• রোববার ১২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৯ ১৪৩১

  • || ০৩ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সৌজন্য সাক্ষাতের আড়ালে খালেদার ‘রাজনৈতিক’ বৈঠক

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেই যেন সাজা ও সাজা স্থগিতের শর্তের সব কথা ভুলে গেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। বাসায় ফেরার পর পুরোনো রুটিনে চলছে তার জীবন। রাত জেগে ফোনে করছেন খোশগল্প। শুধু তাই নয়, সৌজন্য সাক্ষাতের আড়ালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাজনৈতিক বৈঠক করেন ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া। সম্প্রতি একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে এমন তথ্য মিলেছে।

সূত্রটির তথ্যমতে, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় পৌঁছানোর পর পুনরায় বেপরোয়া জীবনে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। একইসঙ্গে তারেকের আধিপত্য কমিয়ে নিজের হারানো অবস্থান ফিরে পেতে সৌজন্য সাক্ষাতের নামে শুরু করেছেন রাজনৈতিক বৈঠক। বৈঠকে অনেক বাঘা বাঘা নেতা বাদ পড়লেও বাদ পড়েননি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মতো নেতারা। 

জানা গেছে, রাত ১০টার পর থেকেই খালেদা জিয়া তার পছন্দের নেতাদের নিয়ে নিয়মিত বৈঠকে বসছেন।

এদিকে তারেকপন্থী নেতারা বলছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন, এ মুহূর্তে তার বিশ্রাম দরকার। দলীয় রাজনীতিটা যেভাবে তারেক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, সেভাবেই যাওয়া উচিত। আর তার হাতেই বরং দল আরো বেশি নিরাপদ। তাছাড়া নেতাকর্মীরা তারেককে চাচ্ছেন। আমাদের তো মনে হয়, বিএনপি নেত্রী পুরো নেতৃত্ব নিলে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিভক্তির ছাপ আরো স্পষ্ট হবে। কারণ, তিনি হাতে গোনা কয়েকজনকে নিয়ে দলের ক্ষমতা নেয়ার চিন্তায় বিভোর রয়েছেন। আর তারা সবাই তারেক বিরোধী।

বিষয়টি নিয়ে একাধিক স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) সঙ্গে আমাদের স্বল্প সময়ের জন্য দেখা হয়েছে এ কথা সত্য। তবে কী বিষয়ে কথা হয়েছে তা এ মুহূর্তে বলতে পারছি না। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মহানুভবতার পরিচয় দিয়ে সরকার শুধু খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করেনি, বরং তার পছন্দসই হাসপাতালে চিকিৎসারও ব্যবস্থা করেছে। এর ফলে খালেদা জিয়া চিকিৎসা পেয়ে দ্রুত সুস্থ হয়েছেন বলেই বাসায় ফিরেছেন। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মাসাতের মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়েও পুনরায় রাজনীতিতে ফেরার পাঁয়তারা করছেন। এরই অংশ হিসেবে বাসায় ফেরার পর প্রায়ই চুপিসারে পছন্দের নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজনৈতিক বৈঠক করছেন। এতে তিনি সুস্পষ্ট আইন লঙ্ঘন করছেন।