• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আশ্রয়ণে ঠাঁই পাচ্ছে ২০৬ পরিবার

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৮  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মাধ্যমে পাবনার বেড়া উপজেলার ৯ ইউপিতে নির্মিত হচ্ছে ২০৬টি বসত ঘর। প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যয়ে রয়েছে। চলতি নভেম্বর মাসের মধ্যেই ২০৬টি অসহায় পরিবারকে ঘরগুলো হস্তান্তর করা সম্ভব হবে।

বেড়া উপজেলার হাটুরিয়া-নাকালিয়া, চাকলা, কৈটোলা, নতুন ভারেঙ্গা, পুরান ভারেঙ্গা, জাতশাখিনী, মাসুমদিয়া, রূপপুর ও ঢালারচর ইউপিতে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলছে।

প্রকল্পের মাধ্যমে উপকারভোগীদের জন্য তৈরি করে দেয়া হচ্ছে ২৯৭ বর্গফুটের বারান্দাসহ করগেটেড টিনের একটি ঘর আর পাশেই টয়লেট। প্রতিটি ঘর ও টয়লেটের উপকরণসহ নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে এক লাখ টাকা।

যে ব্যক্তির এক থেকে ১০ শতাংশ জমি আছে, কিন্তু ঘর নেই অথবা থাকলেও জরাজীর্ণ বসবাসের অনুপযোগী এমন দুঃস্থ ব্যক্তি, অসহায় মুক্তিযোদ্ধা, বিধবা বা স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধী, উপার্জন অক্ষম ব্যক্তি, ভিক্ষুক, অতিবার্ধক্য ব্যক্তি প্রকল্প সুবিধা পাচ্ছেন।

কৈটোলা ইউপির বিজয়গঞ্জ গ্রামের দিনমজুর সাইদুল ইসলাম আশ্রয়ন প্রকল্প থেকে ঘর পাবেন বলে উচ্ছুসিত। তিনি বলেন, ঝড়-বৃষ্টিতে আর মানুষের বাড়িতে আশ্রয় খুঁজতে হবে না।

হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউপির হাটুরিয়া গ্রামের আক্কাস মোল্লার স্ত্রী হায়াতন খাতুন বলেন, ঘর করার সামর্থ আমর ছিল না, ভবিষ্যতে কখনো হতো কিনা জানিনা। আমি কৃতজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে, তার এই নিজস্ব উদ্যোগের জন্য।

কৈটোলা ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান বলেন, আমার ইউপিতে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রতিটি ঘর পরিপত্র মোতাবেক নির্মাণ করা হচ্ছে।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় ২০৬টি ঘর নির্মাণের জন্য দুই কোটি ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। সিডিউল অনুযায়ী কাজ চলছে।

বেড়া ইউএনও আসিফ আনাম সিদ্দিকী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারি বিধি মেনে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রকল্পের নির্দেশিত ডিজাইন ও প্রাক্কলিত ব্যয়ে ঘরগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। সর্বোচ্চমান নিশ্চিত করে প্রকল্প বাস্তাবায়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সকল সদস্য নিরলসভাবে পরিশ্রম করছেন।