• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

‘বৈষম্যমুক্ত সমাজ বিনির্মাণই বাহাত্তরের সংবিধানের মূল লক্ষ্য’

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২১  

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাহাত্তরের সংবিধান দীর্ঘ ২৪ বছর আন্দোলন-সংগ্রামের প্রতিফলন। শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ বিনির্মাণই বাহাত্তরের সংবিধানের মূল লক্ষ্য। জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন সম্ভব।

বৃহস্পতিবার একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ৫০তম সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এসব কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, গণপরিষদের ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই সংবিধান। শাসনতন্ত্র ব্যতীত কোনো দেশ পাল ও মাঝিবিহীন নৌকার সমান বলে তিনি উল্লেখ করেছিলেন। শাসনতন্ত্রে মানুষের অধিকার ও কর্তব্য সংবলিত থাকবে, যার প্রতিফলন আমরা তার ৪ নভেম্বর গণপরিষদে প্রদত্ত ভাষণে দেখতে পাই।

ড. শিরীন শারমিন বলেন, ৭৫এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর সমগ্র প্রেক্ষাপটকে পাল্টে দেওয়া হয়। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি তাদের নীলনকশা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে এবং সংবিধানকে নানাভাবে ক্ষতবিক্ষত করা হয়। ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত দেশ ও মানুষের আর্থসামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু যে সংগ্রাম করেছেন, তার ভিত্তিতে রচিত বাহাত্তরের সংবিধানের লক্ষ্য অর্জনে সকলের অব্যাহত প্রচেষ্টা জরুরি।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে রাশেদ খান মেনন এমপি, হাসানুল হক ইনু এমপি ও আরমা দত্ত এমপি বক্তব্য দেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, রামেন্দু মজুমদার প্রমুখ ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।