• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয় এবং খাদ্যের নিশ্চয়তা করা হবে- পলক

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২০  

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের আশ্রয় এবং খাদ্যের নিশ্চয়তা করা হবে। একটি মানুষও না খেয়ে থাকবে না ইনশাঅল্লাহ।

শনিবার সকালে সিংড়া থেকে বিলদহর পর্যন্ত বন্যা পরিস্তিতি সরজমিনে পরিদর্শন ও সোঁতিজাল উচ্ছেদ অভিযানকালে সাংবাাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় তাঁর সাথে জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ ও পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহাসহ প্রশাসনের স্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় সিংড়া পৌর এলাকার কতুয়াবাবড়ি, পাটকোল থেকে বিলদহর পর্যন্ত ৮টি স্থানে সোঁতিজাল পাতার স্থান চিহ্নিত করে সেগুলি উচ্ছেদ করেন। প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, প্রকৃত সৃষ্ট বিপদ মোকাবেলা করা কঠিন। কিন্তু মানুষের সৃষ্ট বন্যার কারণে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রশসানের এবং স্বেচ্ছাসেকদের সহযোগিতায় সোতিজাল উচ্ছেদ শুরু করা হয়েছে। আমি জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে তালিকা দিয়েছি এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।

তিনি বলেন, এসব ব্যক্তি যে দলেরই হোক কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপাতত আশ্রয়হীন মানুষদের আশ্রয় এবং খাদ্যের নিশ্চিয়তার জন্য খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া যারা বাড়ি ঘর হারিয়েছেন তাদের নগদ সহায়তা করাসহ পর্যায়ক্রমে বাড়ি হারোনা প্রত্যেককে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, শেখ হাসিনার সরকার জণগণের সরকার। দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের পাশে এসরকার অতীতেও ছিল, ভষ্যিতেও থাকবে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের মদ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

প্রতিমন্ত্রীর সাথে সিংড়া পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মো. জান্নাতুল ফেরদৌস, শেরকোল ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবিব রুবেল, উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।

সিংড়া পৌরসভার শোলাকুড়া এবং তাজপুর ইউনিয়নের হিয়াতপুর এলাকার ভাঙনে দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলে প্রতিরোধ করতে নির্দেশ দেন তিনি। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের বন্যার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ জানান, সরকারের পক্ষ থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে ও হবে।

পুলিশ সুপার রিটন কুমার সাহা জানান, যারা বেআইনিভাবে নদীতে স্টিল প্লট দিয়ে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে তাঁদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এসব ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনাসহ নিয়মিত মামলা দওেয়া হবে।