• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

‘কাজের চেয়ে আওয়াজ বেশি’

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮  

অফিসের কাজে বিশেষ মনোযোগ নেই; কিন্তু অফিশিয়াল মিটিংগুলোয় সামনের সারিতে বসে কর্তাব্যক্তিদের কথায় সমর্থন জুগিয়ে বা প্রশংসা করে তাদের চোখে পড়েন- এমন সহকর্মী দেখেছেন নিশ্চয়ই?

 

1.‘কাজের চেয়ে আওয়াজ বেশি’

আত্মপ্রচারকারী (ফাইল ছবি)

এ ধরনের ব্যক্তিদের ‘আত্মপ্রচারকারী’ বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাজ্যের একটি গবেষণা।গবেষণাটি বলছে, প্রকৃতার্থে কাজের কাজ কিছু না করেও শুধু যোগাযোগ ও কৌশল কাজে লাগিয়ে আত্মপ্রচারকারী ব্যক্তিরা অফিসে বড়কর্তাদের চোখে ভালো কর্মী হিসেবে বিবেচিত হয়। শুধু তা-ই নয়, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, যারা প্রকৃতই নিবিষ্টচিত্তে কাজ করে যায়, তেমন কর্মীদের চেয়ে কিছু ক্ষেত্রে আত্মপ্রচারকারীরা এগিয়ে থাকে; কিন্তু এসব ব্যক্তি দিন শেষে ‘টিম ওয়ার্ক’ বা দলগত কাজে আদতে কোনো উপকারেই আসে না। তাই এই আত্মপ্রচারকারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে ‘কাজের চেয়ে আওয়াজ বেশি’ দেওয়া ব্যক্তি হিসেবে।

প্রডাক্টিভিটি স্টাডি বা কর্মোৎপাদন সক্ষমতাবিষয়ক এ গবেষণার আওতায় ছিল যুক্তরাজ্যের ২৮টি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। গবেষণায় একদল কর্মীকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাদের দূর থেকে দেখলে মনে হয় যে তারা ‘হাইলি এনগেজ্ড’ বা তারা কাজের প্রতি অতি গভীরভাবে সম্পৃক্ত। কিন্তু নিবিড়ভাবে মনোযোগ দিলে বোঝা যায়, এসব ব্যক্তি আসলে ‘সেলফ প্রমোটার’ বা আত্মপ্রচারকারী ছাড়া আর কিছুই না।

এ ধরনের ব্যক্তিরা মিটিংগুলোতে ঘড়ি ধরে উপস্থিত হয়, অফিসের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপে জড়িত হয় এবং তাদের কথা ও যুক্তিতে সায় দেয়। এসব করার মাধ্যমেই তারা কর্তাব্যক্তিদের চোখে পড়ে এবং কর্মক্ষেত্রে ভালো কাজের সুনাম পায়। এমনকি পদোন্নতিও পেয়ে যায়। এ ধরনের ব্যক্তিদের এই গবেষণায় ‘সুডো-এনগেজড’ বা কাজে গভীরভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার ভানধারী এবং স্বার্থপর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

গবেষকদলের সদস্য এমি আর্মস্ট্রং বলেন, এসব ব্যক্তি দলগত কাজকে অবমূল্যায়ন করে এবং দিন শেষে তারা আসলে কাজে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তার ভাষায়, এসব ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করাটা ‘অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক’। এমন সহকর্মী দিন শেষে অন্য সহকর্মীদের খুব কম বিশ্বাস করে এবং কাজের ক্ষেত্রেও কম সহযোগিতা করে।