আগাম আলু উৎপাদনে একমাত্র জেলা নীলফামারী
– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২২
আগাম আলু উৎপাদনের একমাত্র জেলা নীলফামারীতে চলছে কৃষকদের জোড় প্রস্ততি। কেউবা জমি প্রস্তুতকরণ, কেউবা আলু বীজ রোপণ আবার কেউ কেউ আবহাওয়ার দিকে নজর রেখে আলু বীজ রোপণের প্রস্ততি শুরু করেছেন। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই, পুটিমারী ও বাহাগিলি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
তবে গতবারের লোকসানের শংকা কাটিয়ে এবার বাম্পার ফলন ও ভালো দামের স্বপ্ন দেখছেন হাজারো কৃষক। নিতাই ইউনিয়নের পশ্চিম দুরাকুটি এলাকার কৃষক শামীম হোসেন বাবু জানান, এবার ২৩বিঘা জমিতে আগাম আলু রোপণের কাজ শুরু করেছি। ৫৫-৬০দিনের মধ্যে আলু তুলে বিক্রি করা যাবে। ৮০ থেকে ১০০টাকা পর্যন্ত বিক্রি হবে এই আগাম আলু।
তবে জ্বালানী, সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজরি বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন ব্যয়ও বেড়ে গেছে। আগে বিঘা প্রতি ২৫হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হলেও এবার খরচ পড়ে যাবে ৩৫ হাজার পর্যন্ত।
তিনি বলেন, আলু তোলার সময় এখানে উৎসব শুরু হয়। ঢাকা চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা ট্রাকে ট্রাকে আলু নিয়ে যায় সে সময়ে বেশ ভালো লাগে আমাদের।
আরেক কৃষক রুবেল রানা বলেন, ২০বিঘা জমিতে আগাম আলু আবাদ শুরু করেছি। বছরে তিনটি ফসল ফলাই এক জমিতে। আমনের পর আগাম আলু এরপর ভুট্টা লাগাবো।
বিঘা প্রতি ৪০-৪৫ বস্তা আলু হলে ৩৫-৪০ হাজার টাকা লাভ আসবে। এক বিঘায় ১০-১২ বস্তা বীজ আলু রোপণ করতে হয়।
তিনি বলেন, সারাদেশের মধ্যে একমাত্র আগাম আলু উৎপাদন হয় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে। যার কারণে এই এলাকার কৃষকরা লাভ লোকসান মাথায় নিয়ে এমনকি ঝুঁকি নিয়ে আলু আবাদে মাঠে নেমে পড়েন।
এই এলাকা আলু চাষের জন্য উত্তম। কারণ উচু এলাকা পানি জমে থাকে না। সে কারণে আলুর ফলনও ভালো হয়।
তিনি বলেন, প্রথমে যখন আলু উঠবে ওই আলু একশ টাকারও বেশি কেজি বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পরে আস্তে আস্তে আলুর ব্যাপকতা বাড়লে দামও কমে আসে।
আরেক কৃষক বকুল হোসেন বলেন, ছয় বিঘা জমিতে আগাম আলু চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছি। জমি তৈরি হচ্ছে কিন্তু আবহাওয়ার দিকে খেয়াল করছি কারণ বৃষ্টি হলে বীজ আলু নষ্ট হয়ে যাবে। দুই একটা দিন পর্যবেক্ষণ করে রোপণে যাবো।
তিনি অভিযোগ করেন পর্যাপ্ত সার পাওয়া যাচ্ছে না, তেল ও কীটনাশকের দাম বেড়েছে যার প্রভাব পড়ছে কৃষিতে। খরচ বাড়লেও লাভ তেমন বাড়ে না। আমরা এই এলাকার মানুষ কৃষির উপর নির্ভর করে সংসার চালাতে হয়।
আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করছি কৃষি সামগ্রী যেন সহজে পাওয়া যায় এবং দাম যেন হাতের নাগালে থাকে তাহলে কৃষি এবং কৃষক ভালো থাকবে। দল বেঁধে আট দশজন মিলে আলু রোপণে কাজ করছেন শ্রমিকরা। কেউ রশি টেনে লাইন, কেউ কোদাল দিয়ে বীজ ভরাট, কেউ বীজের গর্ত তৈরি করণসহ নানা কাজে ব্যস্ত তারা।
তারপরও ভালো ফলন ও ভালো দাম গৃহস্থের (কৃষক) ঘর পাউক হামরা চাই।
আরেক শ্রমিক একরামুল হক বলেন, গতবছর কয়েক দফায় পানি হইছে। এই কারণে বীজ নষ্ট হয়া গেইছে। দাম পায় নাই। এইবার ঝুঁকি নিয়া গৃহস্থের (কৃষক) ঘর আলু নাগায়ছে।
উপজেলা কৃষি দফতর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে ৬৬৫০ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলার নিতাই, বাহাগিলি, পুটিমারী, রণচন্ডিসহ আরো কয়েকটি ইউনিয়নে আগাম আলু হয়ে থাকে।
দেশের একমাত্র জেলা হিসেবে নীলফামারীতে উৎপাদন হওয়া আগাম আলু খেয়ে থাকেন বিভিন্ন জেলার মানুষ।
জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায় বলেন, সেপ্টেম্বরের ২০ থেকে আগাম আলু রোপন শুরু হয় যা চলে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। যেহেতু দেশের একমাত্র জেলা নীলফামারীতে আগাম আলু হয় একারণে কৃষকদের দিকে বিশেষ নজর দিতে হয়। যাতে কোন ভাবে ফসল ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ প্রয়োজনীয় সহায়তা এবং পরামর্শ দিচ্ছেন। যাতে বীজ আলু নষ্ট না হয়, ভালো ফলন হয়।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম বারী পাইলট জানান, আলু অধ্যুষিত জেলা নীলফামারী। এই জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক আকারে আলু উৎপাদন হয়ে থাকে কিন্তু এই আলু সংরক্ষণের অভাবে কৃষকরা ভালো দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ কারণে হিমাগার স্থাপন এবং আলু ভিত্তিক বিভিন্ন কারখানা স্থাপন করা হলে কৃষকরা লাভবান হবেন।
- চাঁদা তুলে খেলতে আসা দলই গড়ল ইতিহাস
- মিল্টন সমাদ্দারের অপকর্ম তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি
- জুমার নামাজের ফরজ ও হারাম
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু, পরীক্ষার্থী ৩৩৮০০০
- তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে ১৫৫ জনের মৃত্যু
- ‘পুষ্পা: দ্য রুল’ সিনেমা মুক্তির আগেই ১০০০ কোটির ব্যবসা!
- ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও
- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- র্যাবের নতুন মুখপাত্র আরাফাত ইসলাম
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন
- গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ
- মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
- এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- সব ডিসি-এসপির সঙ্গে ইসির বৈঠক আজ
- হিট অ্যালার্ট আরো তিনদিন বাড়লো
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৪ মামলায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা
- ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
- নীলফামারীতে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৪ নির্দেশনা
- ডিমলায় জুয়া খেলার অপরাধে আটক-২
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক
- রাতেই যেসব অঞ্চলে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি
- জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের
- ফারিণের ‘নিকষ’ অন্ধকার!
- অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি, ৫ যুগ্ম-সচিবের বদলি
- ‘সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে ভূমিসেবায় দুর্নীতি প্রতিরোধ করা হবে’
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- অবৈধ দখলে থাকা খাস জমি চিহ্নিত করতে বললেন ভূমিমন্ত্রী
- মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- চিকিৎসা ব্যবস্থা যেকোনো মূল্যে সহজলভ্য করবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- মানুষের জীবন সহনীয় করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
- জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করা হবে: শিল্প সচিব
- রোহিঙ্গা সমাধানে নিউজিল্যান্ডকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান
- তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে এরদোগান বিরোধীদের জয়
- ঈদে সৈয়দপুর-ঢাকা আকাশপথে বাড়তি ফ্লাইট
- রংপুরে সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যরিস্টার আনিকা তাসনিয়া
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- আইপিএলের মাঝপথে হঠাৎ দেশে ফিরলেন মুস্তাফিজ