পাঁচ কোটি মানুষের বিনামূল্যে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করেছে সরকার
– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২০
দেশের ১৬ কোটির মধ্যে পাঁচ কোটি মানুষের ভ্যাকসিন নিশ্চিত করেছে সরকার। বাজারে আসার আগেই প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ভ্যাকসিন নিশ্চিত হওয়াকে আশাব্যঞ্জক হিসেবে দেখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পাবেন দেশের নাগরিকরা। বাকি ভ্যাকসিনের মূল্য কি হবে তা পরে নির্ধারণ করা হবে।
স্বাস্থ্য বিভাগ এখন ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য টার্গেট গ্রুপ নির্ধারণ করার পাশাপাশি পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর প্রথমার্ধেই মহামারীর বিরুদ্ধে কার্যকর এই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হওয়া সম্ভব। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, আরও দেখে জেনে বুঝে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন কেনার জন্য ইতোমধ্যে ৭৩৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ছাড় করেছে অর্থ বিভাগ। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কিনে বিনামূল্যে তা মানুষকে দেয়া হবে।
ইতোপূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী দ্য গ্লোবাল এ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস এ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস গ্যাভি ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন দেবে। এর বাইরে সরকার আরও তিন কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন কেনার জন্য চুক্তি করেছে। এছাড়া বেসরকারী উদ্যোগে ১০ লাখ ডোজ আমদানির অনুমোদন চেয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড। সব মিলিয়ে ৯ কোটি ৯০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন নিশ্চিত হয়েছে। প্রত্যেকের জন্য দুই ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োজন হলে এর মধ্যে ৪ কোটি ৯৪ লাখ মানুষের ভ্যাকসিন নিশ্চিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার ভ্যাকসিন প্রয়োগের একটি অংশ বেসরকারী খাতে ছাড়তে চাইলে আরও দ্রুত এই কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে।
স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান বলেন, আমরা অক্সফোর্ডের এ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনটি নিয়েই কাজ করছি। এটি আমাদের জন্য ভাল হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে যেখানেই আমাদের উপযোগী ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে সেখান থেকেই আমরা ভ্যাকসিন কিনব। এ খাতে সরকার পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ রেখেছে। আশার খবর হচ্ছে এখন পর্যন্ত পাঁচটি ভ্যাকসিন তৃতীয়ধাপের ট্রায়াল শেষ করেছে। অন্তর্বর্তী ফলাফল প্রকাশ করেছে চারটি ভ্যাকসিনের উৎপাদক প্রতিষ্ঠান। আর একটি কোম্পানি এখনও ফলাফল জানায়নি। এর বাইরেও দুটি ভ্যাকসিন আশার আলো দেখাচ্ছে। এই দুটি ভ্যাকসিনই যুক্তরাষ্ট্রের। জনসন এ্যান্ড জনসন এবং নোভাভ্যাক্স ভ্যাকসিন দুটির আবিষ্কারক। আগামী বছরের প্রথমার্ধে ভ্যাকসিন দুটির তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শেষ হবে। এসব কোম্পানির ভ্যাকসিনের দাম তুলনামূলকভাবে কম হবে। একই সঙ্গে সংরক্ষণ তাপমাত্রাও বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী হবে। ফলে এখনই এদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দ্রুত ভ্যাকসিন পাওয়া যেতে পারে।
জনসন এ্যান্ড জনসন বলছে তারা এক বিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে। জানুয়ারিতেই তৃতীয়ধাপের ফল হাতে আসতে পারে। জনসন এ্যান্ড জনসন বলছে অন্য ভ্যাকসিনগুলো দুই ডোজ প্রয়োজন হলেও তাদেরটি এক ডোজ নিলেই চলবে। আর এটির দাম হবে প্রতি ডোজ ১০ ডলারের মধ্যে। তবে এটি চূড়ান্ত নয়। অন্যদিকে এপ্রিলের দিকে নোভাভ্যাক্স তাদের ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশ করবে। প্রতিযোগিতায় একটু পিছিয়ে পড়ায় তুলনামূলক কম দামে এবং সহজে তাদের কাছ থেকে ভ্যাকসিন পাওয়া যেতে পারে।
ভ্যাকসিন পেতে এখন সারা বিশ্বই তীব্র প্রতিযোগিতায় নেমেছে। বিশ্বের ধনী দেশগুলো একজন নাগরিকের বিপরীতে পাঁচটি ভ্যাকসিন আগাম কিনে রেখেছে। সেখানে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর মধ্য অনেক দেশই এখন ভ্যাকসিনের সংস্থান করতে পারেনি। তবে বৈশ্বিক এই মহামারী রুখতে বিশ্বনেতাদের এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। এতে ধনী দেশগুলো তাদের নাগরিকদের জন্য একটি ভ্যাকসিন রেখে বাকিগুলো অন্যদের ব্যবহারের অনুমোদন দিলে দ্রুত মহামারী নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ এখনও ভ্যাকসিন ক্রয় বা গ্যাভির কাছ থেকে পাওয়ার যে আশা দেখছে তা মূলত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আবিষ্কৃত। ব্রিটেনের প্রসিদ্ধ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনটি বিশ^বাজারে সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত এ্যাস্ট্রাজেনেকা সর্বোচ্চ দুই বিলিয়ন ভ্যাকসিন উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটও এ্যাস্ট্রাজেনেকার এই ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে। বাংলাদেশে সেরাম এর এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করছে বেক্সিমকো ফার্মা।
সম্প্রতি অক্সফোর্ডের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল নিয়ে প্রকাশিত খবরে ভ্যাকসিনটির কার্যকরিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এতে করে অনুমোদন প্রক্রিয়াতে কোন দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি হবে কি না জানতে চাইলে বেক্সিমকোর প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা রাব্বুর রেজা বলেন, দুটি পুরো ডোজ দেয়া হয়েছে এমন ফলাফলের ভিত্তিতে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনটির অনুমোদন চাইছে। যাদের দুটি পূর্ণ ডোজ দেয়া হয়েছে তাদের ওপর ভ্যাকসিনটি ৬২ ভাগ কার্যকর হয়েছে। ডব্লিউএইচও গাইড লাইনে ৫০ ভাগ কার্যকর ভ্যাকসিন অনুমোদন দেয়ার শর্ত দিয়েছে। সরকার এখন পর্যন্ত তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কিনেছে এর বাইরে আর কোন কথা হয়নি। তিনি বলেন, আমরা আলাদা করে ১০ লাখ ভ্যাকসিন আনছি। তবে সরকার যদি প্রয়োজন মনে করে বেসরকারী খাতকে সুযোগ দেয় তাহলে আরও বেশি ভ্যাকসিন আনা সম্ভব। বেসরকারীভাবে বিতরণ করা প্রতিডোজ ভ্যাকসিনের দাম সর্বোচ্চ এক হাজার ২০০ টাকা হতে পারে। এর সঙ্গে সরকার নির্ধারিত কর যুক্ত হবে। তবে এখনও এই দর চূড়ান্ত নয় বলেও জানান তিনি। অন্য কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাকসিন আমদানির চিন্তা করা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে রাব্বুর রেজা বলেন, জনসন এন্ড জনসন এবং নোভাভ্যাক্স এর ভ্যাকসিন দুটি আরও ভাল হবে বলে মনে করা হচ্ছে। দামও আমাদের নাগালের মধ্যে থাকবে বলে জেনেছি। তাদের সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে।
সব থেকে বেশি কার্যকর হওয়া দুটি ভ্যাকসিনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। মর্ডানা বলছে তাদের ভ্যাকসিন সর্বোচ্চ ৯৪ দশমিক ৫ ভাগ কর্মক্ষম। তবে এটির দাম ৩৭ ডলার। যা অত্যধিক বলে মনে করা হচ্ছে। এর সঙ্গে ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য মাইনাস ৭০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা প্রয়োজন। অন্যদিকে ফাইজারের প্রতিডোজ ভ্যাকসিনের দামও ১৯ দশমিক ৫ ডলার। করোনা প্রতিরোধী হয়ে উঠতে হলে দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিতে হবে। এই ভ্যাকসিনটি মাইনাস ৮০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। কিন্তু শুধু বাংলাদেশ নয় যুক্তরাষ্ট্রেও এই তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করার কোন ব্যবস্থা নেই। যে কারণে মর্ডানা এবং ফাইজার তাদের ভ্যাকসিন ক্রেতাদের জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা তৈরি করে দিচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ সরকার করোনা মোকাবেলায় শুরু থেকেই অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আসছে। ভ্যাকসিন কেনার ক্ষেত্রেও সমান দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। কিভাবে সবার আগে জনগণের মাঝে ভ্যাকসিন পৌছানো যায় সরকার সেই চিন্তাই করছেন সবসময়। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংশ্লিষ্টগণ।
- ১৪৯১ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারসহ ৩ মাদককারবারী গ্রেফতার
- স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দাবি বেরোবি ছাত্রলীগের
- রাফাহতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২১ ফিলিস্তিনি নিহত
- দ্রব্যমূল্য নিয়ে চাপের মধ্যে আছি: ওবায়দুল কাদের
- প্রয়োজনে শুক্রবারও ক্লাস: শিক্ষামন্ত্রী
- জনগণের কথা চিন্তা করে আইন তৈরি করতে হবে: আইনমন্ত্রী
- তৃণমূল মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার
- হাওরের ৯৭ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ
- ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার আবাসন সুবিধা পাবে
- চাকরিতে প্রবেশে বয়সের বিষয়ে যা জানালেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
- ‘অভিবাসন নিয়ে অপতথ্য রোধে কাজ করবে বাংলাদেশ-ইতালি’
- ঢাকায় আসছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব
- অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধ করা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
- ১৪ দিনে হিটস্ট্রোকে ১৫ মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদফতর
- উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে তীব্র ঝড়
- ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেছে’
- নীলফামারীতে আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস পালন
- ধূমপান বা তামাক স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর
- সত্যি কী আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান?
- হজের জন্য মাহরাম না পেলে নারীদের করণীয় কী?
- রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো: মস্কো
- অপসাংবাদিকতা মূল সাংবাদিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সুবিধায় আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণবঙ্গ: রেলমন্ত্রী
- ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি’
- ‘মৎস্যসম্পদ রক্ষার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে হবে’
- উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি
- টেনিস খেলাকে জনপ্রিয় করতে কাজ করা হচ্ছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ
- ‘উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি’
- তীব্র গরমেও শীতল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- ডিমলায় জুয়া খেলার অপরাধে আটক-২
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক
- রাতেই যেসব অঞ্চলে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি
- জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের
- ফারিণের ‘নিকষ’ অন্ধকার!
- মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- রংপুরে সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যরিস্টার আনিকা তাসনিয়া
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- ঈদে সৈয়দপুর-ঢাকা আকাশপথে বাড়তি ফ্লাইট
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- ছাত্রনেতাদের শৈশবের ঈদ স্মৃতিচরণ
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসিতে নিরাপত্তা জোরদার
- বিভিন্ন যানবাহনে অবৈধ স্টিকার ব্যবহার
- পুত্রবধূকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, শ্বশুর-শাশুড়ি গ্রেপ্তার
- শ্রম আইন সংশোধনে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- তীব্র দাবদাহে হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ