মিয়ানমারের অসহযোগিতাই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিলম্বের কারণ
– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৯
মিয়ানমার সরকারের অসহযোগিতাই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বিলম্ব হওয়ার মূল কারণ বলে দাবি করছে বাংলাদেশ। দেশটির অসহযোগিতা, সদিচ্ছার অভাব ও কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয়ার ফলেই একাধিকবার চেষ্টার পরও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না।
যদিও গত শুক্রবার মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ্য হেতে দাবি করেন, ঢাকার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা না পাওয়ায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কর্মসূচি ব্যর্থ হচ্ছে। এর আগে দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চিও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া থেমে থাকায় বাংলাদেশকে দায়ী করেছিলেন। তবে মিয়ানমারের এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনারা সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা গণহত্যা শুরু করলে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এত কম সময়ে এত বেশি শরণার্থী বিশ্বের আর কোথাও প্রবেশ করেনি। ফলে এ সংকট সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় বাংলাদেশকে। বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন পর্যায় থেকে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করলে মিয়ানমার সরকার বাধ্য হয় রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করতে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পন্ন হয়।
একই বছরের জুনে নেপিদোতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর মধ্যেও সমঝোতা চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী দুই দফায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের তারিখ নির্ধারিত হলেও এখনো ওই চুক্তির আওতায় একজন রোহিঙ্গাকেও নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়নি মিয়ানমার সরকার।
রোহিঙ্গারাও নিজ দেশে ফিরতে চায় নাগরিকত্ব নিয়ে। তবে তাদের সেই যুক্তিক দাবি মেনে নিচ্ছেনা মিয়ানমার। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও বলছে, নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমার এখনো প্রস্তুত নয়। তা সত্ত্বেও নেপিদোর পক্ষ থেকে বার বার দাবি করা হচ্ছে, বাংলাদেশের কারণেই প্রত্যাবাসন সম্ভব হচ্ছে না।
সোমবার রাজধানী ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। সেখানে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতাকে বড় করে দেখেছেন, তাই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন। কিন্তু রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হতেই হবে।
আলোচনা সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) মামলা হওয়ার পর মিয়ানমার ছাড়াও অনেক দেশের ওপর চাপ সৃষ্টি হবে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে। সবচেয়ে বড় কথা হলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী অং সান সু চিকে বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হলে এ অঞ্চল অস্থিতিশীল হবে।
আলোচনা সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ্ কামাল বলেন, উখিয়া ও টেকনাফে আমাদের স্থানীয় লোক মাত্র সাড়ে ৪ লাখ। আর সেখানে বর্তমানে রোহিঙ্গা আছে ১১ লাখেরও বেশি। যার প্রভাব পড়ছে স্থানীয়দের জীবযাত্রায়।
জানা যায়, রোহিঙ্গাদের বসতির কারণে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ধ্বংস হয়েছে ৬ হাজার ১৬৩ হাজার একর বন। যার অর্থমূল্য ১ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা। হুমকির মুখে পড়েছে সেখানকার পরিবেশ, বনভূমি ও জীববৈচিত্র্য। এছাড়া বসতি স্থাপন করতে গিয়ে এশিয়ান হাতির আবাসস্থল ও বিচরণ ক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এভাবে দীর্ঘদিন চলতে থাকলে উখিয়া ও টেকনাফের বনাঞ্চল সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞরা।
এর আগে চলতি বছরের ২৩ অক্টোবর আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ১৮তম ন্যাম সম্মেলনের মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোনেমের দেয়া বক্তব্য নিয়েও মিথ্যাচার করেছিলো মিয়ানমার।
- ১৪৯১ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারসহ ৩ মাদককারবারী গ্রেফতার
- স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দাবি বেরোবি ছাত্রলীগের
- রাফাহতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২১ ফিলিস্তিনি নিহত
- দ্রব্যমূল্য নিয়ে চাপের মধ্যে আছি: ওবায়দুল কাদের
- প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস: শিক্ষামন্ত্রী
- জনগণের কথা চিন্তা করে আইন তৈরি করতে হবে: আইনমন্ত্রী
- তৃণমূল মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার
- হাওরের ৯৭ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ
- ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার আবাসন সুবিধা পাবে
- চাকরিতে প্রবেশে বয়সের বিষয়ে যা জানালেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
- ‘অভিবাসন নিয়ে অপতথ্য রোধে কাজ করবে বাংলাদেশ-ইতালি’
- ঢাকায় আসছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব
- অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধ করা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
- ১৪ দিনে হিটস্ট্রোকে ১৫ মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদফতর
- উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে তীব্র ঝড়
- ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছে’
- নীলফামারীতে আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস পালন
- ধূমপান বা তামাক স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর
- সত্যি কী আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান?
- হজের জন্য মাহরাম না পেলে নারীদের করণীয় কী?
- রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো: মস্কো
- অপসাংবাদিকতা মূল সাংবাদিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সুবিধায় আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণবঙ্গ: রেলমন্ত্রী
- ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি’
- ‘মৎস্যসম্পদ রক্ষার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে হবে’
- উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি
- টেনিস খেলাকে জনপ্রিয় করতে কাজ করা হচ্ছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ
- ‘উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি’
- তীব্র গরমেও শীতল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- ডিমলায় জুয়া খেলার অপরাধে আটক-২
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক
- রাতেই যেসব অঞ্চলে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি
- জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের
- ফারিণের ‘নিকষ’ অন্ধকার!
- মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- রংপুরে সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যরিস্টার আনিকা তাসনিয়া
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- ঈদে সৈয়দপুর-ঢাকা আকাশপথে বাড়তি ফ্লাইট
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- ছাত্রনেতাদের শৈশবের ঈদ স্মৃতিচরণ
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসিতে নিরাপত্তা জোরদার
- বিভিন্ন যানবাহনে অবৈধ স্টিকার ব্যবহার
- পুত্রবধূকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, শ্বশুর-শাশুড়ি গ্রেপ্তার
- শ্রম আইন সংশোধনে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- তীব্র দাবদাহে হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ