• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চীনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে চায় বাংলাদেশ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২৪  

চীনের সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার জন্য সরকারের কৌশলগত পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, যার লক্ষ্য ২০২৬ সালের মধ্যে আলোচনা চূড়ান্ত করা। সিদ্ধান্তটি এ বছরে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরের প্রত্যাশায় এসেছে, যা শুল্ক সুবিধা হ্রাস করবে।

২০২৬ সালের আগে চীনের সঙ্গে এফটিএ আলোচনা শেষ করার তাগিদ তুলে ধরে সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ  স্নাতকোত্তর চ্যালেঞ্জগুলোর ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

আলোচনার সময়সীমা অতিক্রম করা হলে, বাংলাদেশ চীনের কাছ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন শুল্কমুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার চাওয়ার পরিকল্পনা করছে।

এই চুক্তির ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছিল ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময়, একটি যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের মাধ্যমে। ২০১৮ সালে বেইজিংয়ে একটি সহ যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের পরবর্তী বৈঠকগুলো সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদনগুলোকে অগ্রসর করেছে।

এসব প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে ঢাকায় আসন্ন বৈঠকের পরিকল্পনার কথা জানান বাণিজ্য সচিব।

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন স্নাতকোত্তর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য চীনের প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করেছেন। মরিশাস এবং কম্বোডিয়ার মতো অন্যান্য দেশের সঙ্গে সফল চুক্তির উল্লেখ করে ওয়েন চীনে বাংলাদেশের রফতানি বাড়ানোর জন্য এফটিএ-এর সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।

তিনি বিনিয়োগের সুযোগ সম্প্রসারণে এফটিএ-এর ভূমিকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য চীনের আগ্রহের কথা জানান

চীনা রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতার কথা বলেন। তিনি বিশ্ববাজারে পোশাক রফতানির জন্য চীন থেকে টেক্সটাইল ও যন্ত্রপাতি আমদানির ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতার ওপর জোর দেন।

রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের মূল খাতে বিনিয়োগে চীনা ব্যবসায়ীদের আগ্রহ প্রকাশ করেন।