ব-দ্বীপ স্বপ্ন বাস্তবায়নে তৎপর সরকার
– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ৯ আগস্ট ২০২০
তিন লাখ কোটি টাকা ব্যয়ে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের পানিসম্পদ কাজে লাগাতে নতুন স্বপ্ন নিয়ে ঘোষিত ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। রূপকল্প-৪১ এর খাদ্য নিরাপত্তা, শিল্প, জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রণীত ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চেয়ারপার্সন করে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ডেল্টা গভর্ন্যান্স কাউন্সিল গঠন করেছে সরকার।
ডেল্টা গভর্ন্যান্স কাউন্সিলে কৃষিমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রীকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। এছাড়া এই কাউন্সিলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অথবা প্রতিমন্ত্রী, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী, পানিসম্পদ মন্ত্রী অথবা প্রতিমন্ত্রী এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীকেও সদস্য করা হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্যকে এই কাউন্সিলের সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
নদীমাতৃক বাংলাদেশ পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ। এই ব-দ্বীপ ঘিরেই সামগ্রিক পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের লক্ষ্যে শত বছরের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বা ব-দ্বীপ পরিকল্পনা। পরিকল্পনার প্রথম ধাপে নদী ব্যবস্থাপনা, পানিবদ্ধতা দূরীকরণ এবং নদী-সাগর থেকে ভূমি উদ্ধার করে দেশের আয়তন বাড়ানোর মতো তিনটি কর্মসূচি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি উন্নত দেশের স্বপ্ন পূরণে রূপকল্প-৪১ বাস্তবায়নে কৃষি খাতের উন্নয়ন ঘটিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত, শিল্প খাতের উন্নয়ন করে সকলের জন্য কর্মসংস্থানের পাশাপাশি রফতানি বাণিজ্যের প্রসার, সকলের জন্য সু-স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য জনস্বাস্থ্য পরিকল্পনা, পরিবেশ উন্নয়ন ও সার্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ভূ-প্রতিবেশ খাত বিশেষ গুরুত্ব থাকছে ব-দ্বীপ পরিকল্পনায়।
ডেল্টা প্ল্যানে ২০১৮-৩০ সাল নাগাদ প্রথম পর্যায়ে ৬টি হটস্পট ঠিক করে ৮০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সরকার। এর মধ্যে ৬৫ প্রকল্প ভৌত অবকাঠামো সংক্রান্ত, ১৫টি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং গবেষণা সংক্রান্ত। ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় তিনটি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূর করা ও ওই সময়ের মধ্যে দেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়া এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদা লাভ। সমীক্ষা কার্যক্রম ও গবেষণা কাজের জন্য নেদারল্যান্ডস সরকার ইতোমধ্যে ৪৮ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৩৩টি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। কিন্তু এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন করা হবে।
শত বছরের মহাপরিকল্পনা বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চেয়ারপার্সন করে ডেল্টা গভর্ন্যান্স কাউন্সিল’ গঠন করেছে সরকার। এর আগে বন্যা, নদীভাঙন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদী কৌশল হিসেবে বহু আলোচিত ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০। ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। ডেল্টা প্ল্যান নামে বেশি পরিচিত এ মহাপরিকল্পনার অধীনে আপাতত ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য ৮০টি প্রকল্প নেবে সরকার, যাতে ব্যয় হবে প্রায় ২৯৭৮ বিলিয়ন টাকা।
ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে অর্থনৈতিক ও অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা এবং ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এখন থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অর্থায়ন এবং শুরুতেই অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন। পরিকল্পনার মাধ্যমে বন্যা, নদীভাঙন, নদীশাসন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামের পানি সরবরাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নগর বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের আয়তন বাড়বে।
ডেল্টা পরিকল্পনার মাধ্যমে নেদারল্যান্ডসের ভূমি বাড়ছে। নেদারল্যান্ডস এ পর্যন্ত ৬ হাজার বর্গকিলোমিটার নতুন ভূমি পেয়েছে। বাংলাদেশেও নদীবাহিত পলি দিয়ে এমনভাবে ভূমি পেতে পারে। আগামী ১০০ বছরে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উন্নয়ন পরিকল্পনা এটি। শুধু তাই নয়, ২১০০ সালে বাংলাদেশকে কোন জায়গায় দেখতে চাই তা ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় বলা হয়েছে। পৃথিবীতে এত দীর্ঘ সময়ের পরিকল্পনা আর কোন দেশ করেনি। পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে করতে পারলে কৃষিতে আর পিছিয়ে পড়বে না বাংলাদেশ। এজন্য নেদারল্যান্ডসের ব-দ্বীপ পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের ব-দ্বীপ পরিকল্পনা করা হয়েছে। নেদারল্যান্ডসের আয়তন বাড়ছে। দেশটি নতুন ভূমি পেয়েছে। বাংলাদেশেও নদীবাহিত পলি দিয়ে এমনভাবে ভূমি পেতে পারে।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ. কে.এম. এনামুল হক শামীম জানান, দীর্ঘমেয়াদী এই কর্মসূচি দ্রুত বাস্তবায়নে নেদারল্যাল্ডসের ব-দ্বীপ পরিকল্পনাকে মডেল হিসেবে নেয়া হয়েছে। ব-দ্বীপ পরিকল্পনার আওতায় ছয়টি অঞ্চলে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলো হলো উপকূলীয় অঞ্চল, বরেন্দ্র ও খরাপ্রবণ অঞ্চল, হাওড় ও আকস্মিক বন্যাপ্রবণ এলাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম, নদীবিধৌত অঞ্চল ও নগর এলাকা। বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদেরা ব-দ্বীপ পরিকল্পনা কৌশলগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পানি বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এরই মধ্যে ২৬টি গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নদী নাব্য ফিরে পাবে। পরিকল্পিতভাবে নদীগুলো নাব্য রাখতে পারলে দেশে আর বন্যা থাকবে না। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অর্থায়ন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। আর সেজন্য এখন থেকেই অর্থের উৎস ঠিক করে প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
- ডিমলায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ
- নানা আয়োজনে নীলফামারীতে শুরু হলো নৃত্য উৎসব
- ‘গাছ লাগিয়ে গিনেজ বুকে নাম লেখাবে ছাত্রলীগ’
- ‘এ’ ইউনিট দিয়ে আজ শুরু ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা
- রান তাড়ায় বিশ্বরেকর্ডের ম্যাচে আরো যত রেকর্ড
- নামিরার বাজিমাত
- কোরবানির নিয়তের পর পশু বিক্রি করার বিধান
- অক্টোবরে পরীক্ষামূলক চালু হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- থাই গভর্নমেন্ট হাউজে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
- ভাঙলো ৭৬ বছরের তাপপ্রবাহের রেকর্ড
- মানবসম্পদ উন্নয়নে উচ্চশিক্ষার বিকল্প নেই: এলজিআরডিমন্ত্রী
- দুর্ঘটনার কবলে ইসরায়েলি নিরাপত্তামন্ত্রী
- আবাসনের সুযোগ দিতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ: গণপূর্তমন্ত্রী
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে ক্ষমতার জন্য: কাদের
- দেশের জন্য কাজ করতে আ’লীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান
- দেশবাসীর অপেক্ষায় প্রতীক্ষিত সুখবর জানাল আবহাওয়া অফিস
- চাঁদা তুলে খেলতে আসা দলই গড়ল ইতিহাস
- মিল্টন সমাদ্দারের অপকর্ম তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি
- জুমার নামাজের ফরজ ও হারাম
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু, পরীক্ষার্থী ৩৩৮০০০
- তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে ১৫৫ জনের মৃত্যু
- ‘পুষ্পা: দ্য রুল’ সিনেমা মুক্তির আগেই ১০০০ কোটির ব্যবসা!
- ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও
- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- ডিমলায় জুয়া খেলার অপরাধে আটক-২
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক
- রাতেই যেসব অঞ্চলে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি
- জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের
- ফারিণের ‘নিকষ’ অন্ধকার!
- অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি, ৫ যুগ্ম-সচিবের বদলি
- ‘সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে ভূমিসেবায় দুর্নীতি প্রতিরোধ করা হবে’
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- অবৈধ দখলে থাকা খাস জমি চিহ্নিত করতে বললেন ভূমিমন্ত্রী
- মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- চিকিৎসা ব্যবস্থা যেকোনো মূল্যে সহজলভ্য করবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- মানুষের জীবন সহনীয় করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
- জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করা হবে: শিল্প সচিব
- রোহিঙ্গা সমাধানে নিউজিল্যান্ডকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান
- ঈদে সৈয়দপুর-ঢাকা আকাশপথে বাড়তি ফ্লাইট
- তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে এরদোগান বিরোধীদের জয়
- রংপুরে সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যরিস্টার আনিকা তাসনিয়া
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- আইপিএলের মাঝপথে হঠাৎ দেশে ফিরলেন মুস্তাফিজ