• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আরও জানা উচিত’

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ মে ২০২২  

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেছেন, আমাদের আমলারা বাইরে মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেন, কিন্তু তারাই পদে পদে মুক্তিযুদ্ধের কাজে বাধা দেন। আমি সবার সম্মুখেই বলছি। আমরা একদম বিরক্ত হয়ে গেছি। কাজ করতে গেলে তারা এত বাধা কেন দেবেন?

তিনি বলেন, সবাই মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেন, কিন্তু কী কাজ করেন, তা আমি সব লিখে যাবো। এসব লিখিত থাকা দরকার। একজন লেখক হিসেবে আমি লিখতে পারি। শুক্রবার (২০ মে) জাতীয় জাদুঘরে গণহত্যা জাদুঘরের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণহত্যা ১৯৭১ পঞ্চ-ভাস্করের যাত্রা ও এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, খুলনার দুজন কমিশনার, যাদের একজন এখন এনার্জি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং একজন প্রাক্তন সচিব। তারা আমাকে তখন গণহত্যা জাদুঘরের জন্য বরাদ্দ জমিটি দিতে চাননি, যদিও দেওয়ার কথা ছিল।

তিনি বলেন, নৌ পরিবহনের সচিব ছিলেন মো. সামাদ। আমাদের জন্য যতটুকু জমি বরাদ্দ ছিল, তিনি আমাদের তার কিছু অংশ দিয়েছিলেন। বাকিটুকু দেননি। আমরা খুব আশা করে গিয়েছিলাম, আমাদের জমিটা দেন। তিনি দিলেন না, কারণ তার পিয়নের জন্যই নাকি জমিটা বরাদ্দ।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও আমরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছুই জানি না। সরকার আসলে সেদিকে মনযোগ দেয়নি। আমাদের গণহত্যা জাদুঘরের ৩৫টি জেলা জরিপ যদি আপনারা দেখেন, তাহলে বুঝবেন কী হয়েছিল বাংলাদেশে। প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এই আয়োজনটি মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস এগুলোর মধ্য দিয়েই তরুণ প্রজন্ম জানতে পারবে।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের সহ-সভাপতি শিল্পি হাসেম খান। শুক্রবার বিকেলে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে এই প্রদর্শনীতে পাঁচজন ভাষ্করের মোট ৩৮টি ভাষ্কর্য নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে গণহত্যা ১৯৭১ পঞ্চ-ভাষ্করের যাত্রা শীর্ষক প্রদর্শনীটি।

রবিউল ইসলাম, রেহানা ইয়াসমিন, ফারজানান ইসলাম মিলকি, মুক্তি ভৌমিক ও সিগমা হক অংকনের ভাষ্কর্য নিয়ে এ আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে সপ্তাহব্যাপী এই প্রদর্শনী চলবে সকাল সাড়ে দশটা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।