• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমেই বাংলাদেশকে থ্যালাসেমিয়া মুক্ত করা সম্ভব

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২২  

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমেই বাংলাদেশকে থ্যালাসেমিয়া মুক্ত করা সম্ভব। তিনি এজন্য সব ধরনের মিডিয়াকে জোরালো ভূমিকা রাখার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

বাঙালি কোনো যুদ্ধে পরাজিত হয়নি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশ থেকে থ্যালাসেমিয়া নির্মূলের যুদ্ধেও আমরা হারবো না। থ্যালাসেমিয়ার কারণ ও এর প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে জনসচেতনা সৃষ্টিতে গণমাধ্যামের ব্যাপক ভূমিকা রাখা দরকার।

বৃহস্পতিবার কাকরাইলে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স  ইনস্টিটউশন মিলনায়তনে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি ও হেমাটোকেয়ারের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে-জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নে বাহক নির্ণয়ের গুরুত্ব’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধের অন্যতম উপায় হচ্ছে, এই রোগের একজন বাহক আর একজন বাহককে বিয়ে করা থেকে বিরত থাকা। এ লক্ষ্যে বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রী দু‘জনই যদি বাহক হয়, তবে  চিকিৎসকদের মতে তার সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগী হিসেবে জন্ম নিতে বাধ্য।

বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. এম এ মতিনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে থ্যালাসেমিয়া সমিতির উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ দীদার বখত, তথ্য  ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয়  স্থায়ী কমিটির সদস্য  মোহাম্মদ এবাদুল করিম, এমিরেটস অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর এন আই খান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. এনামুল হক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ টিটু মিয়া বক্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- প্রফেসর ডা. এম এ খান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের সহকারি অধ্যাপক ডা. মাফরুহা আক্তার। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে থ্যালাসেমিয়া রোগ সম্পর্কে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগী নওশীন তাজনীন।