• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

খালেদা জিয়ার সম্মাননার বিষয় জানতেন না সিএইচআরআইও প্রধান

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিতর্কিত ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ পুরস্কারের কোনো দায়-দায়িত্ব নেবেন না বলে জানিয়েছেন কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের (সিএইচআরআইও) প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট মারিও গুইলম্বোর।

তিনি জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ পুরস্কারের বিষয়টি তাদের আন্তর্জাতিক সেক্রেটারিয়েট ডিল করেনি। খালেদা জিয়াকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার বিষয়টি এশিয়া মিশনের সিদ্ধান্ত। এমনকি পুরস্কারের বিষয় নিয়ে তিনি কোনো কথা বলবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।

কানাডার বাংলা পত্রিকা ‘নতুন দেশ’র প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগরের ফেসবুক লাইভ থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

ফেসবুক লাইভে তার সঙ্গে ছিলেন সিএইচআরআইও’র এশিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মোমিনুল হক। তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কানাডায় বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে তার।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই শওগাত আলী সাগর জানান, কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট মারিও গুইলম্বোর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে তার দীর্ঘ আলাপ হয়েছে। মারিও জানিয়েছেন, এ অ্যাওয়ার্ডের বিষয়টি তাদের আন্তর্জাতিক সেক্রেটারিয়েট ডিল করেনি। বেগম জিয়াকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার বিষয়টি এশিয়া মিশনের সিদ্ধান্ত। তিনি প্রথমে এ লাইভে আসার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছিলেন। কী কী প্রশ্ন হবে জানতে চান। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, অ্যাওয়ার্ডের বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলবেন না। এ ব্যাপারে এশিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক মোমিনুল হক কথা বলবেন।

আলোচনায় জানা যায়, কানাডায় সংগঠনটির এশিয়া মিশনের স্থায়ী কোনো অফিস নেই। তারা একটি চার্চের ঠিকানা ব্যবহার করেন। চার্চের পেছনে একটি পোর্টেবল অফিস থেকে সংগঠনের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়।

বেগম জিয়াকে পুরস্কার দেওয়ার প্রক্রিয়াটি কীভাবে হলো- এ প্রশ্নের জবাবে মোমিনুল হক বলেন, ভারতের একটা মেয়ে আমাদের সঙ্গে কাজ করতেন। তার বন্ধু বাংলাদেশি। মেয়েটি বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন। তার মাধ্যমেই আমাদের কাছে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভিন্ন প্রপোজাল আসে।

মোমিনুল হক আরো বলেন, ২০১৮ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া জেলে যান। আমরা মনে করলাম, খালেদা জিয়া সত্যিই নিপীড়নের শিকার। আমার সহকর্মীরা বাংলাদেশ সম্পর্কে জানেন না। আমার মাধ্যমে তার ব্যাপারে তথ্য জানলেন। আমি তাদের অনেক তথ্য জানিয়েছি।

তিনি বলেন, এসব বিবেচনায় ২০১৮ সালে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, বেগম জিয়াকে অ্যাওয়ার্ডটা দেওয়া হবে। আমরা অনুষ্ঠানটা কানাডার একটা সিটি হলে বা অডিটোরিয়ামে করতে চেয়েছিলাম। সেজন্য কাউকে আগে জানাইনি। ৩০ সেপ্টেম্বর টরন্টো সিটি হলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করলাম। প্রচার করলাম। আমন্ত্রণ জানালাম। এর মধ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে আমাদের চিঠি দেওয়া হলো। হাইকমিশনার মিজানুর রহমানের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হলো, বেগম জিয়া দুর্নীতির মামলায় কারারুদ্ধ।

মোমিনুল বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, আরো ইনভেস্টিগেট করবো। ৩০ তারিখের প্রোগ্রাম ক্যানসেল করলাম না। তবে সিদ্ধান্ত হলো, অনুষ্ঠানে বেগম জিয়ার পুরস্কার ঘোষণা করা হবে না।

মোমিনুল বলেন, আমরা ফারদার ইনভেস্টিগেট করলাম। ২০১৯ সালে সিদ্ধান্ত নিলাম পুরস্কারটা ঘোষণা করব।

উল্লেখ্য, কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও) নামের একটি এনজিও খালেদা জিয়াকে  ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ পুরস্কার দিয়েছে বলে জানায় বিএনপি। তবে পুরস্কারটি ২০১৮ সালের ৩১ জুলাইয়ের বলে জানানো হয়। এরই মধ্যে সেই পুরস্কার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ সিএইচআরআইও প্রধান।