কুড়িগ্রামে এক সপ্তাহে অর্ধ-শতাধিক বাড়ী নদীগর্ভে
নীলফামারি বার্তা
প্রকাশিত: ৮ আগস্ট ২০১৯
কুড়িগ্রামে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নে। গত ৩/৪ বছরের ভাঙনে এই ইউনিয়নের তিনভাগের দুইভাগ এলাকা তিস্তা নদীর করাল গ্রাসে বিলিন হয়ে গেছে। নদী তীরে ভাঙন কবলিতদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে আকাশ-বাতাস। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে গত দেড় মাস ধরে জিও ব্যাগ ফেলানো হলেও ভাঙন ঠেকানো যায়নি। গত এক সপ্তাহেই অর্ধ-শতাধিক বাড়ীঘর নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙন কবলিতদের অনেকেই খোলা আকাশে রোদ-জলে ভিজে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এদিকে নদী তীর রক্ষা বাঁধ থেকে মাটি কেটে জিও ব্যাগ ভরানোর অভিযোগ উঠেছে পাউবো’র শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। ফলে সেই এলাকা দিয়ে গাড়ী-ঘোড়া চলাচল আপাতত বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও বাঁধের ফুট পাশ থেকেই ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা কতটুকু পরিবেশ বান্ধব তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
বৃহস্পতিবার সরজমিনে ভাঙন কবলিত চতুরা ও কালিরহাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, খোলা আকাশে বেশ কয়েকটি বাড়ী পরে আছে। উদাশ চোখে তাকিয়ে আছে লোকজন। কালিরহাট এলাকার পঁচাশি বছরের বৃদ্ধা সোহাগী জানান, বাপ-মায়ে আদর করি নাম রাখছিল সোহাগী। স্বামীও চলি গেল; সেইসাথে সোহাগ-সুখও কাড়ি নিল তিস্তা নদী। দীর্ঘশ^াস ফেলে রোমন্থন করছিলেন তিনি পুরনো দিনগুলি। আর তার চোখের কোল বেয়ে ঝড়ে পরছিল অশ্রু।
তার ছেলে সামারু চন্দ্র রায়ের স্ত্রী পূর্ণিমা চন্দ্র রায় জানান, বাড়ীঘর, জমিজমা, গাছপালা সব নদী কেড়ে নিল। চারদিন ধরে খোলা আকাশে পড়ে আছি। জায়গা না পেয়ে ঘরবাড়ী রাস্তায় ফেলে রেখেছি। ছেলে ইন্টারে আর মেয়ে ক্লাস সিক্সে পড়ে। তাদেরকে নিয়ে খুব বিপদে আছি। এখন কি করবো জানি না।
সাংবাদিক এসেছে শুনে নারায়ণ চন্দ্র বর্মন (৬৩) ছুটে এলেন। বললেন, ‘বাবারে ২০ বার বাড়ী ভাঙছি। হামরা এ্যালা নি:স্ব হয়া গেছি। হামাকগুলার দেকপের কাঁইয়ো নাই। টেকা পয়সা নাই। জায়গাও কিনবার পাবার নাগছি না। হামরা পথের ভিখারী হয়া গেছি। সরকার হামারগুলার জন্য থাকবার জাগা করি দেউক।’
চতুরা হংসধর বাঁধের মাথা এলাকার আহাম্মদ আলীর রাত কাটে নির্ঘুমে। ঘরের উঠোনে চলে এসেছে নদী। যে কোন মূহুর্তে বিলিন হয়ে যেতে পারে। ফলে আতংক আর উদ্বেগে সময় কাটছে তার পরিবারের লোকজনের।
তিনি জানালেন, বিদ্যানন্দ বাজার, তৈয়ব খাঁ, ডাংরা, ডাবুরহালান, ডারিয়া, হংসধর, কালিরভিটাসহ সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙছে তিস্তা নদী। গত এক সপ্তাহে ভেঙে গেছে চতুরার মনতাজ আলী, আমজাদ আলী, হাফিজুর রহমান, আলী মন্ডল, মমতাজ, আইজুল ও জমির হোসেনের বাড়ী।
হংসধর বাঁধের মাথা ও কালিরহাট এলাকার মকবুল, ইয়াকুব মিস্ত্রী, দীনবন্ধু রায়, নিপেন চন্দ্র রায়, সামাল চন্দ্র রায়, সুরেশ চন্দ্র রায়, সুধীর চন্দ্র রায়, নারায়ণ চন্দ্র রায়, প্রদীপ চন্দ্র রায়, সুকুমার চন্দ্র রায়, বাণেশ^র চন্দ্র রায়, উপেন চন্দ্র রায়, লক্ষ্মীকান্ত চন্দ্র রায়, নিবাস চন্দ্র রায়, নিবারণ চন্দ্র রায়, সুবাস চন্দ্র রায়, সঞ্জয় চন্দ্র রায়, জয়ন্তী রায়, রঙমালা, সুবল, প্রফুল্ল, যতীশ, নবীন চন্দ্র রায়সহ আরো অনেকের বসতভিটা।
জয়ন্তী রানী কাঁদতে কাঁদতে বলেন, বাপুরে বাড়ী আগুনে পুড়লেও ভিটাটা থাকে। কিন্তু নদী খাইলে কিছুই থাকে না।
চতুরা এলাকার আজাদ, কামরুল জানান, এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়োজিত শ্রমিকরা বাঁধ নষ্ট করে মাটি কেটে জিও ব্যাগে ভরাচ্ছে। এখন এই রাস্তা দিয়ে গাড়ী-ঘোড়া চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে শ্রমিকদের প্রশ্ন করা হলে তারা জানান, বাঁধ থেকে মাটি কেটে জিও ব্যাগ ভরাচ্ছি। আবার ড্রেজার দিয়ে সেটা পুরণ করছি। বাঁধ থেকে মাত্র ৫০গজ দুরেই বসানো হয়েছে ড্রেজার। তাই দিয়েই মাটি পূরণের কথা জানালেন তারা।
বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাইজুল ইসলাম জানান, গত এক দশকে আমার ইউনিয়নের এক চতুর্থাংশ এলাকা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। আগে ভোটার ছিল ২৯ হাজার এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজারে। এগারটি মৌজার মধ্যে ৭টি মৌজা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। বার হাজার ভোটার এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। এখানে জিও ব্যাগ ফেলানো হলেও ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না। আমরা সরকারের কাছে এই এলাকার ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত স্থায়ী কাজ চাই।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, আমাদের লোকজন কালিরহাট এলাকায় ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ করছে। কেউ বাঁধ কেটে মাটি ভরার কাজ করে থাকলে সেটা আমাদের জানা নেই। আমরা চর থেকে নৌকায় বালু এনে কাজ করছি। আর ড্রেজারের কাজ এখন বন্ধ রয়েছে।
জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন জানান, ভাঙন কবলিতদের পূণর্বাসনের জন্য সরকার কাজ করছে। আমরা ফিজিবিলিটি দেখে স্থায়ীভাবে কর্মসূচি গ্রহন করবো।
- সত্যি কী আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান?
- হজের জন্য মাহরাম না পেলে নারীদের করণীয় কী?
- রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো: মস্কো
- অপসাংবাদিকতা মূল সাংবাদিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সুবিধায় আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণবঙ্গ: রেলমন্ত্রী
- ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি’
- ‘মৎস্যসম্পদ রক্ষার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে হবে’
- উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি
- টেনিস খেলাকে জনপ্রিয় করতে কাজ করা হচ্ছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ
- ‘উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি’
- তীব্র গরমেও শীতল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- চাই না মুক্তিযুদ্ধ চেতনাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় আসুক
- ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ শতাংশ কার্বণ নিঃসরণ কমাতেই হবে
- খুলেছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ২ কর্মীকে জরিমানা
- সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক : শসার মাস্ক
- মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে
- বাংলাদেশ-গাম্বিয়া জয়েন্ট বিজনেস টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব
- ডর্টমুন্ডের সঙ্গে এক যুগের সম্পর্ক ছিন্ন করছেন এই ফুটবলার
- ব্যাভিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে পুরস্কার পেলেন ‘অভাগী’ মিথিলা
- হজের ক্ষেত্রে শয়তান যেসব ওয়াসওয়াসা দেয়
- মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা ভেস্তে দিলো কুয়েত
- যেসব জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ থাকবে
- আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান: ইসি রাশেদা
- খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণের আহ্বান প্রধান বিচারপতির
- রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি চায় বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- সাত জেলায় দুপুরের মধ্যেই ঝড়-বৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা
- ‘নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে’
- ডিমলায় জুয়া খেলার অপরাধে আটক-২
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক
- রাতেই যেসব অঞ্চলে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি
- জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের
- ফারিণের ‘নিকষ’ অন্ধকার!
- মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- রংপুরে সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যরিস্টার আনিকা তাসনিয়া
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- ঈদে সৈয়দপুর-ঢাকা আকাশপথে বাড়তি ফ্লাইট
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- ছাত্রনেতাদের শৈশবের ঈদ স্মৃতিচরণ
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসিতে নিরাপত্তা জোরদার
- বিভিন্ন যানবাহনে অবৈধ স্টিকার ব্যবহার
- পুত্রবধূকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, শ্বশুর-শাশুড়ি গ্রেপ্তার
- শ্রম আইন সংশোধনে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- তীব্র দাবদাহে হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ