• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

স্ত্রীর নির্যাতনে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন ব্যবসায়ী

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২২  

নীলফামারীর ডোমারে জোবায়ের ইসলাম জবা (৩০) নামে এক জুতা ব্যবসায়ী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ডোমার রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জোবায়ের ইসলাম জবা ডিমলা উপজেলার পাথরখুড়া গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে। ছোটবেলা থেকেই তিনি ডোমার রেলস্টেশন সংলগ্ন তার মামা সেপু ইসলামের বাড়িতে থাকতেন। তিনি ডোমার বাজার রেলগেট মোড়ে ভ্যানে করে জুতা-স্যান্ডেল বিক্রি করতেন। তার একটি পাঁচ বছর বয়সী ছেলে সন্তান রয়েছে। 

স্থানীয় কাউন্সিলর রুবেল ইসলাম বলেন, জবা ছোটবেলায় তার মায়ের মৃত্যুর পর থেকে রেলস্টেশন পাড়ায় তার নানির কাছে থেকেই বড় হয়েছে। এর আগেও সে কয়েকবার বিভিন্ন কারণে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল। এলাকার লোকজন তাকে বিভিন্ন সময় আত্মহত্যার হাত থেকে রক্ষা করে। 

জবার ভাবি নিলিফা আক্তার বলেন,  চিলাহাটি খানকা শরিফ এলাকার মাছ ব্যবসায়ী সলেমান আলীর মেয়ে মনিরা বেগমের সঙ্গে জবার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তার স্ত্রী তাকে অমানুষিক নির্যাতন করতে থাকে। এক সময় তার কাছে ৪ শতক জমি কেনার টাকা ও এনজিও থেকে তোলা ঋণের টাকা নিয়ে তার স্ত্রী ডোমার থেকে চিলাহাটিতে বাবার বাড়ি চলে যায়। সেখানেও সে তার স্বামী জবাকে নানাভাবে নির্যাতন করতে থাকে। স্ত্রীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আজ সকালে চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী সীমান্ত একপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনে থামার আগ মুহূর্তে সে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ সময় দেহ থেকে তার মাথা দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়। 

জবার বড় ভাই রবিউল ইসলাম বলেন, স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ দেওয়ার পরও জবার স্ত্রী তার সন্তানকে নিয়ে শেষবারের মতো দেখতে আসেনি। আমার ভাইকে নির্যাতনের বিচার দাবি করছি। 

জবার নানি খাদেজা বেগম বলেন, প্রায় এক মাস ধরে জবার সঙ্গে তার স্ত্রী মনিরার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া চলছিল। ঈদের আগে মনিরা তার ঘরের জিনিসপত্রসহ জবার পাঁচ বছরের শিশু সন্তান মনির হোসেনকে নিয়ে বাবার বাড়ি যায়। জবা মনিরাকে বাবার বাড়ি থেকে আনতে গেলে বাড়ি আসবে না বলে জানায়। জবাকে বলে ‘তুই তোর বাড়ি গিয়ে ভিক্ষা করে খা’। এই দুঃখে হয়তো আমার নাতি আজ জীবনটা দিয়ে দিল।

এ ব্যাপারে জবার স্ত্রী মনিরা বেগমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শফিউল ইসলাম বলেন, ডোমার রেলওয়ে স্টেশনে চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে একজনের কাটা পড়ে মারা যাওয়ার খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।