• শুক্রবার ০৪ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১৮ ১৪৩১

  • || ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

হরতাল-অবরোধে শুধু পর্যটন খাতেই ৩৫ দিনে ক্ষতি ৫০০ কোটি

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০২৩  

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে পূঁজি করে গত ২৮ অক্টোবর থেকে দেশে চলছে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা। সেই সূত্র ধরে হরতাল-অবরোধে চরম বাজে অবস্থা পার করেছেন কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এতে গত ৩৫ দিনে পর্যটন শিল্পে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপনের দিন থেকে কক্সবাজারে শুরু হয় লক্ষ্যণীয় পর্যটক আগমন। কিন্তু গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে হরতাল-অবরোধে সে যাত্রায় ভাটা পড়েছে। গত একটি মাস ধরে কঠিন গ্লানি টানছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। গত ৩৫ দিনে কক্সবাজারের পর্যটন খাতের সকল অনুষজ্ঞে প্রায় ৪৮০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে দাবি কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকার।

সূত্র মতে, বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর শুক্র-শনিবার বাদে ডাকা অবরোধ-হরতাল ভরা মৌসুমেও পর্যটন স্পটগুলোকে জনমানব শূন্য করে দিয়েছে। এতে সেই করোনাকাল ও ২০১৪ সালের মতো আবারো দেখা দিয়েছে পর্যটন শিল্পে অশনি সংকেত। বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে অনেক হোটেল-মোটেল-রেস্তোরাঁ ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। যার ফলে জেলার পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় অর্ধলাখাধিক কর্মজীবীর মাঝে বিরাজ করছে ছাঁটাই আতংক।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন নেতা ও তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইসর পরিচালক আবদুল কাদের মিশু বলেন, এ সময় পর্যটকে টইটম্বুর থাকার কথা পুরো সৈকত এলাকা। স্বাচ্ছন্দ্যে পর্যটক আসতে পারলে দুপয়সা আয় করা যেত। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারিদেরও সময়মতো বেতন ভাতা প্রদানের পাশাপাশি ব্যাংক ঋণের কিছুটা হলেও শোধ করা সম্ভব। কিন্তু এখন পুরো পর্যটন এলাকায় স্থানীয় কিছু দর্শনার্থী এলেও পর্যটক নেই। ব্যাংক ঋণ দূরে থাক হোটেলে কর্মরতদের বেতন ভাতা পরিশোধ, তিন বেলা খাবার এবং আনুসাঙ্গিক খরচ মেটানোও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাধ্য হয়ে হোটেল বন্ধ করার মতো কঠিন সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে হবে।

ট্যুরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টুয়াক) সভাপতি মো. রেজাউল করিম বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতকে ঘিরে গড়ে উঠেছে প্রায় ৫০০ হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউস ও চার শতাধিক রেস্টুরেন্ট। কিন্তু দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কক্সবাজার এখন প্রায় পর্যটকশূন্য। এরইমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে শতাধিক রেস্টুরেন্ট। এছাড়া খরচ পোষাতে না পেরে কর্মচারী ছাঁটাই ও হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউজগুলো বন্ধ হতে বসেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ব্যবসায় লোকসানের মাত্রা বেড়ে দেনার পরিধি বহুগুণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।