• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

বেনামি কারখানায় তৈরি ওষুধ নামিদামি কোম্পানির নামে বিক্রি

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০২২  

নীলফামারীর সৈয়দপুরের বেনামি বিভিন্ন কারখানায় তৈরি করা হয় দেশের নাম করা স্কয়ার, অপসোনিন, ইনসেপ্টার মতো কোম্পানির বিভিন্ন ওষুধ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে গ্যাসের ওষুধ। এসব ওষুধ প্রত্যন্ত এ উপজেলা শহর থেকে আসে ঢাকায়। বিক্রি হয় রাজধানীর বড় বড় ফার্মেসিগুলোতে। এমন তিন লাখ পিস নকল ওষুধসহ বাজারজাতকারী চক্রের মো. ইকবাল হোসেন ওরফে রানাকে (৩৬) গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ।

উদ্ধার করা তিন লাখ ওষুধের মধ্যে পেনটনিক্স ২০এমজি ২৫ হাজার ৪৮০পিস, সেকলো ২০এমজি ৩৬ হাজার পিস, সারজেল ২০এমজি ৯২ হাজার পিস, ফিনিক্স ২০এমজি এক লাখ আট হাজার পাঁচশ পিস, লোসেক্টিল ২০এমজি ৩৬ হাজার পিস ও ইটোরিক্স পাঁচ হাজার ৪০০ পিস।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুণ অর রশীদ।

বেনামি কারখানায় তৈরি ওষুধ নামিদামি কোম্পানির নামে বিক্রি

তিনি বলেন, মঙ্গলবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মতিঝিল ডিআইটি এক্সটেনশন রোডের হোটেল হাসান ইন্টারন্যাশনালের সামনে থেকে রানাকে একটি ওষুধের কার্টনসহ আটক করা হয়। কার্টনের ভেতর কী আছে জানতে চাইলে তিনি জানান, কাটুনে ওষুধ আছে। কার্টন খুলে ভেতর থেকে কিছু নকল ওষুধ পাওয়া যায়। এরপর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এসএ পরিবহন ইংলিশ রোড শাখা থেকে দুই কার্টন ভেজাল ওষুধ উদ্ধার করা হয়।

হারুণ অর রশীদ বলেন, পরে আরও কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর কুমিল্লা শহরের স্টেশন রোড থেকে গ্রেফতার রানার ভাড়া করা গোডাউন থেকে বিভিন্ন নামি-দামি ওষুধ কোম্পানির দুই লাখ ৪১ হাজার ৯০০ পিস নকল ওষুধ উদ্ধার করা হয়।

রানাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিবি প্রধান জানান, নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের মো. আতিয়ারের থেকে বিভিন্ন পরিবহনে পার্সেলের মাধ্যমে এসব ওষুধ সংগ্রহ করে কুমিল্লা শহরের স্টেশন রোড এলাকায় গোডাউনে সংরক্ষণ করেন তিনি। তারপর সময় ও সুযোগ বুঝে রানা নিজে ও বিভিন্ন পরিবহনে পার্সেলের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব ভেজাল ওষুধ বাজারজাত করেন।

তিনি বলেন, এ ভেজাল ওষুধ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকারী চক্রের অন্যান্য সদস্যদের আইনের আওতায় আনার জন্য অভিযান চলছে। গ্রেফতার রানার বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।