• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে যা দান করা উত্তম

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৮  

মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে দান-সদকা করা হলে কবরে তার সওয়াব পৌঁছে, তা মৃতের সন্তান, পিতা-মাতা অথবা অন্য কোনো মুসলাম দান করুক না কেন।

যদিও অনেক আলেমের মতে, দান-সদকা শুধু সন্তানের পক্ষ থেকে করা হলে পিতা-মাতা কবরে সওয়াবের অধিকারী হবেন। তবে প্রথম মতটিই অধিকতর বিশুদ্ধ এবং অধিকাংশ আলেম একমত পোষণ করেছেন।

হাদীস শরীফে এসেছে—

عَنْ عَائِشَةَ – رضى الله عنها – أَنَّ رَجُلاً قَالَ لِلنَّبِىِّ – صلى الله عليه وسلم إِنَّ أُمِّى افْتُلِتَتْ نَفْسُهَا ، وَأَظُنُّهَا لَوْ تَكَلَّمَتْ تَصَدَّقَتْ ، فَهَلْ لَهَا أَجْرٌ إِنْ تَصَدَّقْتُ عَنْهَا قَالَ نَعَمْ

আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি নবী-সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করল, আমার মা হঠাৎ মৃত্যুবরণ করেছে। আমার ধারণা, মৃত্যুর আগে কথা বলতে পারলে তিনি দান করতেন। এখন আমি যদি তার পক্ষ থেকে দান-সদকা করি তবে কি তিনি সওয়াব পাবেন? তিনি বলেন, হ্যাঁ। (বুখারি, হাদীস নং ১৩৮৮)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লামকে বললেন,

أِنَّ أَبِى مَاتَ وَتَرَكَ مَالاً وَلَمْ يُوصِ فَهَلْ يُكَفِّرُ عَنْهُ أَنْ أَتَصَدَّقَ عَنْهُ قَالَ « نَعَمْ»

‘আমার আব্বা মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু, কোনো ওসিয়ত করে যাননি। আমি তার পক্ষ থেকে দান করলে তার কি গুণাহ মোচন হবে?’ তিনি বললেন, হ্যাঁ। (সহীহ মুসলিম, অনুচ্ছেদ: দানের সওয়াব মৃত ব্যক্তির নিকট পৌঁছা প্রসঙ্গে)

এমন জিনিস দান করা উত্তম যা দীর্ঘদিন এবং স্থায়ীভাবে মানুষের উপকারে আসে। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে—

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَجُلاً قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أُمِّى تُوُفِّيَتْ أَفَيَنْفَعُهَا إِنْ تَصَدَّقْتُ عَنْهَا فَقَالَ نَعَمْ قَالَ فَإِنَّ لِى مَخْرَفًا وَإِنِّى أُشْهِدُكَ أَنِّى قَدْ تَصَدَّقْتُ بِهِ عَنْهَا

ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলল, হে আল্লাহর রাসূল, আমার মা মারা গেছেন। আমি যদি তার পক্ষ থেকে দান করি তবে কি তাঁর উপকারে আসবে?’ তিনি বললেন: হ্যাঁ।

তখন লোকটি বলল, ‘আমার একটি ফলের বাগান আছে (খেজুর, আঙ্গুর ইত্যাদি)। আমি আপনাকে সাক্ষী রেখে বলছি, ওই বাগানটি আমি আমার মায়ের পক্ষ থেকে দান করে দিলাম।’ (আবু দাউদ, তিরমিযী, মুসনাদ আহমাদ)

উপকারী ও স্থায়ী দানের মধ্যে রয়েছে—

১. পানির ব্যবস্থা করা

২. এতিম প্রতিপালনের দায়িত্ব গ্রহণ করা

৩. অসহায় মানুষের বাসস্থান তৈরি করা

৪. গরিব তালিবে ইলমকে সাহায্য-সহযোগিতা করা

৫. দাতব্য চিকিৎসালয় বা হাসপাতাল নির্মাণ

৬. মসজিদ নির্মাণ

৭. রাস্তা বা ব্রিজ নির্মাণ

৮. ছায়াদার বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি।