• শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১৮ ১৪৩১

  • || ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বেরোবিতে মুগ্ধতা ছড়াল অস্ট্রেলিয়ার জ্যাকারান্ডা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২২ মে ২০২৩  

 
রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রথম ফুটেছে জ্যাকারান্ডা ফুল। এই ফুলের সৌন্দর্য দেখে মোহিত শিক্ষার্থী ও শিক্ষক। সোমবার সকালে বেরোবি ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা গেছে জ্যাকারান্ডা মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে।

জ্যাকারান্ডা সম্পর্কে জানা গেছে, আদি নিবাস মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা, কিউবাতে। এটাকে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পাওয়া গেলেও এটি দুষ্প্রাপ্য প্রজাতির ফুল বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। তবে এই ফুল অস্ট্রেলিয়াতে প্রচুর পাওয়া যায় বলে জ্যাকারান্ডকে অস্ট্রেলিয়ান ফুল বলে থাকেন।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ এই ফুলসহ অসংখ্য দুষ্প্রাপ্য ফুলের গাছ ক্যাম্পাসে লাগিয়েছেন। সেসব ফুল এখন ক্যম্পাসে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, এই ফুলের রঙ বেগুনি বা নীল রঙের হয়ে থাকে। বসন্তে কোনো পাতা থাকে না। ফলে গোটা বৃক্ষটিকে মনে হয় বেগুনি বা নীল বৃক্ষের মতো। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াবাসী চিন্তাই করতে পারে না জ্যাকারান্ডা বৃক্ষ ছাড়া জীবন। তাই অস্ট্রেলিয়াকে জ্যাকারান্ডার রাজধানী বলা হয়। অস্ট্রেলিয়ার অনেক রাস্তার নাম জ্যাকারান্ডার নামে নামকরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বেরোবি ক্যাম্পাসে ফুটেছে জাকারান্ডা। প্রায় প্রতিদিন গাছের পাশে গিয়ে দেখতাম ফুটেছে কিনা। বৃক্ষপ্রেমিক মাত্রই জানেন এ আনন্দ কত গভীরের!

বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবিদ করিম মুন্না এই ফুল প্রসঙ্গে বলেন, জ্যাকারান্ডা মাঝারি আকারের গাছ। আট থেকে দশ মিটারের মতো উঁচু হয়। ফুল নীল-বেগুনি। অতিরিক্ত পানি সহ্য করতে পারে না। শীতে পাতা ঝরে যায়। কলি অবস্থায় গাঢ় রং। ফুল ফোটার পর একটু ফিকে রং ধারণ করে। গ্রীষ্ম-বর্ষায় সবুজ পাতায় ভরে ওঠে গাছ। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফোটে ফুল। গাছে ফুল থাকে অনেক দিন। ফুল গন্ধহীন। গোলাকার ফল পাঁচ সেন্টিমিটার চওড়া হয়। পাকা ফল বাদামি বাদামি রঙের হয়। জ্যাকারান্ডার বংশবৃদ্ধি বীজ ও কলম দুভাবেই করা যায়।