• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শরীর ভালো রাখুন হাসির মাধ্যমে

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ অক্টোবর ২০২১  

‘হাসতে নাকি জানেনা কেউ
কে বলেছে ভাই ?
এই শোন না কত হাসির
খবর বলে যাই...’
এরকম অনেক কবির কবিতায়, কথাসাহিত্যে হাসির কতশত বর্ণনা রয়েছে। মন খারাপের দিনে এক মুহূর্তে যদি কল্পনা করা যায় প্রিয় কারও হাসিমাখা মুখ, মনটা চট করেই ভালো হয়ে যায়। সেই রাঙা হাসির উদযাপনেই বিশ্বজুড়ে অক্টোবর মাসের প্রথম শুক্রবার পালিত হয় ‘বিশ্ব হাসি দিবস’।

বছরের ৩৬৫ দিনে প্রায় সাড়ে চারশ’ দিবস পালিত হয়। তবে এমন অনেক দিবস রয়েছে যার কথা সাধারণ মানুষ জানেই না। ঠিক তেমনি ‘হাসি দিবস’। বিশ্ব পালন করবে দিবসটি। সাড়ম্বরে না হলেও প্রতিবছর বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয়।

১৯৬৩ সালে শিল্পী হারভে রোজ বল হলুদ রঙের বৃত্তের মধ্যে দুটো চোখ আর একটি অর্ধচন্দ্রাকৃতির মুখের ছবি আঁকেন, যা ‘স্মাইলি’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। স্মাইলির বাণিজ্যিক ব্যবহারে ব্যাপক পরিচিতি পান যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পী হারভে। তার চেষ্টায় ১৯৯৯ সাল থেকে অক্টোবরের প্রথম শুক্রবারটি বিশ্ব হাসি দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। ২০০১ সালে হার্ভি মারা গেলে ওয়ার্ল্ড স্মাইল ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে তার শ্রদ্ধায় প্রতি বছর পালন করা হয় এই দিনটি। 

অন্য আরেকটি সূত্র থেকে জানা যায়, ড. মদন কাটারিয়ার ১৯৯৮ সালে প্রথম চালু করেন এই বিশ্ব হাসি দিবসের। তিনি যোগাসনে হাসির উপযোগিতাকে তুলে ধরেন। হাসি মানসিকভাবে মানুষকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে পারে বলে দাবি করেন তিনি। হাসির কিছু বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করলে নাকি দীর্ঘদিন সুস্থভাবে জীবন যাপন করা যায় বলেও দাবি করেন তিনি।

হাসির জন্য বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে বিশেষ ক্লাব। পার্ক ও অন্যান্য ফাঁকা জায়গায় বিভিন্ন মানুষ জড়ো হন হাসির মাধ্যমে শরীর ভালো রাখতে। এই বিশেষ দিনটিও মানুষ চিরকালই এভাবে উৎযাপন করে এসেছেন। তবে এখন করোনা আবহে লকডাউনের মধ্যে প্রত্যেকেই নিজের বাড়িতে পালন করলেন বিশ্ব হাসি দিবস।