• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

পান বিক্রি করেই দিলীপের ভাগ্য বদল

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

অভাব অনটনে বড় হয়েছেন। এক সময় ভালো খাবারও জোটেনি। ছোটবেলা থেকেই করছেন পানের ব্যবসা। সময়ের পরিবর্তনে বেড়েছে ব্যবসা। নীলফামারীর সৈয়দপুরের নিচু কলোনি এলাকার দিলীপ রায় বর্তমানে পানের দোকান থেকেই মাসিক আয় করেন প্রায় ৫০ হাজার টাকা।

তিনি শহরের মুন্সিপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।

সরেজমিন দেখা যায়, এ পানের দোকানে ভিড় করছেন দূর দূরান্ত থেকে আসা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। পানের স্বাদ আর রঙিন সাজসজ্জায় মন কাড়ছে তাদের। রয়েছে বাহারি রঙে সাজানো পানের পসরা। ক্রেতারা এসে দাঁড়িয়ে থেকে কিনছেন এ পান। এখানে একটি পান বিক্রি হয় ২০ টাকা দামে। পানে দেওয়া হয় নারিকেল, আপেল, খেজুর, কিসমিস, এলাচ, খোরমা, চমন বাহার, মোরব্বা, তানসিন, তেরেঙ্গা, সেমাই, ঝুড়া, গুয়া মরি, ধনিয়া, কালো জিরাসহ বিভিন্ন ধরনের মসলা।

ঠাকুরগাঁও থেকে পান খেতে আসা আলিম হোসেন বলেন, আমি বন্ধুদের থেকে শুনেছি এখানের পান অনেক ভালো। এসে পান খেয়ে দেখি সত্যি অনেক ভালো লাগে।

ক্রেতা মাঈনুল হক বলেন, এ পান সত্যি অনেক মজার। কেউ একবার খেলে বারবার আসবে। আমি পরিবার নিয়ে মাঝেমধ্যে এখানে পান খেতে আসি।

পান বিক্রেতা দিলীপ বলেন, আমি ছোট থেকে এ পানের দোকান করি। আগে ঠিকমত খেতেও পারতাম না। আমার পরিবারের অবস্থা খুব খারাপ ছিলো ।

শুরুতে আমি মানুষের দোকানে কাজ করেছি। এ পান তৈরি করা আমি মানুষের কাছে শিখেছি। এখানে এসে কষ্ট করে নিজে দোকান দিয়েছি। এ দোকান দিয়ে আমার ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। এ দোকান থেকেই মাসিক প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো আসে।