• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

দেশি ছোট মাছ রক্ষায় ১০ জেলার ৪৯ উপজেলায় হচ্ছে ১৬০ অভয়াশ্রম 

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২২  

এলাকা ভিত্তিক দেশীয় প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় ছোট মাছ চাষ, সংরক্ষণের অংশ হিসেবে দেশের ১০ জেলার ৪৯ উপজেলায় ১৬০ অভয়াশ্রম স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য অধিদফতরের মাহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক।

তিনি জানান, সব বাঙালিরই প্রিয় ও পছন্দের খাবারের তালিকায় রয়েছে দেশীয় ছোট মাছ। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে হারিয়ে যাচ্ছে ছোট মাছ। বাংলাদেশের বিভিন্ন নদী-নালা, খাল-বিলে, হাওরে এখন আর মিলছে না তেমন ছোট মাছ। পানি দূষণ ও পানি স্বল্পতার অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে। এই ছোট জাতের মাছ ফিরিয়ে আনার জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়। এরই ধারাবাহিকতায় মৎস্য অধিদফতর কাজ শুরু করেছে দেশের নদ-নদী ও হাওর বেষ্টিত ১০ জেলায় ছোট মাছ সংরক্ষণ ও চাষাবাদের।

মহাপরিচালক আরো বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে দেশোর ৪৯ উপজেলায় শুধু ১৬০ নতুন অভয়াশ্রম স্থাপনের পাশাপাশি ২৪০ অভয়াশ্রম পুনঃসংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। অভয়াশ্রমগুলো পাহারা দেয়ার জন্য সম সংখ্যক পাহারা শেড কাম ব্যবস্থাপনা ইউনিট নির্মাণ করা হবে। যা সমাজভিত্তিক গোষ্ঠী কর্তৃক পাহারা ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে দেশীয় প্রজাতির ছোট-বড় অনেক মাছ হারিয়ে গেছে। গজার, টেপা মাছ, দেশি মাগুর, বোয়াল, চিতল, ফলি, ফাঁসা, নুনা মাছ, চেবলী, আইকার, তপসি, চাঁদা, ঢেলা, তারা বাইন, বাতাসি, বাইলা, শিং, ভেকটি, কৈ, মাগুর, শিং, পাবদা, টেংরা, পুঁটি, ডারকা, মলা, শাল চোপরা, শৌল, বোয়াল, আইড়, ভ্যাদা, বুড়াল, বাইম, খলিসা, চিংড়ি, মালান্দা, খরকাটি, গজার, শবেদা, চেং, টাকি, চিতল, গতা, পোয়া, বালিয়া, উপর চকুয়া, কাকিলা, গুত্তুম, বৌরানীসহ প্রায় ৫২ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে। অনেক আবার হারিয়ে গেছে।

মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, ছোট মাছের পুষ্টি ও স্বাদের দিক দিয়ে আমাদের সবার কাছেই প্রিয়। একারণে বেশ কয়েক বছরের গবেষণার মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া ও বিপন্ন প্রায় প্রজাতির মধ্য থেকে ৩১ প্রজাতির ছোট মাছ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। যা মৎস্য অধিদফতরের মাধ্যমে দেশব্যাপী চাষপদ্ধতি সম্পসারণ করা হচ্ছে।

প্রকল্প পরিচালক এসএম আশিকুর রহমান জানান, ফাগুন-চৈত্র মাসে খাল-বিল, নদী-নালা শুকিয়ে যাওয়ায় দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছ প্রজনন করতে পারে না। এ কারণে বর্ষা মৌসুম শুরুর আগ থেকেই আমরা কাজ শুরু করেছি। প্রকল্প ভুক্ত এলাকার যে সব জায়গায় এসব মাছ বেশি পাওয়া যাবে। সে সব এলাকা চিহ্নিত করে অভয়াশ্রম স্থাপন করা হবে। যেখানে সারা বছর কম বেশি পানি থাকবে।

তিনি বলেন, এ প্রকল্পে আওতায় খাঁচায় মাছ চাষ, ধানক্ষেতে মাছ চাষ, বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মৎস্যচাষ প্রশিক্ষণ, নিরাপদ মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল গড়ে তোলা হবে।