• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

নট আউট ফিফটিতেও রূপবতী থাকার কৌশল 

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

নারীর জীবনে পঞ্চাশ বছর একটি টার্নিং পয়েন্ট। এটি জীবনের এমন একটি পর্যায়, যে বয়সটাতে নারীরা নিজেকে নতুনভাবে আবিস্কার করতে শুরু করেন। পঞ্চাশ মানেই জীবন শেষ হয়ে যাওয়া নয়। তাই নিজেকে সুস্থ-সতেজ রাখতে হলে উপযুক্ত খাবার-দাবার, ব্যায়াম, পর্যাপ্ত পানি খাওয়া, পরিমাণ মতো ঘুম আর সবসময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে শুধু সুস্থ না, থাকবেন রূপবতীও।

সময়ের চোরাস্রোতে চল্লিশের চৌকাঠ মাড়িয়ে যারা পঞ্চাশে চলে এসেছেন কিংবা যারা আসছেন তারা সবাই জানেন জীবনের হেঁটে আসার পুরো পথটুকু কোনো নারীর জন্যই মসৃণ নয়। তাই এই সময়টাতে শরীরের প্রতি খানিক বাড়তি লক্ষ্য রাখতে হবে, প্রতিদিনের খাবরের মেন্যুতে আনতে হবে পরিবর্তন। তাহলে বার্ধক্যের ছাপ পড়বে না শরীরে, বয়স হবে কেবলই একটি সংখ্যা মাত্র।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: পেশি মজবুত রাখতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সঠিক বিপাক হারের জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন মাছ, ডিম, মুসুর ডাল, বাদাম, দুগ্ধজাত খাবার ইত্যাদি খেতে হবে। 

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে ও রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে ফাইবার সমৃদ্ধ সবজি, ফল, মটরশুঁটি, ওটস, ভুট্টা, বাদাম ইত্যাদি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। 

ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: হাড় ভালো রাখতে ক্যালশিয়াম অপরিহার্য। এ ছাড়াও স্নায়ু ও হৃদযন্ত্রের সমস্যা এড়াতে, পেশির যত্নে ক্যালশিয়াম অত্যন্ত কার্যকরী। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন দুগ্ধজাত পণ্য, সবুজ শাকসবজি, কাঠবাদাম ইত্যাদি ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার।
ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার: বয়স পঞ্চাশ পার হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে, হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে, ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের আশঙ্কা কমাতে ভিটামিন-ডি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন-ডি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও খেতে পারেন মাশরুম, দুগ্ধজাত খাবার, ডিমের কুসুম, চর্বিযুক্ত মাছ, ইত্যাদি ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার ।

ওমেগা-থ্রি সমৃদ্ধ খাবার: মানসিক অবসাদ, ডিমেনশিয়া, অ্যালজাইমার্স ইত্যাদি স্নায়বিক রোগ, হৃদযন্ত্র, এবং ত্বকের সুস্থতায় ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড খুবই উপকারী একটি খাবার। সামুদ্রিক মাছ, বাদাম, বীজ-তেল, ইত্যাদি খাবারে থাকে আলফা-লিনোলিক অ্যাসিড যা আপনার শরীরের জন্য ইপিএ ও ডিএইচএ উৎপন্ন করে।