‘১০ বছর ক্ষমতায় থেকেও বিএনপি কোন রোহিঙ্গা পাঠাতে পারেনি’
– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২০
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৯৯১ ও ৯২ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বাংলাদেশে যেসব রোহিঙ্গারা এসেছিল তাদের অনেকেই কিন্তু এখনো আছে। তাদের সবাই ফেরত যায়নি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে বলবো ১৯৯১ সালের পর বিএনপি দু’দফায় ১০ বছর ক্ষমতায় ছিল, তাদের সময়ে যে রোহিঙ্গারা এসেছিল তাদেরকে তারা ফেরত পাঠাতে পারেননি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী মানবিক দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন। সেখানে যেই বর্বরতা চলছিল সেই বর্বরতার হাত থেকে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা রক্ষা পেয়েছে। এতে সমগ্র পৃথিবী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও গণমাধ্যম প্রধানমন্ত্রীকে ‘মাদার অব হিমিউনিটি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। যেখানে সমগ্র পৃথিবী প্রশংসা করছে সেখানে বিএনপি প্রশংসা করতে পারেনি।
শুক্রবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি শিরিষ তলায় সামাজিক সংগঠন ‘তিলোত্তমা চট্টগ্রাম’ আয়োজিত মুজিববর্ষ উপলক্ষে পাঁচ লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঠিক মতো হচ্ছে না বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতার কারণেই ওআইসি’র পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক আদালতে মায়ানমারের বিচার হচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের সরকার কোন যুদ্ধ বিগ্রহের মাধ্যমে নয় কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে এবং আন্তর্জাতিক মহল থেকে চাপের মাধ্যমে, কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করতে চায়, আমরা সেই পথেই হাঁটছি। এতে ইতিমধ্যে অনেক সফলতা এসেছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আদালত থেকে মায়ানমারকে সমন দেয়া হয়েছে, পাশাপাশি কিছু নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত নিয়ে যাবার জন্য বলা হয়েছে। অনেককে বিচারের আওতায় আনতে বলা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মায়ানমারকে আন্তর্জাতিক আদালত থেকে তিরস্কারের মতোই করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশেরই কূটনৈতিক তৎপরতার সফলতা।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৮১ সাথে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে দেশে আসার পর ১৯৮৩ সাল থেকে তিনি বৃক্ষরোপণকে আন্দোলনে রূপান্তর করার উদ্দেশ্যে কৃষক লীগের মাধ্যমে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান শুরু করেছিলেন। ’৯৬ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাবার পর বৃক্ষরোপণকে পরিপূর্ণভাবে একটি আন্দোলনে রূপান্তর করতে তিনি সক্ষম হয়েছেন। মানুষ এখন হাটবাজারে গিয়ে প্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি গাছের চারাও কিনে আনেন। বিভিন্ন হাটবাজারে অন্যান্য দোকানের পাশাপাশি এখন গাছের চারার দোকানও আছে। এতে করে দেশে আজকে বৃক্ষরোপণ একটি আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়েছে। এই আন্দোলনের পেছনে তিলোত্তমা চট্টগ্রামের মতো সামাজিক সংগঠনগুলোর বিরাট অবদান রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বৃক্ষাচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ হচ্ছে ভূ-ভাগের ২২ দশমিক ৪ শতাংশ, বনভূমির পরিমাণ ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ। এই ছোট্ট দেশে বৃক্ষাচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ ভারতের চেয়েও বেশি। তবে আমাদের দেশ আরো সুন্দর ও পুষ্পপল্লবে সুশোভিত হতে পারতো যদি আমরা আরেকটু সচেতন হতাম। বৃক্ষরোপণের ক্ষেত্রে আমরা যদি আরেকটু যত্নবান হই তাহলে আমরা দেশকে আরো সুন্দর করতে পারি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে গাছ কাটা ও পাহাড় কাটার বিষয়টা খেয়াল রাখা হয় না। চট্টগ্রাম অপরূপ সৌন্দর্যের নগর, কিন্তু চট্টগ্রামে উন্নয়নের নামে নির্বিচারে গাছ কেটে, পাহাড় কেটে সৌন্দর্যহানি ঘটানো হয়েছে। চট্টগ্রামকে শ্রীহীন করা হয়েছে। নগর উন্নয়নের সাথে যুক্ত বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানও এবিষয়টি অনেক সময় খেয়াল রাখেনি।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে রাস্তা করতে গিয়ে পাহাড় কেটে সমান করে ফেলা হয়েছে। রাতের অন্ধকারেও পাহাড় কাটা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে চেষ্টা করা হয়, কিন্তু অনেকসময় রক্ষা করা যায় না। আবার অনেকক্ষেত্রে শর্ষের মধ্যে ভূত আছে। নগর উন্নয়ন করার ক্ষেত্রে বৃক্ষকর্তন ও পাহাড় না কাটার ওপর যদি গুরুত্ব দেয়া না হয় চট্টগ্রাম নগরের সৌন্দর্য গত পঞ্চাশ-ষাট বছরে যেটুকু কমেছে আগামী পঞ্চাশ বছর পর চট্টগ্রাম শহর আর এরকম থাকবে না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেদিকে চট্টগ্রাম শহর বৃদ্ধি পাচ্ছে সেখানে নির্বিচারে পাহাড় কাটা হচ্ছে, এটি বন্ধ করতে হবে। অন্যদিকে কর্ণফুলী নদীর দু’পাড়ে অনেকক্ষেত্রে দখল ও দূষণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন সংস্থার নামে সেখানেও দখল করা হচ্ছে। এগুলোর ব্যাপারে যদি সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে উঠে এটি করা সম্ভবপর হবে না।
তিনি বলেন, আমি পরিবেশ বিজ্ঞানের ছাত্র, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১০ বছর পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলাম। আমি এখনো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ বিজ্ঞান পড়ানোর চেষ্টা করি এবং সপ্তাহে অন্তত ১টি ক্লাস নেয়ার চেষ্টা করি। সুতরাং যখন দেখি মাঠের মধ্যে অট্টালিকা নির্মাণ করা হয়, সেটি মনে হয় আমার বুকের মধ্যে কেউ একটা পেরেক বিঁধে দিল। এভাবেই সবুজ ও প্রকৃতি নষ্ট করা হচ্ছে। আমাদের সরকার ল্যান্ড জোনিংয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এবং এটি সম্পন্ন হলে গ্রামেও যার যেখানে ইচ্ছা বাড়ি করা যাবে না। কোন জায়গায় কি ধরণের বাড়ি করা যাবে সেখানে সরকার নির্ধারণ করে দেবে।
তিলোত্তমা চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সাহেলা আবেদীন রীমা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, সিএমপি’র উপ পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক, সাংবাদিক ওসমান গণি মনসুর, সিপিডিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইফতেখার সোহাগ, চট্টগ্রামের প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, এলভিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান রইস উদ্দিন সৈকত, শিল্পপতি এসএম আবু তৈয়ব, লায়ন শামসুদ্দিন সিদ্দিকী, দৈনিক আজাদী’র সহযোগী সম্পাদক রাশেদ রউফ, সাবেক কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন খালেদ প্রমুখ।
- ‘এ’ ইউনিট দিয়ে আজ শুরু ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা
- রান তাড়ায় বিশ্বরেকর্ডের ম্যাচে আরো যত রেকর্ড
- নামিরার বাজিমাত
- কোরবানির নিয়তের পর পশু বিক্রি করার বিধান
- অক্টোবরে পরীক্ষামূলক চালু হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- থাই গভর্নমেন্ট হাউজে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
- ভাঙলো ৭৬ বছরের তাপপ্রবাহের রেকর্ড
- মানবসম্পদ উন্নয়নে উচ্চশিক্ষার বিকল্প নেই: এলজিআরডিমন্ত্রী
- দুর্ঘটনার কবলে ইসরায়েলি নিরাপত্তামন্ত্রী
- আবাসনের সুযোগ দিতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ: গণপূর্তমন্ত্রী
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
- বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে ক্ষমতার জন্য: কাদের
- দেশের জন্য কাজ করতে আ’লীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান
- দেশবাসীর অপেক্ষায় প্রতীক্ষিত সুখবর জানাল আবহাওয়া অফিস
- চাঁদা তুলে খেলতে আসা দলই গড়ল ইতিহাস
- মিল্টন সমাদ্দারের অপকর্ম তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি
- জুমার নামাজের ফরজ ও হারাম
- ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু, পরীক্ষার্থী ৩৩৮০০০
- তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে ১৫৫ জনের মৃত্যু
- ‘পুষ্পা: দ্য রুল’ সিনেমা মুক্তির আগেই ১০০০ কোটির ব্যবসা!
- ২ মে থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে কালবৈশাখীও
- গাইবান্ধায় যুব উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে মতবিনিময় সভা
- রংপুরে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- দ্বিতীয় সাক্ষাতেও গুজরাটকে হারাল দিল্লি
- খুন হওয়ার ভয়ে বাড়ি ছাড়লেন সালমান খান
- সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা লাভের সূরা
- জিম্মি এক ইসরায়েলি-আমেরিকানের ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস
- কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
- ডিমলায় জুয়া খেলার অপরাধে আটক-২
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক
- রাতেই যেসব অঞ্চলে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি
- জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের
- ফারিণের ‘নিকষ’ অন্ধকার!
- অতিরিক্ত সচিবকে ওএসডি, ৫ যুগ্ম-সচিবের বদলি
- ‘সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে ভূমিসেবায় দুর্নীতি প্রতিরোধ করা হবে’
- জলবায়ু সহনশীল দেশ গড়তে নারীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
- অবৈধ দখলে থাকা খাস জমি চিহ্নিত করতে বললেন ভূমিমন্ত্রী
- মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- চিকিৎসা ব্যবস্থা যেকোনো মূল্যে সহজলভ্য করবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- মানুষের জীবন সহনীয় করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
- রোহিঙ্গা সমাধানে নিউজিল্যান্ডকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান
- জামদানিকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করা হবে: শিল্প সচিব
- তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে এরদোগান বিরোধীদের জয়
- ঈদে সৈয়দপুর-ঢাকা আকাশপথে বাড়তি ফ্লাইট
- রংপুরে সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যরিস্টার আনিকা তাসনিয়া
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- আইপিএলের মাঝপথে হঠাৎ দেশে ফিরলেন মুস্তাফিজ