়ের যুগিপাড়ার যুগিরা জানান, তাদের দাবি আর্থিক কারণে তারা আদি এই গ্রামীণ শিল্পের বিকাশ ঘটাতে পারছে না। তাই সহজ শর্তে ঋণ সহায়তা দেয়া হলে তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হবে। এতে তারা এ অঞ্চলের খাল-বিল-নদী-নালা থেকে প্রাপ্ত সাধারণ এই ঝিনুকের চুন শিল্পের বিকাশ ঘটাতে পারবে।
- হজ পালনে অনুমতি বাধ্যতামূলক করল সৌদি
- আবারো কমলো সোনার দাম
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার কবে বন্ধ হবে, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
- ঈদুল আজহায় পশু আমদানির পরিকল্পনা নেই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
- রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা সহ্য করবো না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- রাতভর ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত
- আইনগত সহায়তা দরিদ্র-অসহায় নাগরিকের অধিকার: আইনমন্ত্রী
- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রয়োজন করা হবে: ইসি আলমগীর
- একদিনে হিট স্ট্রোকে ১৭ জনের মৃত্যুর রেকর্ড
- দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
- সৈয়দপুরে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা শীর্ষক সম্মেলন
- আ.লীগের উপদেষ্টা সদস্য প্রণব কুমার বড়ুয়া মারা গেছেন
- এমএলএসে মেসির নতুন ইতিহাস
- রাতারাতি ভাইরাল পিয়া জান্নাতুল, কী বলছেন তিনি
- টানা ৪ মাসে হাতে লিখলেন কোরআন
- তীব্র দাবদাহে নজর কেড়েছে ‘এসি হেলমেট’
- থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান
- তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- অদক্ষ শ্রমিক বিদেশে পাঠানো হবে না: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
- হজ ফ্লাইট শুরু ৯ মে: ধর্মমন্ত্রী
- ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান
- একটা জাল ভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ: ইসি আহসান হাবিব
- তরুণদের উদ্ভাবনী জ্ঞান কাজে লাগাতে হবে: স্পিকার
- তীব্র দাবদাহে বেড়েছে লবণ উৎপাদন
- শহিদ শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ
- তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়ল আরো ৭২ ঘণ্টা
- ডিমলায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ
- নানা আয়োজনে নীলফামারীতে শুরু হলো নৃত্য উৎসব
- ‘গাছ লাগিয়ে গিনেজ বুকে নাম লেখাবে ছাত্রলীগ’
- ডিমলায় জুয়া খেলার অপরাধে আটক-২
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক
- রাতেই যেসব অঞ্চলে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি
- জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের
- ফারিণের ‘নিকষ’ অন্ধকার!
- ‘সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে ভূমিসেবায় দুর্নীতি প্রতিরোধ করা হবে’
- অবৈধ দখলে থাকা খাস জমি চিহ্নিত করতে বললেন ভূমিমন্ত্রী
- মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- চিকিৎসা ব্যবস্থা যেকোনো মূল্যে সহজলভ্য করবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- রংপুরে সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যরিস্টার আনিকা তাসনিয়া
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- মানুষের জীবন সহনীয় করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
- রোহিঙ্গা সমাধানে নিউজিল্যান্ডকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান
- জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করা হবে: শিল্প সচিব
- তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে এরদোগান বিরোধীদের জয়
- ঈদে সৈয়দপুর-ঢাকা আকাশপথে বাড়তি ফ্লাইট
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- আইপিএলের মাঝপথে হঠাৎ দেশে ফিরলেন মুস্তাফিজ
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই