• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে ডিমলা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

কুয়াশার চাদর ঢেকে যাওয়া ডিমলা উপজেলায় হাড় কাঁপানো শীত আর হিমেল হাওয়ায় জবুথবু হিমালয় ঘেঁষা নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার জনজীবন। সূর্যের দেখা মেলেনি গত দুই দিন ধরে। শুক্রবার সকাল থেকে কনকনে হিমেল হাওয়ায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। মধ্যরাত হতে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টির মতো ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তাঘাট দেখা যাচ্ছেনা দিনের বেলায় গাড়ীর হেডলাইট জ্বালিয়ে চালানো হচ্ছে গাড়ী। ঝিড়ঝিড় করে কুয়াশার পাশাপাশি বইছে ঠান্ডা হিমেল হাওয়া।

ঠান্ডার কারণে বাড়ছে শিশুদের জ্বর সর্দি সহ ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন শীত জনিত রোগ। দিন কাটছে অসহায় মানুষ জনের খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুন তাপিয়ে। হঠাৎ করে ঠান্ডায় কাহিল শিশু ও বৃদ্ধরা। সারাদিন সবার গায়ে গরম কাপড়, হাতে-পায়ে মোজা, মাথায় টুপি- মাফলার। এ এক অন্য রকম পরিবেশ। সবাই ছুটছে গরম কাপড়ের সন্ধানে। গরীবরা শীতবস্ত্রের চাহিদা মেটাতে বিত্তবানদের দারে দারে শরণাপন্ন হচ্ছেন।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে শনিবার বেলা ১১ টায় ডিমলা উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রী। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৫৩ শতাংশ। শহর ঘুরে দেখা গেছে, সবাই ঠান্ডায় থর থর করে কাঁপছে। দিনের বেলায় গাড়ি চালানো হচ্ছে গাড়ীর হেডলাইট জ্বালিয়ে। একটু গরমের আশায় সবাই ছটফট করছে। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে তিস্তা এলাকার অসহায় মানুষসহ গোটা উপজেলার স্বল্প আয়ের মানুষজন। 

এ বিষয়ে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সারোয়ার আলম জানান, শীতের সময়টা শিশুদের জন্য খুবই ভোগান্তির। এ সময় শিশুদের প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে। প্রসাব করা কাপড় পাল্টানো, গরম পানি ব্যবহার এবং শীত যেন না লাগে এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। শিশুদের এ সময় যেকোনো অসুবিধায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।