আ`লীগ একাত্তরে এক পরিণত রাজনৈতিক শক্তি ও চেতনার নাম
– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০২১
বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ও বৃহত্তম রাজনৈতি ক দল আওয়ামী লীগ। বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রাম ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে এই দল। আওয়ামী লীগের হাত ধরেই রচিত হয়েছে পাকিস্তানি শোষকদের বিরুদ্ধের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন দল প্রতিষ্ঠার পর থেকে, টানা ৭২ বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনীতির অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের ইতিহাস সংগ্রাম, সৃষ্টি, অর্জন ও উন্নয়নের ইতিহাস। ২০২১ সালের ২৩ জুন, দলটির ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষির্কী ও ৭৩তম জন্মদিন। এই দীর্ঘ সময়ে নানা উত্থান-পতন, সংঘাত ও সম্মিলনের মধ্য দিয়ে দলটি বর্তমান পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই দল প্রতিষ্ঠার সময় তরুণ শেখ মুজিবুর রহমান যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পান। প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা হিসেবে, শুরু থেকেই দেশজুড়ে নেতাকর্মীদের আস্থার প্রতীকে পরিণত হন তিনি, রাজনৈতিক দূরদর্শিতার বলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একচ্ছত্র কাণ্ডারী হয়ে ওঠেন দ্রুততম সময়ে। পরবর্তীতে দলের সাধারণ সম্পাদক অসুস্থ হয়ে গেলে বঙ্গবন্ধুই ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন শুরু করেন। সেই ভার থেকে আর কখনোই মুক্ত হতে পারেননি। আমৃত্যু দেশসেবার কাজে ব্রত ছিলেন তিনি। স্বাধীন বাংলাদেশে যেমন বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের হাতে তৈরি, তেমনি আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশও বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অদম্য নেতৃত্বের কারণেই আমরা পেয়েছি।
বঙ্গবন্ধু যে দলের ভিত্তি দিয়েছেন, সেই দলকে এখনো বহন করে চলেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। একাধিকবার ঘাতকের বুলেট-বোমার সামনে নিজের জীবনকে বিপন্ন করতে হয়েছে, তবুও দলের রক্ষাকবচ হয়ে থেকেছেন তিনি। একারণেই বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি আবেগের নাম। এই দলের সব সদস্য মিলে একটি পরিবার। এ পরিবারই বাংলাদেশের বৃহত্তর পরিবার। দলটির প্রতিষ্ঠাতা নেতা-কর্মীদের মধ্যে আজ অনেকেই জীবিত নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগ আছে এবং শুধু তাই নয়, এখনো দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ৫০ বছরের বাংলাদেশের সাড়ে ২৩ বছর দেশশাসন করার সুযোগ পেয়েছে দলটি। এই সাড়ে ২৩ বছর আওয়ামী আমলের মধ্যে, ২০ বছরের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের জন্মকথা:
১৯৪৭ সালে দেশভাগ হয়। এরপরেই বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আঘাত হনে পাকিস্তানিরা। কিন্তু তাদের অপচেষ্টা রুখে দিতে শুরু থেকেই মাঠে নামেন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। দেশভাগের আগে, প্রভাবশালী ছাত্রনেতা হিসেবে পুরো ভারতবর্ষ চষে বেড়িয়েছেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ঢাকায় ছাত্রলীগ নামের একটি ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এরপরের বছরেই গঠিত হয় আওয়ামী লীগ। ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়ে সেসময় তাকে জেলে বন্দি করে রেখেছিল পাকিস্তানি জান্তারা। আওয়ামী লীগ গঠনের ব্যাপারে দলের সিনিয়র নেতারা তার মতামত নেওয়ার জন্য জেলেও বার্তাবাহক পাঠান। তিনি নিজে সরাসরি ছাত্র সংগঠন না করে, মূল দরে থাকার ব্যাপারে মত দেন। এরপর ১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন বিকালে ঢাকার কেএম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে গঠিত হয় নতুন একটি রাজনৈতিক দল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি এবং শামসুল হককে করা হয় সাধারণ সম্পাদক। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন শেখ মুজিবুর রহমান। পরবর্তীতে এই দলের নাম পরিবর্তন হয়ে হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
১৯৫৩ সালের ৯ জুলাই পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে শেখ মুজিবুর রহমান দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তৎকালীন পূর্ব বাংলার সমস্ত জেলায় দলের কমিটি গঠন করায় তৎপর হন এবং ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে মুসলিম লীগকে পরাজিত করে আওয়ামী লীগকে জনগণের কাছে জনপ্রিয় করে তোলেন।
কিন্তু ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পরও বঙ্গবন্ধুকে কারাগারে যেতে হয়। সে সময়ে, ৩০ মে ১৯৫৪ থেকে ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫৪ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু ২০৬ দিন কারাভোগ করেন। ১৯৫৫ সালের ২১ অক্টোবর, আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শেখ মুজিব দলের নাম থেকে ‘মুসলিম' শব্দটি প্রত্যাহারের প্রস্তাব পেশ করলে, আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। কাউন্সিল অধিবেশনে তিনি পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৫৭ সালের ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় কাগমারিতে এবং একইসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় এক বিশাল সাংস্কৃতিক সম্মেলন। একই বছর ৩০ মে দলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, একই ব্যক্তি একসঙ্গে সরকার ও সংগঠনের দুটো পদে থাকতে পারবেন না। শেখ মুজিব দলকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।
১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান সামরিক আইন জারির পর, বঙ্গবন্ধু ১১ অক্টোবর গ্রেফতার হন। এ সময়ে টানা ১ হাজার ১৫৩ দিন তাকে কারাগারে কাটাতে হয়, ৮ ডিসেম্বর ১৯৬১ পর্যন্ত। সামরিক জান্তাদের কারণে দেশে মূলত রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়ে পড়ে। ১৯৬৪ সালের ২৫ জানুয়ারি নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করেন বঙ্গবন্ধু। ওই সভায় দেশের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ভোটের মাধ্যমে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবি এবং সাধারণ মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায় সম্বলিত প্রস্তাব গৃহীত হয়। সভায় মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ ও শেখ মুজিবুর রহমান যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ছয় দফা উপস্থাপনের বছর, ১৯৬৬ সালের ১৮ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে, বঙ্গবন্ধুর গতিশীল নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ। হাজার বছরের দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি লাভ করে বাঙালি জাতি।
মুজিব ভাই থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে স্বাধীনতা
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস একসূত্রে গাঁথা। ১৯৪৮ সালে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সূচিত ভাষা আন্দোলন ১৯৫২ সালে গণজাগরণে পরিণত হয়। অব্যাহত রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার তরুণ সংগ্রামী শেখ মুজিবুর রহমান সেই সময়ে কারান্তরালে থেকেও ভাষা আন্দোলনে প্রেরণাদাতার গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন। ভাষা আন্দোলনের বিজয়ের পটভূমিতে ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের কাছে মুসলিম লীগের শোচনীয় পরাজয় হয়। তারপরও প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব থেকে দূরে রাখা হয়। নানা ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে ১৯৫৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রদেশে প্রদেশে কোয়ালিশন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়।
পূর্ব বাংলায় আওয়ামী লীগ সরকার নিশ্চিত করে এক মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ। আওয়ামী লীগের উদ্যোগেই মাতৃভাষা বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষার আনুষ্ঠানিক মর্যাদা লাভ করে। ২১শে ফেব্রুয়ারি ঘোষিত হয় জাতীয় ছুটির দিন- ‘শহীদ দিবস’। আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নির্মাণকাজ প্রায় সম্পন্ন হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলা একাডেমি। মাত্র ২০ মাসের রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে চরম খাদ্যাভাব ও দুর্ভিক্ষ থেকে বাঙালি জাতিকে রক্ষা করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকার যে সফলতা অর্জন করে তাতে জনগণের কাছে দলটির জনপ্রিয়তা বহু গুণ বেড়ে যায়। সে সময় মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করে জনগণের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠন গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করেন।
এরপর আইয়ুব খানের এক দশকের স্বৈরশাসন-বিরোধী আন্দোলন, ’৬২ ও ’৬৪-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৪-এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধ, ’৬৬-এর ঐতিহাসিক ৬-দফা আন্দোলন, ’৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৬-দফাভিত্তিক ’৭০-এর নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয়, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” খ্যাত কালজয়ী ভাষণ ও পরবর্তীতে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন, ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার পর, ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অবশেষে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাসের এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
মহান মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। পাকিস্তানের জেল থেকে মুক্তি পেয়ে এর মাঝে যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি নবীন দেশকে পুনর্গঠনের কাজে হাত দেন বঙ্গবন্ধু। মাত্র সাড়ে তিন বছরেই তার নেতৃত্বাধীন সরকার সময়োপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে শুরু করে।
প্রথমভাগে পুনবার্সন ও পুনর্গঠন এবং দ্বিতীয়ভাগে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের দিকে নজর দেন বঙ্গবন্ধু। এরই মধ্যে বাংলায় সোনার ফসল ফলতে শুরু করে, কারখানার চাকা ঘুরতে শুরু করেছে। ঠিক তখনই স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে, যা আমাদের জন্য দুভার্গ্য।
ওই সময় তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। এরপর শুরু হয় দেশে আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন। এর মাঝে দলে দেখা দেয় কোন্দল; নেতৃত্ব শূন্যের কারণে তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত কর্মীদের মাঝে হতাশা ছড়িয়ে পড়ে। আর দলটির বিরুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রচার-প্রচারণারও কোনো শেষ ছিল না।
জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সোনার বাংলা বাস্তবায়ন:
স্বৈরাচারদের দৌরাত্ম ও স্বাধীনতাবিরোধীদের আগ্রাসনের কারণে, ১৯৮০ সাল পর্যন্ত প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ বা বঙ্গবন্ধুর নাম নেওয়া অলিখিতভাবে নিষিদ্ধই ছিল এই দেশে। ফলে এসব বাঁধা প্রতিহত করে রাজনীতির মাঠে ঘুরে দাঁড়ানো মোটেও সহজ ছিলো না আওয়ামী লীগের জন্য।
এমন প্রেক্ষাপটে, ১৯৮১ সালের ১৭ মে, দেশে ফিরলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। দলের হাল ধরলেন তিনি। ঘাতকেরা মনে করেছিল, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। কিন্তু তা ভুল প্রমাণিত করে দলকে নতুন জীবন দান করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। আসলে জনগণের সংগঠনের মৃত্যু নেই। দলীয় সভাপতি হিসেবে দেশে ফিরে কয়েকভাগে বিভক্ত আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তার ধীশক্তি, দৃঢ়তা, লক্ষ্য স্থিরে বিচক্ষণতা, সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা আওয়ামী লীগকে বর্তমান অবস্থায় নিয়ে এসেছে।
আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক ভূমিকা এ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একটি মাইলফলক। নানা সংকটের পর, ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনেও বিপুল ভোটে জয়ী হয় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দলটি। এটি সম্ভব হয় জাতির প্রতি আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার আর দায়বদ্ধতার কারণে।
যে আওয়ামী লীগের হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা এসেছে, সেই দলটির নেতৃত্বেই অর্থনৈতিক মুক্তি তথা সমৃদ্ধ দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে প্রিয় জন্মভূমি। জননেত্রী শেখ হাসিনা পিতার দেখানো পথ অনুসরণ করে বাংলাদেশকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন। তার উদ্যোগের ফলেই অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোলমডেল।
এখন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টানা তিন মেয়াদ ধরে ক্ষমতায়। এরই মধ্যে ‘উন্নয়নের মহাসড়কে’ অবস্থান করছে বাংলাদেশ। দেশজুড়ে অবকাঠামোগত নানা উন্নয়ন হয়েছে। সারাদেশে রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ অবকাঠামো নির্মাণের কর্মযজ্ঞ চলছে। এর মধ্যে মেট্রোরেল, বিআরটি উল্লেখযোগ্য। দৃশ্যমান হয়েচে স্বপ্নের পদ্মাসেতু। এই সেতুর ফলে শুধু দক্ষিণবঙ্গই নয়, বদলে যাবে পুরো দেশের অর্থনৈতিক চিত্র। এই সেতু দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার যোগাযোগ, বাণিজ্য, পর্যটনসহ নানা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। ঢাকার আশপাশে নদ-নদী রক্ষা করে পরিবেশের সৌন্দর্য্য রক্ষায়ও চলছে নানাবিদ কর্মকাণ্ড।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণকাজ সহজ ছিল না। কিন্তু তা করে বিশ্বকে বঙ্গবন্ধুকন্যা দেখিয়ে দিচ্ছেন যে, বাংলাদেশ পারে। ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন করছি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীতে শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ রূপান্তরিত হয়েছে মধ্যম আয়ের দেশে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ফ্রেমওয়ার্ক দিয়েছেন। দিয়েছেন শতবর্ষব্যাপী ডেল্টা প্লান। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাত ধরে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন উন্নত দেশের অভিমুখে ধাবমান।
- চাঁদা তুলে খেলতে আসা দলই গড়ল ইতিহাস
- মিল্টন সমাদ্দারের অপকর্ম তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি
- জুমার নামাজের ফরজ ও হারাম
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু, পরীক্ষার্থী ৩৩৮০০০
- তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে ১৫৫ জনের মৃত্যু
- ‘পুষ্পা: দ্য রুল’ সিনেমা মুক্তির আগেই ১০০০ কোটির ব্যবসা!
- ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও
- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- নীলফামারীতে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনা
- ডিমলায় জুয়া খেলার অপরাধে আটক-২
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক
- রাতেই যেসব অঞ্চলে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি
- জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের
- ফারিণের ‘নিকষ’ অন্ধকার!
- অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি, ৫ যুগ্ম-সচিবের বদলি
- ‘সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে ভূমিসেবায় দুর্নীতি প্রতিরোধ করা হবে’
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- অবৈধ দখলে থাকা খাস জমি চিহ্নিত করতে বললেন ভূমিমন্ত্রী
- মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- চিকিৎসা ব্যবস্থা যেকোনো মূল্যে সহজলভ্য করবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- মানুষের জীবন সহনীয় করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
- জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করা হবে: শিল্প সচিব
- রোহিঙ্গা সমাধানে নিউজিল্যান্ডকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান
- তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে এরদোগান বিরোধীদের জয়
- ঈদে সৈয়দপুর-ঢাকা আকাশপথে বাড়তি ফ্লাইট
- রংপুরে সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যরিস্টার আনিকা তাসনিয়া
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- আইপিএলের মাঝপথে হঠাৎ দেশে ফিরলেন মুস্তাফিজ