• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

টাকা দিয়ে ভোটকে প্রভাবিত করার চেষ্টায় গ্রেফতারকৃত তিনজনের রিমান্ড

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮  

কোটি কোটি টাকা ছড়িয়ে একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সেই তিনজনকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদ উর রহমান মানিলন্ডারিং এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় শুনানি শেষে তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- মতিঝিলের ইউনাইটেড করপোরেশনের এমডি এ এম আলী হায়দার ওরফে নাফিজ, অফিস ব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেন এবং গুলশানের আমেনা এন্টারপ্রাইজের জিএম জয়নাল আবেদীন। আসামিদের মধ্যে জয়নাল আবেদীন একসময় হাওয়া ভবনের কর্মচারী ছিলেন।

1.সেই তিন জন রিমান্ডে

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল থানার এসআই মো. ফারুক হোসেন এ আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে বিভিন্ন গোষ্ঠি দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে নানাবিধ সহিংস কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সহিংসতা বন্ধের জন্য র‌্যাব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন স্তরে নজরদারি করা অবস্থায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৪ ডিসেম্বর মতিঝিল থানাধীন সিটি সেন্টারের ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড ইউনাইটেড করপোরেশনে র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমের উপস্থিতিতে অভিযান পরিচালনাকালে প্রতিষ্ঠানটির এমডি আলী হায়দারকে আটক করার পর প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ কোটি ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জব্দ হয়। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী পল্টন থানাধীন হাউজ বিল্ডিং রোডের বায়তুল খায়ের টাওয়ারের সিটি মানিটারি এক্সচেঞ্জ থেকে আরো ৫ কোটি টাকা জব্দ হয়। 

আলী হায়দার জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তার মামা ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু শরিয়তপুর-৩ আসনের এমপি পদপ্রার্থী মিয়া নূর উদ্দিন আহমেদ অপু। তার নির্বাচনী কাজে অবৈধ প্রভাব খাটানো এবং নির্বাচনী এলাকায় সহিংসতার জন্য ২/৩ দিন আগে গুলশানস্থ তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আমেনা এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে নির্বাহী পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন এবং অফিস সহকারী আলমগীর হোসেন ৩ কোটি টাকা নিয়ে যায়। পরদিন আমেনা এন্টারপ্রাইজের অফিসে গিয়ে জয়নাল আবেদীন এবং আলমগীর হোসেনকে ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৫০ টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়। আসামিরা জব্দকৃত টাকা আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অবৈধ প্রভাব ও নাশকতা সৃষ্টি কর কাজে ব্যবহার করত মর্মে প্রতীয়মান হচ্ছে।

আসামিরা ওইসব অর্থ বিভিন্ন ব্যাংকসহ হুন্ডি ও অজ্ঞাত উৎস হতে উত্তোলন ও সংগ্রহ করে এবং অর্থ হস্তান্তরের মাধ্যমে নিজেদের দখলে রাখে। তাই পলাতক আসামিদের গ্রেফতার এবং অর্থের যোগানদাতাদের শনাক্ত করার জন্য আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

রাষ্ট্রপক্ষে আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ডের পক্ষে এবং আইনজীবী মহসিন মিয়া রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করে শুনানি করেন।

শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে মঙ্গলবার র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ দাবি করেন, গ্রেফতারদের অফিসের নথিপত্র প্রাথমিকভাবে বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এরইমধ্যে তারা ১৪০ কোটি কালো টাকা সারা দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। এর কথিত মালিক মাহমুদের অ্যাকাউন্টে এক মাসে ৭৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।