সময়ের চেয়ে অগ্রসর বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গেমস
– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২১
ইকরামউজ্জমান
আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছি। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ছাড়াও ক্রীড়াঙ্গনসহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন এবং অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে তাঁর নামকরণে ‘বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস’—সর্ববৃহৎ ক্রীড়া উৎসবের (১ থেকে ১০ এপ্রিল) আয়োজন করেছে। ৩১টি খেলায় অংশ নেবেন হাজার হাজার পুরুষ-মহিলা খেলোয়াড় ও ক্রীড়াবিদ। এই গেমস অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ১ থেকে ১০ এপ্রিল ২০২০। করোনাভাইরাসের জন্য ঠিক এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেভাবে এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে টোকিও অলিম্পিক। উভয় ক্ষেত্রে ক্রীড়াবিদদের মনে বাজছে এখন আগমনী সুর!
বঙ্গবন্ধু সারা জীবন রাজনীতি ও মানুষের অধিকার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত থাকলেও ছিলেন মনেপ্রাণে ক্রীড়াপিপাসু ও ক্রীড়া মানসিকতা বান্ধব একজন উদার হূদয়ের মানুষ। খেলাধুলার প্রতি ছিল তাঁর বিশেষ দুর্বলতা। ক্রীড়াঙ্গন এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি ছিল তাঁর অন্য এক ধরনের আবেগ ও ভালোবাসা। তিনি ক্রীড়াঙ্গনের সব খোঁজখবর জানতেন ও রাখতেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ক্রীড়াঙ্গনে যথাযথ গুরুত্ব ও মর্যাদার সঙ্গে উদযাপনের বিষয়টি প্রাসঙ্গিক, যৌক্তিক ও অপরিহার্য। ক্রীড়াঙ্গন এখন আর শুধু বিনোদন চত্বর নয়। এর গুরুত্ব ও মর্যাদা পুরোপুরি পাল্টে গেছে। ক্রীড়াঙ্গনের মাধ্যমে দেশ ও জাতির চরিত্রের প্রতিফলন লক্ষণীয় হচ্ছে। খেলার বিজয় আনন্দে মিশে থাকে জাতিগত আত্মমর্যাদাবোধ আর অহং জাতিসত্তার গৌরবানুভূতি। বঙ্গবন্ধুর যে বিষয়টি উল্লেখ করতেই হবে সেটি হলো তিনি সব সময় মানুষকে ঘিরে স্বপ্ন দেখেছেন। মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারাননি। মানুষকে উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করার তাঁর অসাধারণ ক্ষমতা ছিল বলেই তিনি গণমানুষের নেতা হতে পেরেছেন। পেরেছেন ব্যক্তিমানুষের শক্তিমত্তাকে টেকসই পরিবর্তনে কাজে লাগাতে। বঙ্গবন্ধু সময় পড়তে কখনো ভুল করেননি। ক্রীড়াঙ্গনে আমরা দেখেছি বঙ্গবন্ধু ছিলেন সময়ের আগে। তাঁর উদ্যোগ ও ভূমিকার ফল ক্রীড়াঙ্গন এখন পাচ্ছে।
জাতি অবিবাহিত করছে ইতিহাসের অন্যতম ঘটনাবহুল ও রোমাঞ্চকর সময়—ক্রীড়াঙ্গনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বাংলাদেশের এখন অনেক বেশি গুরুত্ব। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বসমাজের মনোযোগ কাড়তে সক্ষম হয়েছে। দেশ এগিয়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বাঙালি জাতীয়তাবাদী শক্তি এখন ঐক্যবদ্ধ। ক্রীড়াঙ্গনেও আমাদের অনেক অর্জন আছে। তবে আরো বেশি হতে পারত যদি সঠিকভাবে ক্রীড়াঙ্গন পরিচালিত হতো। সামাজিক অন্য ক্ষেত্রগুলোতে উল্লেখ করার মতো এগিয়ে যাওয়া যদি সম্ভব হয়, তাহলে ক্রীড়াঙ্গনে হবে না কেন। আমাদের আছে তরুণ সম্ভাবনাময়ী বড় মানবসম্পদ। তারা দেশের জন্য সব সময় প্রস্তুত।
স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু আমাদের মধ্যে ছিলেন তিন বছরের বেশি কিছু সময়। তিনি সব সময় চেয়েছেন মুখরিত ক্রীড়াঙ্গন। সবার ক্রীড়াঙ্গন। উজ্জ্বল ক্রীড়াঙ্গন। পুরুষ-নারী বৈষম্যহীন ক্রীড়াঙ্গন।
ক্রীড়াঙ্গনের দিকে মনোযোগের সঙ্গে তাকালে যে কেউ দ্বিধাহীন চিত্তে বলবেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সময়ের চেয়ে অগ্রসর একজন নেতা। ক্রীড়াঙ্গন ঘিরে তাঁর নিজস্ব দর্শন ছিল। তিনি কখনো তাঁর রাজনৈতিক বিশ্বাসকে ক্রীড়াঙ্গনে টেনে আনেননি। সব সময় বলেছেন, ক্রীড়াঙ্গনে রাজনীতির স্থান নেই। স্থান নেই দলীয় রাজনীতির। স্বাধীনতার পর পর নতুন করে শূন্য থেকে ক্রীড়াঙ্গনকে পূর্ণ করার ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি বিভিন্ন খেলায় ফেডারেশনে কার্যনির্বাহী কমিটিতে যোগ্য সংগঠকদের অন্তর্ভুক্তি। ৪৬ বছর আগে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াঙ্গন ঘিরে যে চিন্তা করেছিলেন, নির্দেশ দিয়েছিলেন, উপদেশ দিয়েছিলেন এবং উদ্যোগ নিয়েছিলেন—এগুলো অসাধারণ। তাঁর চিন্তা ও উদ্যোগ নিয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক গবেষণার দরকার আছে। চিন্তা ও দার্শনিকতায় বঙ্গবন্ধু ছিলেন অসাধারণ। তাঁর প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের শেষ নেই। প্রথম থেকেই তিনি ক্রীড়াঙ্গনের চিন্তাকে বড় করে দেখেছেন।
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের দিশারি বাতিঘর। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে নতুন করে ক্রীড়াঙ্গনকে শূন্য থেকে শুরু করার ক্ষেত্রে তাঁর উদ্যোগ ও ভূমিকা কখনো ভোলার নয়। মৃত্যু তাঁকে থামাতে পারেনি। ইতিহাস তাঁকে বন্দি করতে পারেনি। তিনি ৪৬ বছর ধরে সশরীরে ক্রীড়াঙ্গনে নেই সত্য; কিন্তু তিনি ক্রীড়াঙ্গনে সব সময় আছেন আমাদের মধ্যে আদর্শ, নীতি, দর্শন ও অনুপ্রেরক হিসেবে। এখন দরকার আত্মসমালোচনা ও আত্মজিজ্ঞাসার। কতটুকু বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ ক্রীড়াঙ্গনে। অনেক ক্ষেত্রে কি উল্টোভাবে চলা হচ্ছে না। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমাদের ক্রীড়াঙ্গন কি পাকিস্তানের মানসিকতা থেকে মুক্ত হয়েছে? আজকের বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন কতটা ভিন্ন? ক্রীড়াঙ্গনে নারীরা এগিয়ে চলেছেন, ভীষণ সীমাবদ্ধতার মধ্যে। দেশের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গন থেকে গৌরব বহন করে আনছেন। বঙ্গবন্ধু প্রথমেই নারীদের ক্রীড়াঙ্গনে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছিলেন। নারীরা এখনো ক্রীড়াঙ্গনে পুরুষদের তুলনায় পিছিয়ে আছেন। তাঁরা ক্রীড়াঙ্গনে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। তার পরও তাঁরা নিজেদের আকাঙ্ক্ষাকে মলিন হতে দেননি। লক্ষ্য ও স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছেন।
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসকে অর্থবহ করতে পারলে ক্রীড়ানুরাগী জাতির পিতার প্রতি প্রকৃত সম্মান প্রদর্শন সম্ভব হবে। ক্রীড়াঙ্গনে সংগঠকদের সংস্কারমনস্ক হওয়া ছাড়া উপায় নেই। প্রচলিত ধ্যান-ধারণার বাইরে যেতে হবে। বেরিয়ে আসতে হবে। ক্রীড়াঙ্গনে ‘অগ্রাধিকার’ শব্দটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর বাস্তবায়ন ছাড়া ক্রীড়াঙ্গনের বড় পরিবর্তন আসবে না। ক্রীড়াঙ্গনের আবেগে আদর্শবোধ ও জাতীয় স্বাধীনতার চেতনা বিবেচিত হওয়া উচিত।
লেখক : কলামিস্ট ও বিশ্লেষক
- নীলফামারীতে আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস পালন
- ধূমপান বা তামাক স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর
- সত্যি কী আমিরাতের গোল্ডেন ভিসা পাচ্ছেন শাকিব খান?
- হজের জন্য মাহরাম না পেলে নারীদের করণীয় কী?
- রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো: মস্কো
- অপসাংবাদিকতা মূল সাংবাদিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সুবিধায় আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল দক্ষিণবঙ্গ: রেলমন্ত্রী
- ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি’
- ‘মৎস্যসম্পদ রক্ষার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে হবে’
- উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি
- টেনিস খেলাকে জনপ্রিয় করতে কাজ করা হচ্ছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
- ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ
- ‘উদ্যোক্তারাই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি’
- তীব্র গরমেও শীতল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- চাই না মুক্তিযুদ্ধ চেতনাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় আসুক
- ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ শতাংশ কার্বণ নিঃসরণ কমাতেই হবে
- খুলেছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
- আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ২ কর্মীকে জরিমানা
- সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব
- গ্রীষ্মকালে শীতল ত্বক : শসার মাস্ক
- মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে
- বাংলাদেশ-গাম্বিয়া জয়েন্ট বিজনেস টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব
- ডর্টমুন্ডের সঙ্গে এক যুগের সম্পর্ক ছিন্ন করছেন এই ফুটবলার
- ব্যাভিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে পুরস্কার পেলেন ‘অভাগী’ মিথিলা
- হজের ক্ষেত্রে শয়তান যেসব ওয়াসওয়াসা দেয়
- মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা ভেস্তে দিলো কুয়েত
- যেসব জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ থাকবে
- আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান: ইসি রাশেদা
- খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণের আহ্বান প্রধান বিচারপতির
- রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি চায় বাংলাদেশ-গাম্বিয়া
- ডিমলায় জুয়া খেলার অপরাধে আটক-২
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক
- রাতেই যেসব অঞ্চলে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি
- জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের
- ফারিণের ‘নিকষ’ অন্ধকার!
- মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- রংপুরে সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যরিস্টার আনিকা তাসনিয়া
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- ঈদে সৈয়দপুর-ঢাকা আকাশপথে বাড়তি ফ্লাইট
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- ছাত্রনেতাদের শৈশবের ঈদ স্মৃতিচরণ
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসিতে নিরাপত্তা জোরদার
- বিভিন্ন যানবাহনে অবৈধ স্টিকার ব্যবহার
- পুত্রবধূকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, শ্বশুর-শাশুড়ি গ্রেপ্তার
- শ্রম আইন সংশোধনে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- তীব্র দাবদাহে হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ