• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

আমরা অপমানের প্রতিশোধ নিয়েছি: সেতুমন্ত্রী

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০২২  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মাসেতু আমাদের সক্ষমতার প্রতীক, তার চেয়ে বড় সত্য আমরা আমাদের অপমানের প্রতিশোধ নিয়েছি।

সেই সঙ্গে তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর বীর কন্যা শেখ হাসিনা, আপনাকে অভিবাদন। আপনাকে স্যালুট করি। গোটা জাতি আজ আপনাকে স্যালুট করে। সারাবিশ্বে আজ আপনি প্রশংসিত।
 
শনিবার সকালে পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) প্রমাণ করেছেন, ইয়েস, উই ক্যান। আমরাও পারি। নিজের টাকায় করব। প্রমাণ করেছেন নিজের টাকায় পদ্মাসেতু নির্মাণ করেছেন। মাথা নত করেননি বঙ্গবন্ধুকন্যা। কী দুঃসময়, কী চ্যালেঞ্জ, চক্রান্ত, দেশে-বিদেশে। সবকিছুকে অতিক্রম করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন আমরা বীরের জাতি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা, আমি মনে করি (পদ্মাসেতু) সক্ষমতার প্রতীক। আমাদের সক্ষমতার প্রতীক, সেটা সত্য। তার চেয়েও বড় সত্য আমরা আমাদের অপমানের প্রতিশোধ নিয়েছি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আজ বারবার মনে পড়ে, এই পদ্মা পাড়ে ভাঙন, মাওয়ায় ভাঙন, লৌহজংয়ে ভাঙন, জাজিরায় ভাঙন, শিবচরে ভাঙন, ভাঙনের খেলা পদ্মা পাড়ে কাজ করাটাই ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। প্রধানমন্ত্রী না থাকলে আমরা এ সংকট, এত প্রতিবন্ধকতা প্রতিহত করতে পারতাম না।

তিনি আরো বলেন, আমি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি (তাদেরকে) যারা এ পদ্মাসেতুর জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মুখের দিকে চেয়ে পদ্মার দুই পাড়ের তাদের পৈতৃক ও ফসলি জমি ত্যাগ-উৎসর্গ করে দিয়েছেন। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনার নাম আপনি পদ্মাসেতুর সঙ্গে যুক্ত করলেন না, কিন্তু, এটাও বলি, আমরা জানি, কাগজে লিখা নাম ছিঁড়ে যাবে, ব্যানারে লিখা নাম মুছে যাবে, পাথরে লিখা নাম ক্ষয়ে যাবে, হৃদয়ে লিখা নাম রয়ে যাবে। আপনি হৃদয়ে নাম লিখেছেন। বঙ্গবন্ধু যেমন করে লিখিয়েছেন। যতদিন পদ্মাসেতু থাকবে, ততদিন আপনার নামটি সগৌরবে, অহংকারের সঙ্গে উচ্চারিত হবে।