• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পাহাড়ে সম্প্রীতি ফেরাতে সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২২  

পাহাড়ে সম্প্রীতি ফেরাতে সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে                      
শান্তিচুক্তির ২৫ বছর পরেও পাহাড়কে অশান্ত করতে তৎপর একটি গোষ্ঠী। সেখানে বেড়েছে জঙ্গি তৎপরতা, দেয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। তথাকখিত সুশীল সমাজ শান্তি চুক্তি নিয়ে গুজব এবং প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। বিদেশিদের কাছে সেই দেশ বিরোধী অংশ বোঝানোর চেষ্ঠা করে যে শান্তি চুক্তি করে কোন  লাভ  হয়নি। 

‘পাহাড়ে সম্প্রীতি’ শীর্ষক সম্প্রিীতি বাংলাদেশের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সরকার  এবং সেনাবাহিনীর পাশাপাশি দেশপ্রেমী সবাইকেও এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়।

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি সভাপত্বি করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব ও সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর যুগ্ম আহবায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ।

বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নির্বাহী সদস্য শেখ এনায়েত হোসেন বাবলু, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাস সিংহ রায়সহ অনেকে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, পাহাড়ের শান্তি নষ্টের জন্য দায়ী সামরিক শাসকরাই। শান্তিচুক্তি হওয়ার পরেও সেখানের সম্প্রীতি নিয়ে আলোচনা কেন হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন বক্তাদের। তিনি বলেন, পাহাড়ে পাহাড়ি বাঙালি সমস্যা আগের মতো নাই। স্থানীয় জাতি গোষ্ঠির নিজেদের মাঝে এখন সমস্যা বেশি। অতীতে সব সামরিক সরকার উলফাসহ সীমান্তে সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দিয়েছে।

কে এম খালিদ বলেন, এখন দেশের ভেতরের কিছু জঙ্গি পাহাড়ে আস্থানা গাড়ছে। এর পেছনে কারা আছে তা জাতি বোঝে। প্রসঙ্গত প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে খালেদা জিয়া গ্রেণেড মেরে শেখ হাসিনাকে মেরে ফেলতে চেয়েছেন ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সেই থালেদা জিয়াকেই্ এখন শেখ হাসিনার অনুকম্পায় জেলের বাইরে বাসায় আরামে থাকতে হচ্ছে। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সমস্ত খুনিদের একসাথে করে পাহাড়ে আশ্রয় দেওয়ায় এখনও পাহাড়ে অশান্তি দেখা যায়।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা উদ্যানে সত্যিকারের জিয়াউর রহমানের লাশ আছে কিনা সেই প্রশ্নও তুলেন। তিনি জানতে চান সেখানে জিয়াউর রহমানের লাশের কথা বলে বস্তা ভর্তি ইট রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়া জিয়ার কবর বলে কার কবর জিয়ারত করেন বলে প্রশ্ন তুলেন কে এম খালিদ। পৃথিবীর যেকোন জায়গা খেকে গবেষক এনে চন্ত্রিমা উদ্যানে গবেষনা করে সেখানে কার কবর আছে চিহ্নিত করার কথা বলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী। অনুষ্টানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এবং শান্তিচুক্তি প্রক্রিয়ার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, পাহাড়ে জমি সংক্রান্ত সবচেয়ে বড় বিরোধ ছিলো । তা অনেকটাই কেঁটে গেছে। পাহাড়বাসি মেনে নিয়েছেন। বরং বাঙ্গালিদের কিছু আপত্তি থাকলেও তা নিয়ে বাজে কোন প্রতিক্রিয়া কেউ দেখান নি।

তিনি বলেন, আজ কেবল পাহাড়ে সম্প্রীতির কথা না বলে আমাদের সবার দেশের সম্প্রীতির কথা বলা উচিত।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পাহাড়ের শান্তি চুক্তির কেটে গেছে ২৫ বছর। চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে ৪৮টি আর ১৫টি আংশিক, ৮টি বাস্তবায়নের কাজ চলছে। হয়েছে রাস্তাসহ অবকাঠামো উন্নয়ন।

চুক্তির নানা দিক তুলে ধরে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই চুক্তির ফলে পাহাড়ের রাজনৈতিক প্রকাশ্যে এসেছে। পাহাড়ের শান্তি ফেরাতে শুধু সরকার কিংবা সেনাবাহিনীর ওপর নির্ভর থাকলে হবে না সকলে এক সাথে কাজ করার কথাও জানান তিনি।