• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সৈয়দপুরে পরচুলা কারখানায় কাজ করে সংসারে সচ্ছলতা 

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০২২  

পরচুলা তৈরির কারখানায় কাজ করে সংসারে সচ্ছলতা এনেছেন অনেক নারী। সৈয়দপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকায় এসব নারী বাড়ির পাশের কারখানায় কাজ করে নিজেদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলছেন।

দেখা গেছে, উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর, কামারপুকুর ও নেজামের চৌপথী এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট্ট পরিসরে কয়েকটি পরচুলা তৈরির কারখানা। সংসারের কাজ করেও গৃহিণীরা কারখানাগুলোতে পরচুলা তৈরি করছেন।

বুলবুলি বেগম (৫৫)। স্বামী মারা গেছেন অনেক আগে। ছেলের সংসারে থাকেন। রয়েছে অভাব-অনটন। নিজের হাতখরচ জোগাতে দলবদ্ধ হয়ে তিনিও পরচুলা কারখানায় কাজ করছেন। তিনি বলেন, ছেলের সংসারে খেয়ে দিন চলে। নিজের অনেক প্রয়োজনীয় খরচ রয়েছে। প্রতিবেশীর বাড়িতে চুলের কাজ হচ্ছে ছয় মাস থেকে। সেখানে ঢুকে কাজ করছি। 

কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লানছু চৌধুরী বলেন, এসব পরচুলা তৈরির ফ্যাক্টরি হওয়ায় এলাকায় একটা পরিবর্তন এসেছে। এখানে কাজ করে অনেক নারী সংসারের অভাব ঘুচিয়েছেন। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করাচ্ছেন। আমার ইউনিয়নের পালপাড়া, সিপাহিটারী এবং চৌপথি এলাকায় নারীদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেদের ব্যস্ততা বেড়েছে। 

উদ্যোক্তা মুকুল মিয়া জানান, আমার কয়েকটি ফ্যাক্টরিতে প্রায় ২ হাজার মহিলা কাজ করেন। সাব-কন্ট্রাক্ট নিয়ে পরচুলা উৎপাদন করছি। আমরা অর্ডার নিয়ে এসব ঢাকায় পাঠাচ্ছি। যারা কাজ করেন তারা সবাই নারী। তিনি বলেন, শুধু আমি নই, আমার মতো আরো তিন চার জন সাব-কন্ট্রাক্টে এই কাজ করাচ্ছেন। এলাকার ৭-৮ হাজার নারী এর ফলে কাজ পেয়েছেন। তাদের সংসারে পরিবর্তন এসেছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)-এর উপ-মহাব্যবস্থাপক হুসনে আরা বেগম বলেন, কেউ আর এখন শুধু গৃহিণী থাকতে চান না। গ্রামে ঘুরলে দেখা যাবে নারীদের ক্ষুদ্র নানা কাজে অংশগ্রহণের চিত্র। নারীদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের ফলে অর্থনীতির চাকা মজবুত হচ্ছে এই অঞ্চলের। ঘুরে দাঁড়াতে পারছেন নারীরা। নারীদের মধ্য থেকে উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে, তারা কর্মক্ষেত্র তৈরি করছেন। এর ফলে নারীরা যেমন সমৃদ্ধ হচ্ছেন তেমনি সংসারে সক্ষমতা বাড়ছে। গ্রামের নারীদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিকাশে বিসিক নানাভাবে পাশে রয়েছে এবং সহযোগিতা করছে। এছাড়া বিসিকের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে।