• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অক্সফোর্ডের টিকা বয়স্কদের ক্ষেত্রে ৮০% কার্যকর

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২১  

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা নিয়ে নিরাপত্তা আশঙ্কা দূর হওয়ার পর এই প্রতিষেধক নিয়ে নতুন সুখবর মিলল। অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছে, এই প্রতিষেধক বয়স্ক মানুষের শরীরে করোনা মোকাবেলায় ৮০ শতাংশ কার্যকর। তা ছাড়া গুরুতর অসুস্থতা বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ঠেকাতে এই প্রতিষেধক শতভাগ কার্যকর। যুক্তরাষ্ট্রে মানবদেহে টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শেষে গতকাল সোমবার এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

সুইডিশ-ব্রিটিশ ওষুধ কম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা এও বলেছে, এই টিকা প্রয়োগে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার কোনো প্রমাণ মেলেনি।

সম্প্রতি রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কায় বেশ কয়েকটি দেশ অক্সফোর্ডের টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত করে। এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) ও ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সির তরফ থেকে নিশ্চিত করা হয় যে এই টিকার সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার কোনো সম্পর্ক নেই। এবার উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেও একই বার্তা এলো।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে টিকাটির চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশ নেন ৩২ হাজার ৪৪৯ জন। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের টিকা দেওয়া হয়, বাকিদের দেওয়া হয় প্ল্যাসবো। টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশের বয়স ৬৫ বা তার বেশি। তা ছাড়া ৬০ শতাংশের স্বাস্থ্যগত অবস্থা ছিল কভিড-১৯-এর জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ। তাঁরা ডায়াবেটিস, অত্যধিক স্থূলতা, হৃত্জনিত রোগে আক্রান্ত। টিকাটি সব বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে করোনা মোকাবেলায় ৭৯ শতাংশ কার্যকর। বয়স্কদের ক্ষেত্রে কার্যকারিতা ৮০ শতাংশ পাওয়া গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অব রোচেস্টারের সঙ্গে যৌথভাবে ওই পরীক্ষা চালায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব রোচেস্টারের মেডিসিনের অধ্যাপক ও টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষার উপপ্রধান অ্যান ফ্যালসি বলেছেন, আগের পরীক্ষাগুলোয় পাওয়া ফলকেই সমর্থন করছে এ পরীক্ষা। পয়ষট্টি-ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার কার্যকারিতা দারুণ ফল পাওয়া গেছে, যা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। ফলে অতি প্রয়োজনীয় টিকা হিসেবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে এই পরীক্ষা।

এই ফল যুক্তরাষ্ট্রে টিকাটি অনুমোদনের পথ সুগম করবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ অনেক দেশেই টিকাটির প্রয়োগ শুরু হলেও এখনো মার্কিন মুলুকে তার অনুমোদন মেলেনি।

‘জুলাইয়ের মধ্যে ইউরোপে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন হতে পারে’

আগামী জুলাইয়ের মধ্যে ইউরোপ হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে পারে বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কমিশনার থিয়েরি ব্রেটন। তাঁর ভাষ্য, ওই অঞ্চলে করোনার টিকার আরো চালান আসছে। এতে টিকার যে ঘাটতি আছে, তা পূরণ হয়ে যাবে।

তিনি আরো বলেন, ‘পুরো অঞ্চলে এরই মধ্যে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করার সম্ভাবনা আমাদের আছে। করোনা মহামারিকে পরাস্ত করার একটি পথই আছে আমাদের হাতে। আর তা হলো টিকা দেওয়া। আর টিকা আসছে।’

থিয়েরি ব্রেটন জানান, মার্চ থেকে জুনের মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ কোটি ডোজ টিকা আসবে ইউরোপে। সেখানে বর্তমানে ৫৫টি কারখানায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা তৈরি করা হচ্ছে।