• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

কোন বয়সে রক্তে শর্করার মাত্রা কত থাকা স্বাভাবিক?

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০২২  

কোন বয়সে রক্তে শর্করার মাত্রা কত থাকা স্বাভাবিক?                              
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। পরিসংখ্যান বলছে, পুরো বিশ্বে ডায়াবেটিসের শিকার প্রায় ৫৪ কোটি মানুষ। ৯৫ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগী ভোগেন টাইপ টু ডায়াবেটিসে। অর্থাৎ একটু বেশি বয়সে এই ধরনের ডায়াবেটিস হয়। এই রোগের হাত ধরেই জন্ম নেয় কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের মতো নানাবিধ সমস্যা। 

বিশেষ করে ডায়াবেটিস থাকলে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণেই এমনটা হয়ে থাকে। সে জন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।

ডায়াবেটিস শরীরে বাসা বেঁধেছে, এটাই অনেকে বুঝতে পারেন না সঠিক সময়ে। কারণ অধিকাংশ সময় ডায়াবেটিস হানা দেয় রোগীর অজান্তেই। ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে দ্রুত রোগ নির্ণয় করাটা জরুরি। ডায়াবেটিসে অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। ওষুধ তো আছেই, সেই সঙ্গে রোজের খাদ্যাভ্যাসেও আনতে হবে বড়সড় বদল। সে ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস তাড়াতাড়ি ধরা পড়লে ভালো।

অনেকেরই ধারণা, বয়স বাড়লে বোধহয় ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ধারণা একেবারে ঠিক নয়। এখন অনেকেই কম বয়সে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হচ্ছেন। ডায়াবেটিস শরীরে বাসা বাঁধলে দু-একটি উপসর্গ দেখা দেয়। তখন অনেকেই চিকিৎসকের কাছে যান পরীক্ষা করাতে।

কিন্তু এই রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে প্রতি ৬ মাস অন্তর ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা প্রয়োজন। ‘আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন’-এর দেওয়া তথ্য অনুসারে, যে হারে ডায়াবেটিস বাড়ছে তাতে ছোট থেকেই রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

কোন বয়সে রক্তে শর্করার মাত্রা কত হওয়া স্বাভাবিক?
৬ বছরের নিচে শিশুদের ফাস্টিং সুগার হওয়া উচিত ৮০ থেকে ১৮০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর মধ্যে। ৬ থেকে ১২ বছরের শিশুদের ফাস্টিং সুগার হওয়া উচিত ৮০ থেকে ১৮০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর মধ্যে। ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সিদের ফাস্টিং সুগার হওয়া উচিত ৭০ থেকে ১৫০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর মধ্যে। ২০ বছরের উপরে যাদের বয়স, তাদের ফাস্টিং সুগার ১০০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর নিচে থাকাই শ্রেয়।

সূত্র: আনন্দবাজার