• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রতি বছর ৪০ হাজার মেট্রিক টন বীজআলু উৎপাদন করে বিএডিসি

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২৪  

নীলফামারীর ডোমারে বীজআলু উৎপাদন করে কৃষকের চাহিদা মেটাচ্ছে বিএডিসি। এবার ৪১০ এক জমিতে বিভিন্ন ধরণের বীজআলু উৎপাদন করে প্রশংসা কুড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। খামারটিতে বীজআলু চাষাবাদের পাশাপাশি বোরো, আউশ, আমন ধানও চাষাবাদ করা হয়। উৎপাদিত সব ফসল বীজ হিসেবে সংগ্রহ করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খামারে এস্টারিক্স, সানসাইন, সানতানা, কার্ডিনাল, মিউজিকা, কারেজ, গ্রানোলা, বারি আলু-৬২, ডায়মন্টসহ ২৬ জাতের আলুর প্লান্টলেট করা হয়। এতে ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৫টি চারা তৈরি হয়। প্রতি বছর প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন বীজআলু চাষি পর্যায়ে বিপণন করা হয়। এছাড়াও শিল্পে ব্যবহার, রপ্তানি উপযোগী এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

সূত্র জানায়, ১৯৫৭-৫৮ সালে সরকার ডোমার খামারটি প্রতিষ্ঠা করে। তৎকালীন কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে খামারের কার্যক্রম শুরু হয়। বীজআলু উৎপাদনে অধিক উপযোগী মনে করে ১৯৮৯-৯০ সনে খামারটি আলুবীজ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত হয়।

খামারের কাজ করতে আসা শ্রমিক আব্দুল জলিল বলেন, ডোমার বিএডিসি ভিত্তি বীজআলু উৎপাদন খামারে আমরা কাজ করে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়েছি। আগে আমার বাড়ির কাজ করে বসে থাকতে হতো। এখন এখানে কাজ করে পরিবারসহ ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া করাচ্ছি।

রেজাউল ইসলাম নামের আরেক কৃষক বলেন, আমি আগে রাজমিস্ত্রির কাজ করতাম। খামারে কাজ করে দিন ভালো যাচ্ছে। এখানে শ্রমিকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা ভালো।

সোনারায় এলাকার বাসিন্দা একরামুল হক বাদশা বলেন, আগে খামারটি ছিল উঁচু-নিচু। এখন মাঠ ভরাটের পর খামারটিতে চাষাবাদও বেড়েছে। খামারটিকে কেন্দ্র করে শত মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

বিএডিসির সহকারী পরিচালক সুব্রত মজুমদার বলেন, বিভিন্ন জাতের আলু হতে প্লান্টলেটের মাধ্যমে যে মিনিটিউবার (চারা) উৎপাদন করা হয়েছে সেগুলো ভাইরাস মুক্ত। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ও সহনশীল। খামারটিতে উৎপাদিত সব আলু বীজ হিসেবে সংগ্রহ করা হয়। আধুনিক যান্ত্রিকীকরণ পটেটো প্লান্টার দ্বারা আলুবীজ রোপণ, ডিগার দ্বারা আলু উত্তোলন করে গ্রেডার মেশিন দ্বারা বীজ আলু গ্রেডিং করে নিজস্ব হিমাগারে সংরক্ষণ করা হয়।

ডোমার ভিত্তি বীজআলু উৎপাদন খামারের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু তালেব মিঞা বলেন, ৪১০ একর জমিতে আলু চাষ করা হচ্ছে। যার ফলন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩০০ টন। গত বছরের তুলনায় ৩০ একর বেশি জমিতে এবার আলু চাষ হয়েছে। আশা করছি এবারও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জন হবে।